ইউরো জোন
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইউ) বর্তমানে ২৮টি মেম্বার স্টেটের সম্প্রদায় যেটা ১৯৫১ সালে মাত্র ৬ টি প্রতিবেশী স্টেট নিয়ে গঠিত হয়েছিলো। মাস্ট্রিক্ট চুক্তি (Maastricht Treaty) করার পরে, এটা বড় ধরনের ইকোনোমিক এবং পলিটিকাল গোস্টিতে পরিনত হয়েছে। এখন তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক রিজিয়ন।
ইউ মেম্বার স্টেটগুলোর মধ্যে, ১৭ট দেশ ইউরোকে তাদের কমন কারেন্সি হিসেবে ব্যাবহার করা শুরু করেছে। এই দেশগুলো নিয়ে গঠিত হয় ইউরো জোন, যাকে ইউরোপিয়ান মনেটারি ইউনিয়ন (ইএমইউ) অথবা ইউরোল্যান্ড বলা হয়ে থাকে।
এই অভিজাত ক্লাবের মেম্বার হলঃ অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, এস্টোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাক্সেমবার্গ, মাল্টা, হলণ্ড, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, এবং স্পেন।
কমন কারেন্সি ব্যাবহার করা বাদেও, দেশগুলো একই মনেটারি পলিসি ব্যাবহার করে যেটা ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক (ইসিবি) পরিচালনা করে।
ইউরো জোন ফ্যাক্টস, ফিগারস, এবং ফিচারস
সদস্য দেশসমূহ: অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, এস্তোনিয়াতে, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাক্সেমবার্গ, মাল্টা, হলণ্ড, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, এবং স্পেন
আয়তন: ১৬,৯১,৬৫৮ বর্গ মাইল
জনসংখ্যা: ৫০,৫৬৬,৫৭৩
ঘনত্ব: ৩০০.৯ জন প্রতি বর্গ মাইলে
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান: Jean-Claude Juncker
ইউরোপীয় সংসদের প্রধান: Antonio Tajan
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান: Donald Tusk
মুদ্রা: ইউরো (EUR)
মুখ্য আমদানি: যন্ত্রপাতি, যানবাহন, বিমান, প্লাস্টিক, অশোধিত তেল, রাসায়নিক, বস্ত্র, ধাতু
প্রধান রপ্তানি দ্রব্য: যন্ত্রপাতি, মোটর গাড়ি, বিমান, প্লাস্টিক, ওষুধপত্র এবং অন্যান্য রাসায়নিক। আমদানি পার্টনার: চীন ১৫.৮৯%, মার্কিন ১১.৯৭%, রাশিয়া ১১.২২%, নরওয়ে ৬.১৩%, সুইজারল্যান্ড ৫.১৪%।
রপ্তানি পার্টনার: মার্কিন ১৯.০৭%, রাশিয়া ৮.০৩%, সুইজারল্যান্ড ৭.৪৯%, ৬% চীন, তুরস্ক ৪.১৪%।
সময় অঞ্চল: জিএমটি, জিএমটি +১, জিএমটি +২
ওয়েবসাইট: http://www.europa.eu
ইকোনোমিক ওভারভিউ
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে ইউরো জোন অর্ধেকের বেশী দেশ নিয়ে গঠিত। এটা ২০১১ সালে সবচেয়ে বড় ইকোনোমি হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে। সার্ভিস-ওরিয়েন্টেড ইকোনোমি হওয়াতে, জিডিপির ৭০% এর মত সার্ভিস থেকে আসে।
তার উপরে, ডমেস্টিক এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টরদের জন্য ইউরো জোন নিজেকে ২য় সবচেয়ে আকর্ষণীয় খাত বলে দাবি করে।
ইকোনোমিক ইউনিয়ন হিসেবে, ইউরো জোনের আদর্শায়িত আইন সিস্টেম করেছে। বিশেষ করে লেনদেনের জন্য। তাদের সম্পূর্ণ ইকোনোমির সাইজ ইউরো জোন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
কারন স্বতন্ত্র দেশগুলো জোট বেধে একটা ক্ষেত্র হয়েছে, এটা তাদের লেনদেনের জন্য সুবিধাজনক হয়েছে। বিশেষ করে তাদের প্রধান ট্রেড পার্টনারের সাথে, ইউএস।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এই সক্রিয় অংশগ্রহন ইউরোর রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে ব্যাবহারের উপরে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
এর কারন হল যেসব দেশ ইউরো জোনে ট্রেড করে তাদের পর্যাপ্ত পরিমানে রিজার্ভ কারেন্সি রাখার প্রয়োজন হয় যাতে এক্সচেঞ্জ রেট রিস্ক এবং ট্রাঞ্জাকশন কস্ট কম হয়।
মনেটারি এবং ফিস্ক্যাল পলিসি
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মনেটারি পলিসির পরিচালনার দায়িত্বে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক (ইসিবি) আছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ড হল মারিও দ্রাঘি। এর এক্সেকিউটিভ বোর্ড ইসিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং আরও চারজন পলিসিমেকার নিয়ে গঠিত।
ইউরো জোনে জাতীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রধানদের নিয়ে, ইসিবি গভারনিং কাউন্সিল গঠিত হয় যারা মনেটারি পলিসি পরিবর্তনে ভোট দেয়।
ইসিবির প্রধান উদ্দেশ্য হল প্রাইসে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। এই উদ্দেশ্য সাধন করতে, ইউরো জোন মাস্ট্রিক্ট চুক্তি সাইন করেছে যেটা মেম্বার দেশগুলোর জন্য কিছু মানদণ্ড প্রয়োগ করে থাকে। নিম্নে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস দেয়া হলঃ
- দেশের ইনফ্লেশন রেট সেরা পারফর্মিং দেশের (যেদেশের ইনফ্লেশন সবচেয়ে কম) চেয়া ১.৫% এর বেশী ছাড়াতে পারবে না।
- যে দেশের ইনফ্লেশন কম, লং-টার্ম ইন্টেরেস্ট রেট সে দেশগুলোর চেয়ে ২% এর বেশী অতিক্রম করতে পারবে না।
- এক্সচেঞ্জ রেট কমপক্ষে বিগত কয়েক বছরের এক্সচেঞ্জ রেট মেকানিজমের মধ্যে থাকতে হবে।
- সরকারী ঘাটতি জিডিপির ৩% এর কম হতে হবে।
যদি কোন দেশ এসব কন্ডিশন না পুরন করতে পারে, তাহলে তাদের বড় ধরনের ফাইন দিতে হয়।
মনেটারি পলিসি ট্যুল হিসেবে ইসিবি মিনিমাম বিড রেট এবং ওপেন মার্কেট অপারেশন ব্যাবহার করে।
ইসিবির মিনিমাম বিড রেট অথবা রেপো রেট হল রেট অব রিটার্ন যেটা সেন্ট্রাল ব্যাংক তার মেম্বার স্টেটের সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলোকে অফার করে। তারা এসব রেট ইনফ্লেশন কন্ট্রোল করার কাজে ব্যাবহার করে।
অন্যদিকে ওপেন মার্কেট অপারেশনস ইন্টেরেস্ট রেট ম্যানেজ করা, লিকুইডিটি কন্ট্রোল, এবং মনেটারি পলিসি স্থাপনের কাজে ব্যাবহার করা হয়। এসব অপারেশন মার্কেটে সরকারী সিকিউরিটিজ কেনাবেচার মাধ্যমে করা হয়।
লিকুইডিটি বাড়াতে, ইসিবি ইউরো দিয়ে সিকিউরিটিজ ক্রয় করে, যেটা পরে সার্কুলেটেড হয়। অন্যদিকে লিকুইডিটি কমাতে, ইসিবি ইউরো দিয়ে সিকিউরিটি সেল করে।
এসব মনেটারি ট্যুল ব্যাবহার ছাড়াও, ইনফ্লেশন কন্ট্রোল করতে ইসিবি ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটে হস্তক্ষেপ করে থাকে। একারনে ট্রেডাররা গভারনিং কাউন্সিল মেম্বারদের বক্তৃতার সময় কান খোলা রাখে, যেহেতু এটা ইউরোর উপরে প্রভাব ফেলতে পারে।
ইউরোকে চেনা
অ্যান্টি-ডলার নাম ছাড়াও, ইউরোকে “ফাইবার” বলা হয়ে থাকে। অনেকে বলে এই নাম ট্রান্স-আটলান্টিক ফাইবার অপটিক থেকে এসেছে। এটা যোগাযোগের জন্য ব্যাবহৃত হয়েছিলো। অনেকে আবার বলে যে এটা অনেক আগে যে ইউরোপিয়ান ব্যাংকনোট প্রিন্ট করতে যে কাগজ ব্যাবহার করা হত তার থেকে এসেছে। নিচে ইউরোর কিছু বৈশিষ্ট্য দেয়া হলঃ
আমাকে অ্যান্টি-ডলার বলা হয়!
ইউরো/ইউএসডি সবচেয়ে বেশী ট্রেড করা হয়ে থাকে। এটা মেজর পেয়ারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী লিকুইড এবং সবচেয়ে কম স্প্রেড অফার করে থাকে।
লন্ডন সেশনে আমি ব্যাস্ত থাকি...
ইউরো সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার হয় সকাল ৮:০০ (জিএমটি) ঘটিকায়, যখন লন্ডন সেশন শুরু হয়। ইউএস এর শেষের অর্ধেক সেশনে এর মুভমেন্ট কম থাকে। বিকাল ৫:০০ (জিএমটি) ঘটিকার দিকে।
...আর আমার কিছু রিলেশনশিপ আছে
ইউরো/ইউএসডি কে প্রায়ই ক্যাপিটাল মার্কেটের (বন্ডস এবং ইকুইট) সাথে মিলিত করা হয়। এটা S&P 500 যেটা ইউএস স্টক মার্কেটের পারফর্মেন্স দেখায়, সেটার মুভমেন্টের সাথে নেগেটিভ কোরিলেশন ব্যাক্ত করে।
এই কোরিলেশন ২০০৭ সালের ক্রাইসিসের পরে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। এখন ইউরো/ইউএসডি আর S&P 500 এর হালকা পজিটিভ কোরিলেশন দেখা যায়।
ইউরো/ইউএসডি আর ইউএসডি/সিএইচএফ নেগেটিভলি কোরিলেটেড, যেটা ইউরো এবং সিএইচএফের প্রায় পারফেক্ট ট্যান্ডেমে মুভমেন্ট দেখায়।
ইউরোর কিছু প্রয়োজনীয় ইনডিকেটর
গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিডিপি) – জিডিপি হল কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান পরিমাপক। যেহেতু জার্মানি ইউরো জোনের সবচেয়ে বড় ইকোনোমি, এর জিডিপি ইউরোকে সবচেয়ে বেশী মুভ করে থাকে।
কর্মসংস্থান পরিবর্তন – ইউরো কর্মসংস্থান পরিবর্তনে সংবেদনশীল, বিশেষকরে ইউরো জোনের সবচেয়ে বড় ইকোনোমি, জার্মান এবং ফ্রান্স।
জার্মান ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন – এই জার্মানির ম্যানুফ্যাকচারিং, মাইনিং এবং কোয়ারিং শিল্প থেকে আউটপুট ভলিউম পরিবর্তন পরিমাপ করে। এটা জার্মানের সর্ট-টার্ম ইন্ডাস্ট্রিয়াল কার্যকলাপের স্ট্রেনথ দেখায়।
জার্মান আইএফও বিজনেস ক্লাইমেট সার্ভে – এটা জার্মানের একটা প্রধান বিজনেস সার্ভে যেটা প্রতিমাসে করা হয়। এটা জার্মানের বর্তমান বিসজেস সিচুয়েশন ব্যাক্ত করে এবং ভবিষ্যৎ অবস্থার আশাবাদ ব্যাক্ত করে।
বাজেট ডেফিসিট – মাস্ট্রিক্ট চুক্তি একটা ক্রাইটেরিয়া ছিল যে ইউরো জোনের অর্থনীতিগুলো তাদের ডেবট-টু-জিডিপি রেশিও ৬০% এর নিচে এবং জিডিপি ডেফিসিট ৩% এর চেয়ে কম হতে হবে। এসব টার্গেট অর্জন না করতে পারলে ইউরোজোনে অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে।
কনজুমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) – ইসিবির একটা মুখ্য উদ্দেশ্য হল প্রাইসে স্থিতিশীলতা, তাই তারা ইনফ্লেশন ইনডিকেটর যেমন সিপিআই এর দিকে সবসময় চোখ রাখে। যদি সিপিআই সেন্ট্রাল ব্যাংকের টার্গেট থেকে সরে যায়, তাহলে ইসিবি তাদের মনেটারি পলিসি ট্যুল ব্যাবহার করে ইনফ্লেশন কন্ট্রোলে রাখে।
কীজন্য ইউরো মুভ করে?
ইউরো জোনের ফান্ডামেন্টাল
ইউরোজোনের শক্তিশালী কোন ইকোনোমিক পারফর্মেন্স, অথবা এর কোন মেম্বার দেশের রিপোর্ট ইউরোকে শক্তিশালী করতে পারে। যেমন, যদি ফ্রান্স এবং জার্মানির জিডিপি রিপোর্ট যা আশা করা হয়েছিলো তার চেয়ে ভালো আসে তাহলে সেটা ট্রেডারদের ইউরোতে বুলিশ করবে।
আঙ্কেল স্যামের গতানুগতিক মুভ
মার্কেট সেন্টিমেন্টে হঠাথ পরিবর্তন, যেটা ইউএস ইকোনোমিক ডাটার মাধ্যমে হয়। সেগুলোর ইউরো/ইউএসডি এর উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।
যেহেতু ইউরো হল অ্যান্টি-ডলার, ইউএস ডলারে যখন রিজার্ভ ডাইভারসিফিকেশনের কথা আসে, সেটা ইউরোকে প্রভাবিত করে। রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে ইউরো, কোন মন্তব্য?
রেট অব রিটার্নে পার্থক্য
১০ বছরের ইউএস সরকারী বন্ড এবং ১০ বছরের বান্ডস (জার্মানির বন্ড) সাধারনত ইউরো/ইউএসডি এর ডায়রেকশন নির্দেশ করে।
যদি ইউএস বন্ড এবং বান্ডসের ইয়েল্ডের পার্থক্য বাড়ে, তাহলে যেদেশ বেশী ইয়েল্ড অফার করে ইউরো/ইউএসডি তাদের পক্ষে মুভ করবে।
বন্ড ইয়েল্ডের মত, ইন্টেরেস্ট রেটের পার্থক্য ইউরো/ইউএসডি মুভমেন্টের জন্য একটা চমৎকার ইনডিকেটর। ট্রেডাররা Euribor ফিউচারের রেটের সাথে Eurodollar এর ফিউচারের রেটের তুলনা করে থাকে।
Euribor হল ইউরো ইন্টারব্যাংক অফার রেট, যেটা ইউরোজোনের ব্যাংকগুলো ইন্টার-ব্যাংক লেনদেনের জন্য ব্যাবহার করে থাকে। আর Eurodollar হল ইউএস ডলারে ডিনমিনেটেড ডিপোজিটসমুহ।
ইউরো/ইউএসডি ট্রেডের কৌশল
ইউরোজোন থেকে শক্তিশালী ইকোনোমিক ফিগারস রিলিজ হবার পরে সাধারনত যেসব মুভ দেখা যায়, সেগুলো সাধারনত ইউরো/ইউএসডি লং করার সুযোগ করে দেয়।
অ্যান্টি-ইউরো মুভ, যেগুলো সাধারনত ইউরোজোনে দুর্বল ইকোনোমিক রিপোর্ট রিলিজ হলে দেখা যায়, সেগুলো ইউরো/ইউএসডি সর্ট করার সুযোগ দেয়।
যেহেতু ইউরো/ইউএসডি ট্রেডারদের ইউএস ডলার সম্পর্কে ধারনা নেয়ার কাজে ব্যাবহার হয়, ইউএস ডলারের ডায়রেকশনের ধারনা নিলে কিছু ভালো ট্রেডিং স্ট্রাটেজি বানানো যায়।
ধরুন, যদি ট্রেডাররা আশা করে যে ইউএস রিটেইল সেলস রিপোর্ট ভালো হবে, তাহলে আপনি সেলের জন্য সুযোগ খুজতে পারেন।
ইউরো/ইউএসডি সাপোর্ট/রেজিস্টান্স টেস্ট অথবা ব্রেক করার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়াও, রিট্রেসমেন্টভিত্তিক ট্রেডিং এখানে ভালো কাজ করে।
ইউরো/ইউএসডিতে রিট্রেসমেন্ট কাজ করার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে। মানে উল্লেখযোগ্য ফিবোনাস্যি লেভেলে ট্রেড করলে লাভ করার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত ট্রেন্ডে যদি এন্ট্রি করা হয় রিট্রেসমেন্টে ট্রেড করলে, তার চেয়ে ভালো এন্ট্রি দেয়।
যদি আপনি দুঃসাহসী হয়ে থেকন, তাহলে অন্যান্য ইউরো পেয়ার যেমন ইউরো/জেপিওয়াই, ইউরো/সিএইচএফ, এবং ইউরো/জিবিপি চেক করে দেখতে পারেন। প্রতিটার নিজস্ব অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
যেমন, ইউরো/জেপিওয়াই, যেটা ইউরো/ইউএসডি এর চেয়ে বেশী ভলাটাইল, লন্ডন এবং এশিয়ান সেশনে বেশী একটিভ থাকে।
ইউরো/জিবিপি এবং ইউরো/সিএইচএফ বেশীরভাগ সময় রেঞ্জবাউন্ড মার্কেট থাকে। পরেরটাতে কম লিকুইডিটি থাকার কারনে বড়বড় স্পাইক দেখা যেতে পারে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইউ) বর্তমানে ২৮টি মেম্বার স্টেটের সম্প্রদায় যেটা ১৯৫১ সালে মাত্র ৬ টি প্রতিবেশী স্টেট নিয়ে গঠিত হয়েছিলো। মাস্ট্রিক্ট চুক্তি (Maastricht Treaty) করার পরে, এটা বড় ধরনের ইকোনোমিক এবং পলিটিকাল গোস্টিতে পরিনত হয়েছে। এখন তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক রিজিয়ন।
ইউ মেম্বার স্টেটগুলোর মধ্যে, ১৭ট দেশ ইউরোকে তাদের কমন কারেন্সি হিসেবে ব্যাবহার করা শুরু করেছে। এই দেশগুলো নিয়ে গঠিত হয় ইউরো জোন, যাকে ইউরোপিয়ান মনেটারি ইউনিয়ন (ইএমইউ) অথবা ইউরোল্যান্ড বলা হয়ে থাকে।
এই অভিজাত ক্লাবের মেম্বার হলঃ অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, এস্টোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাক্সেমবার্গ, মাল্টা, হলণ্ড, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, এবং স্পেন।
কমন কারেন্সি ব্যাবহার করা বাদেও, দেশগুলো একই মনেটারি পলিসি ব্যাবহার করে যেটা ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক (ইসিবি) পরিচালনা করে।
ইউরো জোন ফ্যাক্টস, ফিগারস, এবং ফিচারস
সদস্য দেশসমূহ: অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, এস্তোনিয়াতে, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাক্সেমবার্গ, মাল্টা, হলণ্ড, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, এবং স্পেন
আয়তন: ১৬,৯১,৬৫৮ বর্গ মাইল
জনসংখ্যা: ৫০,৫৬৬,৫৭৩
ঘনত্ব: ৩০০.৯ জন প্রতি বর্গ মাইলে
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান: Jean-Claude Juncker
ইউরোপীয় সংসদের প্রধান: Antonio Tajan
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান: Donald Tusk
মুদ্রা: ইউরো (EUR)
মুখ্য আমদানি: যন্ত্রপাতি, যানবাহন, বিমান, প্লাস্টিক, অশোধিত তেল, রাসায়নিক, বস্ত্র, ধাতু
প্রধান রপ্তানি দ্রব্য: যন্ত্রপাতি, মোটর গাড়ি, বিমান, প্লাস্টিক, ওষুধপত্র এবং অন্যান্য রাসায়নিক। আমদানি পার্টনার: চীন ১৫.৮৯%, মার্কিন ১১.৯৭%, রাশিয়া ১১.২২%, নরওয়ে ৬.১৩%, সুইজারল্যান্ড ৫.১৪%।
রপ্তানি পার্টনার: মার্কিন ১৯.০৭%, রাশিয়া ৮.০৩%, সুইজারল্যান্ড ৭.৪৯%, ৬% চীন, তুরস্ক ৪.১৪%।
সময় অঞ্চল: জিএমটি, জিএমটি +১, জিএমটি +২
ওয়েবসাইট: http://www.europa.eu
ইকোনোমিক ওভারভিউ
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে ইউরো জোন অর্ধেকের বেশী দেশ নিয়ে গঠিত। এটা ২০১১ সালে সবচেয়ে বড় ইকোনোমি হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে। সার্ভিস-ওরিয়েন্টেড ইকোনোমি হওয়াতে, জিডিপির ৭০% এর মত সার্ভিস থেকে আসে।
তার উপরে, ডমেস্টিক এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টরদের জন্য ইউরো জোন নিজেকে ২য় সবচেয়ে আকর্ষণীয় খাত বলে দাবি করে।
ইকোনোমিক ইউনিয়ন হিসেবে, ইউরো জোনের আদর্শায়িত আইন সিস্টেম করেছে। বিশেষ করে লেনদেনের জন্য। তাদের সম্পূর্ণ ইকোনোমির সাইজ ইউরো জোন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
কারন স্বতন্ত্র দেশগুলো জোট বেধে একটা ক্ষেত্র হয়েছে, এটা তাদের লেনদেনের জন্য সুবিধাজনক হয়েছে। বিশেষ করে তাদের প্রধান ট্রেড পার্টনারের সাথে, ইউএস।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এই সক্রিয় অংশগ্রহন ইউরোর রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে ব্যাবহারের উপরে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
এর কারন হল যেসব দেশ ইউরো জোনে ট্রেড করে তাদের পর্যাপ্ত পরিমানে রিজার্ভ কারেন্সি রাখার প্রয়োজন হয় যাতে এক্সচেঞ্জ রেট রিস্ক এবং ট্রাঞ্জাকশন কস্ট কম হয়।
মনেটারি এবং ফিস্ক্যাল পলিসি
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মনেটারি পলিসির পরিচালনার দায়িত্বে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক (ইসিবি) আছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ড হল মারিও দ্রাঘি। এর এক্সেকিউটিভ বোর্ড ইসিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং আরও চারজন পলিসিমেকার নিয়ে গঠিত।
ইউরো জোনে জাতীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রধানদের নিয়ে, ইসিবি গভারনিং কাউন্সিল গঠিত হয় যারা মনেটারি পলিসি পরিবর্তনে ভোট দেয়।
ইসিবির প্রধান উদ্দেশ্য হল প্রাইসে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। এই উদ্দেশ্য সাধন করতে, ইউরো জোন মাস্ট্রিক্ট চুক্তি সাইন করেছে যেটা মেম্বার দেশগুলোর জন্য কিছু মানদণ্ড প্রয়োগ করে থাকে। নিম্নে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস দেয়া হলঃ
- দেশের ইনফ্লেশন রেট সেরা পারফর্মিং দেশের (যেদেশের ইনফ্লেশন সবচেয়ে কম) চেয়া ১.৫% এর বেশী ছাড়াতে পারবে না।
- যে দেশের ইনফ্লেশন কম, লং-টার্ম ইন্টেরেস্ট রেট সে দেশগুলোর চেয়ে ২% এর বেশী অতিক্রম করতে পারবে না।
- এক্সচেঞ্জ রেট কমপক্ষে বিগত কয়েক বছরের এক্সচেঞ্জ রেট মেকানিজমের মধ্যে থাকতে হবে।
- সরকারী ঘাটতি জিডিপির ৩% এর কম হতে হবে।
যদি কোন দেশ এসব কন্ডিশন না পুরন করতে পারে, তাহলে তাদের বড় ধরনের ফাইন দিতে হয়।
মনেটারি পলিসি ট্যুল হিসেবে ইসিবি মিনিমাম বিড রেট এবং ওপেন মার্কেট অপারেশন ব্যাবহার করে।
ইসিবির মিনিমাম বিড রেট অথবা রেপো রেট হল রেট অব রিটার্ন যেটা সেন্ট্রাল ব্যাংক তার মেম্বার স্টেটের সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলোকে অফার করে। তারা এসব রেট ইনফ্লেশন কন্ট্রোল করার কাজে ব্যাবহার করে।
অন্যদিকে ওপেন মার্কেট অপারেশনস ইন্টেরেস্ট রেট ম্যানেজ করা, লিকুইডিটি কন্ট্রোল, এবং মনেটারি পলিসি স্থাপনের কাজে ব্যাবহার করা হয়। এসব অপারেশন মার্কেটে সরকারী সিকিউরিটিজ কেনাবেচার মাধ্যমে করা হয়।
লিকুইডিটি বাড়াতে, ইসিবি ইউরো দিয়ে সিকিউরিটিজ ক্রয় করে, যেটা পরে সার্কুলেটেড হয়। অন্যদিকে লিকুইডিটি কমাতে, ইসিবি ইউরো দিয়ে সিকিউরিটি সেল করে।
এসব মনেটারি ট্যুল ব্যাবহার ছাড়াও, ইনফ্লেশন কন্ট্রোল করতে ইসিবি ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটে হস্তক্ষেপ করে থাকে। একারনে ট্রেডাররা গভারনিং কাউন্সিল মেম্বারদের বক্তৃতার সময় কান খোলা রাখে, যেহেতু এটা ইউরোর উপরে প্রভাব ফেলতে পারে।
ইউরোকে চেনা
অ্যান্টি-ডলার নাম ছাড়াও, ইউরোকে “ফাইবার” বলা হয়ে থাকে। অনেকে বলে এই নাম ট্রান্স-আটলান্টিক ফাইবার অপটিক থেকে এসেছে। এটা যোগাযোগের জন্য ব্যাবহৃত হয়েছিলো। অনেকে আবার বলে যে এটা অনেক আগে যে ইউরোপিয়ান ব্যাংকনোট প্রিন্ট করতে যে কাগজ ব্যাবহার করা হত তার থেকে এসেছে। নিচে ইউরোর কিছু বৈশিষ্ট্য দেয়া হলঃ
আমাকে অ্যান্টি-ডলার বলা হয়!
ইউরো/ইউএসডি সবচেয়ে বেশী ট্রেড করা হয়ে থাকে। এটা মেজর পেয়ারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী লিকুইড এবং সবচেয়ে কম স্প্রেড অফার করে থাকে।
লন্ডন সেশনে আমি ব্যাস্ত থাকি...
ইউরো সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার হয় সকাল ৮:০০ (জিএমটি) ঘটিকায়, যখন লন্ডন সেশন শুরু হয়। ইউএস এর শেষের অর্ধেক সেশনে এর মুভমেন্ট কম থাকে। বিকাল ৫:০০ (জিএমটি) ঘটিকার দিকে।
...আর আমার কিছু রিলেশনশিপ আছে
ইউরো/ইউএসডি কে প্রায়ই ক্যাপিটাল মার্কেটের (বন্ডস এবং ইকুইট) সাথে মিলিত করা হয়। এটা S&P 500 যেটা ইউএস স্টক মার্কেটের পারফর্মেন্স দেখায়, সেটার মুভমেন্টের সাথে নেগেটিভ কোরিলেশন ব্যাক্ত করে।
এই কোরিলেশন ২০০৭ সালের ক্রাইসিসের পরে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। এখন ইউরো/ইউএসডি আর S&P 500 এর হালকা পজিটিভ কোরিলেশন দেখা যায়।
ইউরো/ইউএসডি আর ইউএসডি/সিএইচএফ নেগেটিভলি কোরিলেটেড, যেটা ইউরো এবং সিএইচএফের প্রায় পারফেক্ট ট্যান্ডেমে মুভমেন্ট দেখায়।
ইউরোর কিছু প্রয়োজনীয় ইনডিকেটর
গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিডিপি) – জিডিপি হল কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান পরিমাপক। যেহেতু জার্মানি ইউরো জোনের সবচেয়ে বড় ইকোনোমি, এর জিডিপি ইউরোকে সবচেয়ে বেশী মুভ করে থাকে।
কর্মসংস্থান পরিবর্তন – ইউরো কর্মসংস্থান পরিবর্তনে সংবেদনশীল, বিশেষকরে ইউরো জোনের সবচেয়ে বড় ইকোনোমি, জার্মান এবং ফ্রান্স।
জার্মান ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন – এই জার্মানির ম্যানুফ্যাকচারিং, মাইনিং এবং কোয়ারিং শিল্প থেকে আউটপুট ভলিউম পরিবর্তন পরিমাপ করে। এটা জার্মানের সর্ট-টার্ম ইন্ডাস্ট্রিয়াল কার্যকলাপের স্ট্রেনথ দেখায়।
জার্মান আইএফও বিজনেস ক্লাইমেট সার্ভে – এটা জার্মানের একটা প্রধান বিজনেস সার্ভে যেটা প্রতিমাসে করা হয়। এটা জার্মানের বর্তমান বিসজেস সিচুয়েশন ব্যাক্ত করে এবং ভবিষ্যৎ অবস্থার আশাবাদ ব্যাক্ত করে।
বাজেট ডেফিসিট – মাস্ট্রিক্ট চুক্তি একটা ক্রাইটেরিয়া ছিল যে ইউরো জোনের অর্থনীতিগুলো তাদের ডেবট-টু-জিডিপি রেশিও ৬০% এর নিচে এবং জিডিপি ডেফিসিট ৩% এর চেয়ে কম হতে হবে। এসব টার্গেট অর্জন না করতে পারলে ইউরোজোনে অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে।
কনজুমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) – ইসিবির একটা মুখ্য উদ্দেশ্য হল প্রাইসে স্থিতিশীলতা, তাই তারা ইনফ্লেশন ইনডিকেটর যেমন সিপিআই এর দিকে সবসময় চোখ রাখে। যদি সিপিআই সেন্ট্রাল ব্যাংকের টার্গেট থেকে সরে যায়, তাহলে ইসিবি তাদের মনেটারি পলিসি ট্যুল ব্যাবহার করে ইনফ্লেশন কন্ট্রোলে রাখে।
কীজন্য ইউরো মুভ করে?
ইউরো জোনের ফান্ডামেন্টাল
ইউরোজোনের শক্তিশালী কোন ইকোনোমিক পারফর্মেন্স, অথবা এর কোন মেম্বার দেশের রিপোর্ট ইউরোকে শক্তিশালী করতে পারে। যেমন, যদি ফ্রান্স এবং জার্মানির জিডিপি রিপোর্ট যা আশা করা হয়েছিলো তার চেয়ে ভালো আসে তাহলে সেটা ট্রেডারদের ইউরোতে বুলিশ করবে।
আঙ্কেল স্যামের গতানুগতিক মুভ
মার্কেট সেন্টিমেন্টে হঠাথ পরিবর্তন, যেটা ইউএস ইকোনোমিক ডাটার মাধ্যমে হয়। সেগুলোর ইউরো/ইউএসডি এর উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।
যেহেতু ইউরো হল অ্যান্টি-ডলার, ইউএস ডলারে যখন রিজার্ভ ডাইভারসিফিকেশনের কথা আসে, সেটা ইউরোকে প্রভাবিত করে। রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে ইউরো, কোন মন্তব্য?
রেট অব রিটার্নে পার্থক্য
১০ বছরের ইউএস সরকারী বন্ড এবং ১০ বছরের বান্ডস (জার্মানির বন্ড) সাধারনত ইউরো/ইউএসডি এর ডায়রেকশন নির্দেশ করে।
যদি ইউএস বন্ড এবং বান্ডসের ইয়েল্ডের পার্থক্য বাড়ে, তাহলে যেদেশ বেশী ইয়েল্ড অফার করে ইউরো/ইউএসডি তাদের পক্ষে মুভ করবে।
বন্ড ইয়েল্ডের মত, ইন্টেরেস্ট রেটের পার্থক্য ইউরো/ইউএসডি মুভমেন্টের জন্য একটা চমৎকার ইনডিকেটর। ট্রেডাররা Euribor ফিউচারের রেটের সাথে Eurodollar এর ফিউচারের রেটের তুলনা করে থাকে।
Euribor হল ইউরো ইন্টারব্যাংক অফার রেট, যেটা ইউরোজোনের ব্যাংকগুলো ইন্টার-ব্যাংক লেনদেনের জন্য ব্যাবহার করে থাকে। আর Eurodollar হল ইউএস ডলারে ডিনমিনেটেড ডিপোজিটসমুহ।
ইউরো/ইউএসডি ট্রেডের কৌশল
ইউরোজোন থেকে শক্তিশালী ইকোনোমিক ফিগারস রিলিজ হবার পরে সাধারনত যেসব মুভ দেখা যায়, সেগুলো সাধারনত ইউরো/ইউএসডি লং করার সুযোগ করে দেয়।
অ্যান্টি-ইউরো মুভ, যেগুলো সাধারনত ইউরোজোনে দুর্বল ইকোনোমিক রিপোর্ট রিলিজ হলে দেখা যায়, সেগুলো ইউরো/ইউএসডি সর্ট করার সুযোগ দেয়।
যেহেতু ইউরো/ইউএসডি ট্রেডারদের ইউএস ডলার সম্পর্কে ধারনা নেয়ার কাজে ব্যাবহার হয়, ইউএস ডলারের ডায়রেকশনের ধারনা নিলে কিছু ভালো ট্রেডিং স্ট্রাটেজি বানানো যায়।
ধরুন, যদি ট্রেডাররা আশা করে যে ইউএস রিটেইল সেলস রিপোর্ট ভালো হবে, তাহলে আপনি সেলের জন্য সুযোগ খুজতে পারেন।
ইউরো/ইউএসডি সাপোর্ট/রেজিস্টান্স টেস্ট অথবা ব্রেক করার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়াও, রিট্রেসমেন্টভিত্তিক ট্রেডিং এখানে ভালো কাজ করে।
ইউরো/ইউএসডিতে রিট্রেসমেন্ট কাজ করার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে। মানে উল্লেখযোগ্য ফিবোনাস্যি লেভেলে ট্রেড করলে লাভ করার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত ট্রেন্ডে যদি এন্ট্রি করা হয় রিট্রেসমেন্টে ট্রেড করলে, তার চেয়ে ভালো এন্ট্রি দেয়।
যদি আপনি দুঃসাহসী হয়ে থেকন, তাহলে অন্যান্য ইউরো পেয়ার যেমন ইউরো/জেপিওয়াই, ইউরো/সিএইচএফ, এবং ইউরো/জিবিপি চেক করে দেখতে পারেন। প্রতিটার নিজস্ব অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
যেমন, ইউরো/জেপিওয়াই, যেটা ইউরো/ইউএসডি এর চেয়ে বেশী ভলাটাইল, লন্ডন এবং এশিয়ান সেশনে বেশী একটিভ থাকে।
ইউরো/জিবিপি এবং ইউরো/সিএইচএফ বেশীরভাগ সময় রেঞ্জবাউন্ড মার্কেট থাকে। পরেরটাতে কম লিকুইডিটি থাকার কারনে বড়বড় স্পাইক দেখা যেতে পারে।