মাত্র ৬ ধাপে নিজস্ব ট্রেডিং ট্রেডিং সিস্টেম সাজানো
এই আর্টিকেলের আসল উদ্দেশ্য হল আপনাকে নিজস্ব ট্রেডিং সিস্টেম বানানোর প্রক্রিয়া দেখানো। একটা সিস্টেম বানাতে বেশী সময় লাগে না, কিন্তু সেটাকে টেস্ট করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। তাই ধৈর্য রাখবেন; লং রানে একটা ভালো সিস্টেম আপনাকে অনেক লাভবান হবার সুযোগ দেবে।
১ম ধাপঃ টাইমফ্রেম
প্রথমে আপনার যা জানার দরকার তা হল আপনি কোন ধরনের ট্রেডার।
আপনি ডে-ট্রেডার নাকি সুইং ট্রেডার? আপনার কি প্রতিদিন চার্ট দেখতে ভালো লাগে নাকি প্রতি সপ্তাহে, নাকি প্রতি মাসে, নাকি বছরে? ওপেন পজিশন আপনি কতদিন পর্যন্ত ধরে রাখার মনমানসিকতা আছে আপনার?
এগুলো আপনি কোন টাইমফ্রেম ব্যাবহার করবেন তা নির্ধারণ করতে সহায়তা করবে। যদিও আপনি মাল্টিপল টাইমফ্রেম ব্যাবহার করে থাকেন, এই টাইমফ্রেম আপনি ট্রেড সিগন্যালের জন্য ব্যাবহার করবেন।
২য় ধাপঃ ইনডিকেটর যা নতুন ট্রেন্ড চিনহিত করতে সহায়তা করবে।
যেহেতু আমাদের লক্ষ্য থাকে যে ট্রেন্ড যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটা চিনহিত করা, আমাদের সেসব ইনডিকেটর ব্যাবহার করা উচিৎ যা সেটা সাধন করতে পারে। মুভিং এভারেজ সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনডিকেটরের মধ্যে একটি যা ট্রেডাররা ট্রেন্ড চিনহিত করতে ব্যাবহার করে।
বিশেষকরে ২টা মুভিং এভারেজ (একটা স্লো আর একটা ফাস্ট) ব্যাবহার করা হয় আর ফাস্ট মুভিং এভারেজ স্লো মুভিং এভারেজ ক্রস করার জন্য অপেক্ষা করা হয়। এটা “moving average crossover” সিস্টেমের ভিত্তি হিসেবে ব্যাবরিত হয়।
মুভিং এভারেজ ক্রসওভার হল নতুন ট্রেন্ড চিনহিত করার সবচেয়ে দ্রুত উপায়। এটা আবার ট্রেন্ড চিনহিত করার সবচেয়ে সহজ উপায়।
মার্কেটে ট্রেন্ড চিনহিত করার জন্য আরো অনেক উপায় আছে, কিন্তু মুভিং এভারেজ সবচেয়ে সহজ।
৩য় ধাপঃ ইনডিকেটর যা ট্রেন্ড নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের ২য় লক্ষ্য হবে যে কিভাবে whipsaws থেকে বাচা যায়। মানে আমরা ফলস ট্রেন্ডে ফেসে যাওয়া থেকে বাঁচবো কিভাবে। একটা কাজ করা যায় তা হল যখন নতুন কোন ট্রেন্ডের সিগন্যাল পাওয়া যায়, তখন অন্য ইনডিকেটরের সাহায্য নিয়ে সেটা নিশ্চিত করা।
অনেক ইনডিকেটর আছে যা ট্রেন্ড নিশ্চিত করে। যেমন ম্যাকডি, স্টোকাস্টিক, আরএসআই ইত্যাদি। আপনি যখন বিভিন্ন ধরনের ইনডিকেটরের সাথে পরিচিত হবেন, তখন আপনার পছন্দমত ইনডিকেটর আপনি খুজে পেয়ে যাবেন, আর সেটা নিজের সিস্টেমে ব্যাবহার করতে পারবেন।
৪র্থ ধাপঃ রিস্ক নির্ধারণ করুন
যখন ট্রেডিং সিস্টেম ডেভেলপ করবেন, এটা নির্ধারণ করা জরুরী যে প্রতি ট্রেডে আপনি কতটা রিস্ক নিতে ইচ্ছুক। বেশীরভাগ ট্রেডাররাই লস নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করে না, কিন্তু সত্যি বলতে, একটা ভালো ট্রেডার কতটা লাভ করতে পারে তার আগে সবসময় চিন্তা করবে যে সে কতটা লস করতে পারে।
আপনি কতটা হারাতে পারেন সেটা অন্যদের চেয়ে ভিন্ন হবে। আপনার নিজেকে স্থির করতে হবে যে আপনি কতটুকু হারাতে সক্ষম, আর সেই সাথে এটাও বলবো যে প্রতি ট্রেডে খুব বেশী রিস্ক নেবেন না। মানি ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। প্রতি ট্রেডে কতটুকু রিস্ক নেবেন মানি ম্যানেজমেন্ট সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
৫ম ধাপঃ এন্ট্রি এবং এক্সিট নির্ধারণ করুন
কতটুকু হারাতে সক্ষম আপনি, সেটা নির্ধারণ করার পরে আসবে কোন পয়েন্টে ট্রেডে এন্ট্রি এবং এক্সিট করলে সবচেয়ে বেশী লাভ আসবে।
কেউকেউ যখন তাদের ইনডিকেটর সিগন্যাল দেয় তখন ট্রেড দিতে পছন্দ করে। আবার অনেকে ট্রেডের জন্য ক্যান্ডেল ক্লোজ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে। জ্ঞানীগুণীরা বলেন যে ক্যান্ডেল ক্লোজের জন্য অপেক্ষা করা ভালো।
এটা আসলে ট্রেডিং স্টাইলের উপরে নির্ভর করে, কেউকেউ একে অন্যের চেয়ে বেশী এগ্রেসিভ হয়ে থাকে। সময়ের সাথে আপনি জানতে পারবেন যে আপনি কোন ধরনের ট্রেডার।
এক্সিটের জন্য, আপনার কাছে কয়েকটা অপশন থাকে। একটা উপায় হল “Trailing Stop”, মানে প্রাইস যখন আপনার অনুকুলে X পরিমানে মুভ করবে, আপনি আপনার স্টপ লস X পরিমানে এগিয়ে নেবেন। এটা ম্যানুয়ালি করা যায় অথবা ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মে অপশন থাকে।
এক্সিটের আরেকটা উপায় হল, টার্গেট সেট করে নেয়া আর যখন প্রাইস সেই টার্গেটে হিট করবে ট্রেড এক্সিট করবে। টার্গেট কিভাবে নির্ধারণ করবেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করে। অনেকে সাপোর্ট/রেজিস্টান্স লেভেল ব্যাবহার করে থাকে।
অনেকে আবার নির্দিষ্ট পরিমানে পিপ গননা করে ট্রেড করে। আপনি যেভাবেই নিজের টার্গেট নির্ধারণ করুন না কেন, এটুকু নিশ্চিত হয়ে নেবেন যে আপনি সেটা অনুসরন করছেন। যাই হোক আগে এক্সিট করার চেস্টা করবেন না। নিজের সিস্টেমের অনুযায়ী ট্রেড করুন! যাই হোক, আপনি সেটা ডেভেলপ করেছেন।
এক্সিটের আরেকটা উপায় হল আপনি কিছু মানদণ্ড ঠিক করে রাখবেন, সেগুলো আপনাকে এক্সিটের সিগন্যাল দেবে। যেমন, আপনি ঠিক করলেন যে আপনার ইনডিকেটর একটা নির্দিষ্ট পরিমানে রিভার্স করলে, আপনি আপনার ট্রেড বন্ধ করে দেবেন।
৬ষ্ঠ ধাপঃ সিস্টেমের নিয়ম লিখে রাখুন আর সেটা কঠোরভাবে অনুসরন করুন!
ট্রেডিং সিস্টেম তৈরিতে এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আপনি আপনার ট্রেডিং সিস্টেম লিখে সেটা দেয়ালে লাগিয়ে রাখবেন আর সেটা অনুসরন করবেন।
ডিসিপ্লিন হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশিষ্টের মধ্যে একটা যা ট্রেডারদের থাকতে হবেই, তাই সবসময় নিজের সিস্টেম অনুযায়ী কাজ করার কথা মনে রাখতে হবে! আপনার জন্য কোন সিস্টেমই কাজ করবে না যদি আপনি নিয়ম অনুসরন না করেন। তাই সবসময় মনে রাখবেন ডিসিপ্লিন মানতে হবে।
আরেকটা কথা, এটা কি বলেছিলাম যে সবসময় নিয়ম মেনে চলবেন?
ট্রেডিং সিস্টেম কিভাবে টেস্ট করতে হয়
ট্রেডিং সিস্টেম টেস্টের সবচেয়ে দ্রুত উপায় হল একটা চার্টিং সফটওয়্যার ব্যাবহার করা যেখানে আপনি হিস্টোরিক্যাল ডাটার উপরে ট্রেড করতে পারবেন। এতে আপনি নিজের রুল অনুসরন করে দেখতে পারবেন যে আপনার সিস্টেম কেমন করছে।
নিজের ট্রেডিং রেকর্ডগুলোকে রেকর্ড করুন, আর নিজের সাথে সৎ থাকবেন! নিজের লাভ, লস, এভারেজ লাভের হার, এবং এভারেজ লসের হার সব রেকর্ড করুন। যদি নিজের রেজাল্টের উপর আপনি খুশি হয়ে থাকেন তাহলে পরের ধাপ হল – লাইভ ট্রেড করা ডেমো অ্যাকাউন্টে।
নতুন ট্রেডিং সিস্টেম ডেমো অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে ২ মাস ট্রেড করে দেখুন। এটা আপনাকে একটা ধারনা দেবে যে যখন মার্কেট মুভ করে আপনার কি অবস্থা হয়। এটুকু বিশ্বাস করুন যে ব্যাকটেস্টিঙ্গের চেয়ে লাইভ ট্রেডিং অনেক আলাদা।
২মাস পরে আপনি ধারনা পাবেন যে আপনার সিস্টেম মার্কেটে টিকে থাকতে পারবেন কিনা। যদি আপনি ভালো রেজাল্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে রিয়েল অ্যাকাউন্টে ট্রেড করার চিন্তা করতে পারেন।
এই পর্যায়ে, নিজের সিস্টেমের প্রতি আত্মবিশ্বাস চলে আসবে আর ট্রেডের সময় কম দ্বিধাবোধ করবেন।
এই আর্টিকেলের আসল উদ্দেশ্য হল আপনাকে নিজস্ব ট্রেডিং সিস্টেম বানানোর প্রক্রিয়া দেখানো। একটা সিস্টেম বানাতে বেশী সময় লাগে না, কিন্তু সেটাকে টেস্ট করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। তাই ধৈর্য রাখবেন; লং রানে একটা ভালো সিস্টেম আপনাকে অনেক লাভবান হবার সুযোগ দেবে।
১ম ধাপঃ টাইমফ্রেম
প্রথমে আপনার যা জানার দরকার তা হল আপনি কোন ধরনের ট্রেডার।
আপনি ডে-ট্রেডার নাকি সুইং ট্রেডার? আপনার কি প্রতিদিন চার্ট দেখতে ভালো লাগে নাকি প্রতি সপ্তাহে, নাকি প্রতি মাসে, নাকি বছরে? ওপেন পজিশন আপনি কতদিন পর্যন্ত ধরে রাখার মনমানসিকতা আছে আপনার?
এগুলো আপনি কোন টাইমফ্রেম ব্যাবহার করবেন তা নির্ধারণ করতে সহায়তা করবে। যদিও আপনি মাল্টিপল টাইমফ্রেম ব্যাবহার করে থাকেন, এই টাইমফ্রেম আপনি ট্রেড সিগন্যালের জন্য ব্যাবহার করবেন।
২য় ধাপঃ ইনডিকেটর যা নতুন ট্রেন্ড চিনহিত করতে সহায়তা করবে।
যেহেতু আমাদের লক্ষ্য থাকে যে ট্রেন্ড যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটা চিনহিত করা, আমাদের সেসব ইনডিকেটর ব্যাবহার করা উচিৎ যা সেটা সাধন করতে পারে। মুভিং এভারেজ সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনডিকেটরের মধ্যে একটি যা ট্রেডাররা ট্রেন্ড চিনহিত করতে ব্যাবহার করে।
বিশেষকরে ২টা মুভিং এভারেজ (একটা স্লো আর একটা ফাস্ট) ব্যাবহার করা হয় আর ফাস্ট মুভিং এভারেজ স্লো মুভিং এভারেজ ক্রস করার জন্য অপেক্ষা করা হয়। এটা “moving average crossover” সিস্টেমের ভিত্তি হিসেবে ব্যাবরিত হয়।
মুভিং এভারেজ ক্রসওভার হল নতুন ট্রেন্ড চিনহিত করার সবচেয়ে দ্রুত উপায়। এটা আবার ট্রেন্ড চিনহিত করার সবচেয়ে সহজ উপায়।
মার্কেটে ট্রেন্ড চিনহিত করার জন্য আরো অনেক উপায় আছে, কিন্তু মুভিং এভারেজ সবচেয়ে সহজ।
৩য় ধাপঃ ইনডিকেটর যা ট্রেন্ড নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের ২য় লক্ষ্য হবে যে কিভাবে whipsaws থেকে বাচা যায়। মানে আমরা ফলস ট্রেন্ডে ফেসে যাওয়া থেকে বাঁচবো কিভাবে। একটা কাজ করা যায় তা হল যখন নতুন কোন ট্রেন্ডের সিগন্যাল পাওয়া যায়, তখন অন্য ইনডিকেটরের সাহায্য নিয়ে সেটা নিশ্চিত করা।
অনেক ইনডিকেটর আছে যা ট্রেন্ড নিশ্চিত করে। যেমন ম্যাকডি, স্টোকাস্টিক, আরএসআই ইত্যাদি। আপনি যখন বিভিন্ন ধরনের ইনডিকেটরের সাথে পরিচিত হবেন, তখন আপনার পছন্দমত ইনডিকেটর আপনি খুজে পেয়ে যাবেন, আর সেটা নিজের সিস্টেমে ব্যাবহার করতে পারবেন।
৪র্থ ধাপঃ রিস্ক নির্ধারণ করুন
যখন ট্রেডিং সিস্টেম ডেভেলপ করবেন, এটা নির্ধারণ করা জরুরী যে প্রতি ট্রেডে আপনি কতটা রিস্ক নিতে ইচ্ছুক। বেশীরভাগ ট্রেডাররাই লস নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করে না, কিন্তু সত্যি বলতে, একটা ভালো ট্রেডার কতটা লাভ করতে পারে তার আগে সবসময় চিন্তা করবে যে সে কতটা লস করতে পারে।
আপনি কতটা হারাতে পারেন সেটা অন্যদের চেয়ে ভিন্ন হবে। আপনার নিজেকে স্থির করতে হবে যে আপনি কতটুকু হারাতে সক্ষম, আর সেই সাথে এটাও বলবো যে প্রতি ট্রেডে খুব বেশী রিস্ক নেবেন না। মানি ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। প্রতি ট্রেডে কতটুকু রিস্ক নেবেন মানি ম্যানেজমেন্ট সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
৫ম ধাপঃ এন্ট্রি এবং এক্সিট নির্ধারণ করুন
কতটুকু হারাতে সক্ষম আপনি, সেটা নির্ধারণ করার পরে আসবে কোন পয়েন্টে ট্রেডে এন্ট্রি এবং এক্সিট করলে সবচেয়ে বেশী লাভ আসবে।
কেউকেউ যখন তাদের ইনডিকেটর সিগন্যাল দেয় তখন ট্রেড দিতে পছন্দ করে। আবার অনেকে ট্রেডের জন্য ক্যান্ডেল ক্লোজ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে। জ্ঞানীগুণীরা বলেন যে ক্যান্ডেল ক্লোজের জন্য অপেক্ষা করা ভালো।
এটা আসলে ট্রেডিং স্টাইলের উপরে নির্ভর করে, কেউকেউ একে অন্যের চেয়ে বেশী এগ্রেসিভ হয়ে থাকে। সময়ের সাথে আপনি জানতে পারবেন যে আপনি কোন ধরনের ট্রেডার।
এক্সিটের জন্য, আপনার কাছে কয়েকটা অপশন থাকে। একটা উপায় হল “Trailing Stop”, মানে প্রাইস যখন আপনার অনুকুলে X পরিমানে মুভ করবে, আপনি আপনার স্টপ লস X পরিমানে এগিয়ে নেবেন। এটা ম্যানুয়ালি করা যায় অথবা ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মে অপশন থাকে।
এক্সিটের আরেকটা উপায় হল, টার্গেট সেট করে নেয়া আর যখন প্রাইস সেই টার্গেটে হিট করবে ট্রেড এক্সিট করবে। টার্গেট কিভাবে নির্ধারণ করবেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করে। অনেকে সাপোর্ট/রেজিস্টান্স লেভেল ব্যাবহার করে থাকে।
অনেকে আবার নির্দিষ্ট পরিমানে পিপ গননা করে ট্রেড করে। আপনি যেভাবেই নিজের টার্গেট নির্ধারণ করুন না কেন, এটুকু নিশ্চিত হয়ে নেবেন যে আপনি সেটা অনুসরন করছেন। যাই হোক আগে এক্সিট করার চেস্টা করবেন না। নিজের সিস্টেমের অনুযায়ী ট্রেড করুন! যাই হোক, আপনি সেটা ডেভেলপ করেছেন।
এক্সিটের আরেকটা উপায় হল আপনি কিছু মানদণ্ড ঠিক করে রাখবেন, সেগুলো আপনাকে এক্সিটের সিগন্যাল দেবে। যেমন, আপনি ঠিক করলেন যে আপনার ইনডিকেটর একটা নির্দিষ্ট পরিমানে রিভার্স করলে, আপনি আপনার ট্রেড বন্ধ করে দেবেন।
৬ষ্ঠ ধাপঃ সিস্টেমের নিয়ম লিখে রাখুন আর সেটা কঠোরভাবে অনুসরন করুন!
ট্রেডিং সিস্টেম তৈরিতে এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আপনি আপনার ট্রেডিং সিস্টেম লিখে সেটা দেয়ালে লাগিয়ে রাখবেন আর সেটা অনুসরন করবেন।
ডিসিপ্লিন হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশিষ্টের মধ্যে একটা যা ট্রেডারদের থাকতে হবেই, তাই সবসময় নিজের সিস্টেম অনুযায়ী কাজ করার কথা মনে রাখতে হবে! আপনার জন্য কোন সিস্টেমই কাজ করবে না যদি আপনি নিয়ম অনুসরন না করেন। তাই সবসময় মনে রাখবেন ডিসিপ্লিন মানতে হবে।
আরেকটা কথা, এটা কি বলেছিলাম যে সবসময় নিয়ম মেনে চলবেন?
ট্রেডিং সিস্টেম কিভাবে টেস্ট করতে হয়
ট্রেডিং সিস্টেম টেস্টের সবচেয়ে দ্রুত উপায় হল একটা চার্টিং সফটওয়্যার ব্যাবহার করা যেখানে আপনি হিস্টোরিক্যাল ডাটার উপরে ট্রেড করতে পারবেন। এতে আপনি নিজের রুল অনুসরন করে দেখতে পারবেন যে আপনার সিস্টেম কেমন করছে।
নিজের ট্রেডিং রেকর্ডগুলোকে রেকর্ড করুন, আর নিজের সাথে সৎ থাকবেন! নিজের লাভ, লস, এভারেজ লাভের হার, এবং এভারেজ লসের হার সব রেকর্ড করুন। যদি নিজের রেজাল্টের উপর আপনি খুশি হয়ে থাকেন তাহলে পরের ধাপ হল – লাইভ ট্রেড করা ডেমো অ্যাকাউন্টে।
নতুন ট্রেডিং সিস্টেম ডেমো অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে ২ মাস ট্রেড করে দেখুন। এটা আপনাকে একটা ধারনা দেবে যে যখন মার্কেট মুভ করে আপনার কি অবস্থা হয়। এটুকু বিশ্বাস করুন যে ব্যাকটেস্টিঙ্গের চেয়ে লাইভ ট্রেডিং অনেক আলাদা।
২মাস পরে আপনি ধারনা পাবেন যে আপনার সিস্টেম মার্কেটে টিকে থাকতে পারবেন কিনা। যদি আপনি ভালো রেজাল্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে রিয়েল অ্যাকাউন্টে ট্রেড করার চিন্তা করতে পারেন।
এই পর্যায়ে, নিজের সিস্টেমের প্রতি আত্মবিশ্বাস চলে আসবে আর ট্রেডের সময় কম দ্বিধাবোধ করবেন।