Facebook Twitter LinkedIn google plusone
02 - ট্রেড পরিচিতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
02 - ট্রেড পরিচিতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

04 বিভিন্ন ধরনের অর্ডার

বিভিন্ন ধরনের অর্ডার

আপনার ব্রোকার আপনাকে বিভিন্নভাবে ট্রেড অর্ডার প্লেস করার সুযোগ দিবে। এখানে অর্ডার মানে আপনি কিভাবে ট্রেড শুরু ও শেষ করবেন তা বুঝায়। চলুন দেখি মার্কেটে কি কি ভাবে অর্ডার ব্যাবহার করার ব্যাবস্থা আছে:

অর্ডার টেবিল

নিম্নের ছবিটি দেখুন


ফরেক্স অর্ডার


Symbol - আপনি কোন কারেন্সি পেয়ার ট্রেড করতে চান সেটা এখানে দেখায়।

Volume - আমরা যে লট ( ১ লট= ১০০,০০০ ইউনিট) পড়েছিলাম সেটাকে Volume বলে।

Stop Loss - প্রাইস যদি একটা নির্দিস্ট পরিমান লস খায় তাহলে ট্রেড নিজে নিজেই ক্লোজ হয়ে যাবে।

Take Profit - প্রাইস যদি একটা নির্দিস্ট পরিমান লাভ পায় তাহলে ট্রেড নিজে নিজেই ক্লোজ হয়ে যাবে।

Comment - আপনি যদি আপনার ট্রেডে কোন নোট করতে চান তাহলে তা এখানে করতে পারবেন।

Type - এখানে ২ রকম অর্ডার প্লেস করতে পারবেন। নিম্নে এগুলো বিস্তারিত দেয়া হয়েছে।

Sell & Buy Button - এই বাটন ২ টি দিয়ে বাই অথবা সেল দেয়া হয়।



বিভিন্ন ধরনের অর্ডার

ইনস্ট্যান্ট এক্সিকিউশন

আপনি যদি বর্তমান মার্কেট মূল্যে অর্ডার প্লেস করতে চান তাহলে সেটা ইনস্ট্যান্ট এক্সিকিউশনে করতে হয়। উপরের ছবিটা দেখুন। বিড এবং আসক প্রাইস দেয়া আছে। আপনি বাই/সেল যেকোন বাটনে ক্লিক করলে সঙ্গে সঙ্গে ট্রেড শুরু হয়ে যাবে।

পেন্ডিং অর্ডার

যদি প্রাইস একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে গেলে আপনি ট্রেড শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে পেন্ডিং অর্ডার ব্যাবহার করতে হবে। পেন্ডিং অর্ডারের আবার ধরন আছে।

লিমিট অর্ডার

সেল লিমিট: যখন আপনি বর্তমান প্রইসের চেয়ে বেশি ভ্যালুতে সেল করতে চান, তখন এটা ব্যাবহার করেন। ধরুন EUR/USD এর বর্তমান প্রাইস ১.৩২৬৫। আপনি সেল করতে চান যখন প্রাইস ১.৩৩১৫ এ যাবে। তখন আপনি সেল লিমিট অর্ডার দেবেন।

বাই লিমিট: যখন আপনি বর্তমান প্রইসের চেয়ে কম ভ্যালুতে বাই করতে চান, তখন এটা ব্যাবহার করেন। ধরুন EUR/USD এর বর্তমান প্রাইস ১.৩২৬৫। আপনি বাই করতে চান যখন প্রাইস ১.৩২৩১ এ যাবে। তখন আপনি বাই লিমিট অর্ডার দেবেন।

স্টপ অর্ডার

বাই স্টপ: যখন আপনি বর্তমান প্রইসের চেয়ে বেশি ভ্যালুতে বাই করতে চান, তখন এটা ব্যাবহার করেন। ধরুন EUR/USD এর বর্তমান প্রাইস ১.৩২৬৫। আপনি বাই করতে চান যখন প্রাইস ১.৩৩১৫ এ যাবে। তখন আপনি বাই স্টপ অর্ডার দেবেন।

সেল স্টপ: যখন আপনি বর্তমান প্রইসের চেয়ে কম ভ্যালুতে সেল করতে চান, তখন এটা ব্যাবহার করেন। ধরুন EUR/USD এর বর্তমান প্রাইস ১.৩২৬৫। আপনি সেল করতে চান যখন প্রাইস ১.৩২৩১ এ যাবে। তখন আপনি সেল স্টপ অর্ডার দিবেন।

ট্রেইলিং স্টপ

এটা অর্ডার বক্সে পাবেন না। যখন আপনার অর্ডার প্লেস করা হবে তখন সেই অর্ডারটিতে রাইট মাউস বাটর ক্লিক করুন। সেখানে ট্রেইলিং স্টপ দেখবেন।

ট্রেইলিং স্টপ আপনার ট্রেডের স্টপ লস পরিবর্তন করতে থাকে যখন আপনার ট্রেড লাভে খাকে। ধরুন আপনার EUR/USD সেল ট্রেড ১.৩২৩১ এ শুরু হল। আপনার স্টপ লস ছিল ১.৩২৬১। আপনি ট্রেইলিং স্টপ ২০ পয়েন্ট দিলেন। তাহলে দেখবেন যখনই আপনার ট্রেড বর্তমান স্টপ লস থেকে ২০ পিপের বেশি যায় তখনই আপনার স্টপ লস পরিবর্তন হতে দেখা যায়।

03 লট, লিভারেজ, লাভ ও লস

লট, লিভারেজ, লাভ ও লস

নিম্নের জিনিসগুলি আপনার ট্রেডের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। তাই এখানে যা যা আছে তা ভাল করে বুঝে নিবেন।

পিপ কি?

পিপ হল একটা কারেন্সি পেয়ারে সবচেয়ে ছোট অংকের পরিবর্তন। ১ পিপ = ০.০০০১ এবং ২ পিপ = ০.০০০২। উদাহরনস্বরূপ যদি EUR/USD ভ্যালু ১.৫০৩০ থেকে ১.৫০৩১ তে যায় তাহলে একে ১ পিপ গননা করা হয়।

ফ্রাকশনাল পিপ

আবার জাপানী পেয়ারগুলোতে কারেন্সি ২ ডেসিমেলে ধরা হয়। এই ক্ষেএে শেষ ডেসিমেলটাতে পিপ গননা করা হয়। ধরুন USD/JPY যদি ১১৯.৫২ ভেকে ১১৯.৫১ তে যায় তাহলে একে ১ পিপ ধরা হবে।

কারেন্সি কোটেশন আবার ৪ ডিজিটের জায়গায় ৫ ডিজিটেরও থাকে (ECN ব্রোকারগুলোতে)। সেগুলোকে ফ্রাকশনাল পিপ অথবা পিপেট বলা হয়ে থাকে।

লট গননা করা

অতিতে স্পট ফরেক্স লটে ট্রেড হত। স্ট্যান্ডার্ড লট সাইজ ছিল ১০০,০০০ ইউনিট। এখন আমরা ছোট লট সাইজে ট্রেড করতে পারি। সেগুলো নিম্নে দেয়া হল:

লট              নাম্বার

স্ট্যান্ডার্ড         ১০০,০০০ ইউনিট

মিনি                ১০,০০০ ইউনিট

মাইক্রো             ১০০০ ইউনিট

ন্যানো               ১০০ ইউনিট

আমরা অনেক জায়গায় “পিপ” ব্যাবহার করেছি। পিপ হল কারেন্সি কোটে সবচেয়ে ছোট সংখ্যাটি। যেমন ১.৩৫৭৪ কোটে ৪ সংখ্যাকে পিপ বলে। যখন কারেন্সি ভ্যালু ১.৩৫৭৫ অথবা ১.৩৫৭৪ তে যাবে, তখন আমরা এটাকে ১ পিপ মুভ বলি। যদি অনেক বেশি অর্থ দিয়ে ট্রেড না করি তাহলে তেমন লাভ পাওয়া যাবে না।

ধরুন আমরা ১ লট মানে ১০০,০০০ ইউনিট দিয়ে ট্রেড করব। দেখি এখন পিপ ভ্যালু কিভাবে গননা করব:

যখন USD বেস কারেন্সি:(০.০১/এক্সচেঞ্জ রেট) X ১০০,০০০= $XX প্রতি পিপ

(১) USD/JPY এর এক্সচেঞ্জ রেট ১১৯.৮০০ তাহলে (০.০১/১১৯.৮০)*১০০.০০০= $৮.৩৪ প্রতি পিপ।

(২) USD/CHF এর এক্সচেঞ্জ রেট ১.৪৫৫৫ তাহলে (.০০০১/১.৪৫৫৫)*১০০.০০০= $৬.৮৭ প্রতি পিপ।

যখন ডলার বেস কারেন্সি নয়, এর গননা একটু বিভিন্ন রকমের:

USD কোট কারেন্সি: (০.০১/ এক্সচেঞ্জ রেট) X ১০০,০০০ X এক্সচেনজ রেট = $XX প্রতি পিপ

(১) EUR/USD এক্সচেঞ্জ রেট ১.১৯৩০ তাহলে (.০০০১/১.১৯৩০)* ১০০.০০০= €৮.৩৮ X ১.১৯৩০= $৯.৯৯৭৩৪ অথবা $১০ প্রতি পিপ।

(২) GBP/USD এক্সচেঞ্জ রেট ১.৮০৪০ তাহলে (.০০০১/১.৮০৪০)*১০০,০০০ = £৫.৫৪*১.৮০৪০ = $৯.৯৯৪১৬ প্রতি পিপ।

ব্রোকাররা ভিন্নভাবে পিপ ভ্যালু গননা করতে পারে। তারা যেভাবেই পিপ ভ্যালু গননা করুক না কেন, আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন তাহলে তারা পিপ ভ্যালু গননা করার সূএ আপনাকে ব্যাখ্যা করবে।



লিভারেজ কি?

এতক্ষনে আপনি হয়ত অনেক মাথা ঘামিয়েছেন যে মানুষ অল্প অর্থ দিয়ে কিভাবে এই মার্কেটে ট্রেড করবে আর ভাল লাভ করবে। ধরুন আপনার গার্লফ্রেন্ডের বাবা আপনাকে বললো যে আপনি যদি $১,০০০ কামিয়ে তাকে দেখাতে পারেন তাহলে সে তার মেয়েকে আপনার হাতে তুলে দিবে আর $১০০,০০০ আপনাকে দিবে যাতে আপনি সেটা দিয়ে কিছু করতে পারেন।

ফরেক্স ব্রোকারও আপনার সাথে এই রকম কিছু করে থাকে। ব্রোকার আপনার অল্প অর্থের বিপরীতে আপনাকে বড় অঙ্কের অর্থ দিবে যাতে আপনি ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করে লাভ করতে পারেন। আপনার শ্বশুর আপনাকে দেয়া অর্থ ফেরত নেবে না কিন্তু আপনার ব্রোকার আপনাকে দেয়া অর্থ ফেরত নেবে। এর কারন হল ব্রোকার আপনাকে অর্থ ধার দেয় ট্রেড করতে আর যখন আপনি ট্রেড ক্লোজ করেন, তখন ব্রোকার তার টাকা আবার ফেরত নিয়ে যায়। চলুন দেখি কিভাবে:

ধরুন আপনার কাছে $৫০০ আছে। GBP/USD এর বর্তমান মূল্য ১.৫০০০। আপনি ১ মাইক্রো লট (অর্থাৎ $১ প্রতি পিপ) কিনতে চাচ্ছেন। আপনার পছন্দসই লেভারেজ হল ১:১০০। এর মানে ১০,০০০ ইউনিট GBP/USD কিনতে যা লাগবে আপনার ব্রোকার আপনাকে তার ১% এর বিনিময়ে সেই ট্রেড শুরু করতে দিবে। তাহলে দেখি:

১ মাইক্রো লট GBP/USD কিনতে প্রয়োজন $১৫,০০০।

আপনার একাউন্টে আছে $৫০০।

লেভারেজ হল ১:১০০ মানে GBP/USD এর প্রকৃত মূল্যের ১% এর বিনিময়ে আপনি এই ট্রেডটি শুরু করতে পারবেন।

$১৫,০০০ এর ১% হল $১৫০।

আপনার ব্রোকার $১৫০ নিয়ে আপনাকে ট্রেড শুরু করতে দিবে। এই $১৫০ আপনি আপনার একাউন্টে মার্জিন হিসেবে দেখবেন। আপনি যখন ট্রেড ক্লোজ করে দিবেন তখন আপনার ব্রোকার আপনার একাউন্টে $১৫০ ফেরত দিয়ে দেবে।

লাভ-লোকসান কিভাবে হিসাব করবেন?

আমরা পিপ ভ্যালু ও লেভারেজ সম্পর্কে জানলাম। এখন দেখি লাভ-লোকসান কিভাবে হিসাব করব। আমরা এখানে আগের উদাহরনটা ব্যাবহার করব:

আপনি ১.৫০০০ তে GBP/USD কিনেছিলেন।

GBP/USD ১.৫০৫০ তে যাওয়ার পর আপনি ট্রেড ক্লোজ করে দিলেন।

তাহলে আপনার পিপ ভ্যালু হল (০.০০০১ X ১.৫০০০) X ১০,০০০= ০.৬৬৭ X ১.৫০০০ = $১

আপনার লাভ হল ১.৫০৫০-১.৫০০০ = ৫০ পিপস X $১ প্রতি পিপ = $৫০

এখানে স্প্রেডের খেলাও ছিল। আপনি যখন বাই করেন তখন আসক প্রাইসে বাই করেন আর সেই ট্রেড যখন ক্লোজ করেন তখন বিড প্রাইসে ক্লোজ করেন। ঠিক উল্টাভাবে আপনি যখন সেল করেন তখন বিড প্রাইসে সেল করেন আর সেই ট্রেড যখন ক্লোজ করেন তখন আসক প্রাইসে ক্লোজ করেন।

02 মার্জিন ট্রেডিং

মার্জিন ট্রেডিং (Margin Trading)

যখন আপনি দোকানে যান আর যদি চিপস কিনতে চান তাহলে আপনাকে ১ প্যাকেট কিনতে হবে। আপনি খুচরা ১ পিছ পিছ কিনতে পারবেন না।

ফরেক্সে, এটা বোকামীর কাজ হবে, যদি ১ ইউরো সেল (বিক্রয়) অথবা বাই (ক্রয়) করেন। তাই ফরেক্সে লট হিসেবে বাই-সেল করা হয়ে থাকে। যেমন ১,০০০ ইউনিট মুদ্রা (মাইক্রো), ১০,০০০ ইউনিট (মিনি) অথবা ১০০,০০০ ইউনিট (স্ট্যান্ডার্ড) লটে ট্রেড করতে হয়।

আগে আমরা দেখেছিলাম যে, আমাদের প্রচুর অর্থের প্রয়োজন ট্রেড করার জন্য যা জোগাড় করা আমাদের অধিকাংশের সাধ্যের বাইরে। ভাবছেন তাহলে কিভাবে ট্রেড করবেন?

ফরেক্সে মার্জিন ব্যাবস্থা আছে তাই আপনার ট্রেড করতে এত মূলধনের প্রয়োজন নেই।

মার্জিন ট্রেডিং বলতে সাধারণত মুলধন ধার করাকে বুঝায়। মার্জিনের সুবিধার কারনে আপনি মাএ $১০০ অথবা $১,০০০ দিয়ে $১০০,০০০ সমপরিমানের ট্রেড পরিচালনা করতে পারবেন। এটা কিভাবে সম্ভব?

মনোযোগ সহকারে দেখুন কারন এটা খুবই গূরুত্বপুর্ন এবং ঝুঁকিপূর্ণ।

(১) আপনি চিন্তা করছেন যে, ব্রিট্রিশ পাউন্ড US ডলারের বিপরীতে বৃদ্ধি পাবে। ধরুন GBP/USD এর মূল্য ১.৫০০০

(২) আপনি ১ মিনি লট (মানে ১০,০০০ GBP) কিনবেন। তাহলে আপনার $১৫,০০০ লাগবে।

যদি আপনার ট্রেড ওপেন করতে ১% মার্জিন এর প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনার লাগছে $১৫,০০০ X ১% = $১৫০।

(৩) ধরুন আপনার ভবিষ্যৎ বানী সত্য হল আর আপনি এখন লাভ নিবেন। ধরুন আপনি আপনার ট্রেডটা ১.৫১০০ তে ক্লোজ করলেন।
এখানে আপনি কি কি করলেন?
GBP
USD
প্রথমে ১০,০০০ পাউন্ড কিনলেন ১.৫০০০ এক্সচেনজ রেটে
+১০,০০০
-১৫,০০০
প্রাইস ১.৫১০০ তে গেলে আপনি ট্রেড ক্লোজ করলেন।
-১০,০০০
+১৫,১০০
আপনার লাভ
১০০


আপনি ট্রেড ক্লোজ করার পর যে পরিমান অর্থ আপনার মার্জিনে আটকে ছিল লাভ-লোকসান গননা করার পর আপনার একাউন্টে দেখতে পারবেন। উপরের উদাহরনের ক্ষেএে $১০০ আপনার একাউন্টে যোগ হবে।



রোলওভার (Rollover)

আপনি যদি ট্রেড পরের দিন পর্যন্ত খোলা রাখেন তাহলে ব্রোকার আপনার সেই ট্রেডের উপর হয় সুদ দিবে নয়ত সুদ কাটবে। এটা দিন শেষ হলেই ধার্য করা হয়। একটা কথা সুদ মুসলমানদের জন্য হারাম। তাই আপনি যদি সুদ না খেতে চান তাহলে হয় ট্রেড দিন শেষ হবার আগে ক্লোজ করে দেন, নয়ত “Swap Free” একাউন্ট ব্যাবহার করুন।

সুদ হবার কারন, যেহেতু আপনি একটা কারেন্সি ধার নিয়ে অন্য একটা কারেন্সি কিনছেন সেটার উপর দিন শেষে সুদ ধার্য হচ্ছে। আপনি যেই কারেন্সি ধার নেন তার উপর সুদ দেন আর যেই কারেন্সি কিনেন তার উপর সুদ পান। আপনার ট্রেডে সুদ যোগ-বিয়োগ নির্ভর করে আপনি কোন কারেন্সি পেয়ার ট্রেড করছেন। আর একটা কথা, আপনার ব্রোকার সুদ ভিন্নভাবে গননা (যেমন লিভারেজের উপর ভিওি করে) করতে পারে।

নিম্নে মেজর কারেন্সির সুদের হার দেয়া হল: (০৮/০৩/২০১৮)

দেশ
সুদের হার
United States
<1.50%
Euro Zone
0.00%
United Kingdom
0.50%
Japan
-0.10%
Canada
1.25%
Australia
1.50%
New Zeland
1.75%
Switzerland
-0.75%


পরবর্তীতে, আামরা দেখবো যে সুদের পার্থক্য দিয়ে কিভাবে অর্থ বানানো যায়। মনে রাখবেন “সুদ মুসলমানদের জন্য হারাম”।

01 ফরেক্সে কিভাবে আয় করা যায়?

ফরেক্সে কিভাবে উপার্জন করা যায়?

আপনি ফরেক্স মার্কেটে কারেন্সি কেনাবেচা করেন। আপনি এই চিন্তা করে কারেন্সি কেনাবেচা করেন যে, কারেন্সির মূল্য একটা অন্যটার তুলনায় বাড়বে অথবা কমবে ।

ধরুন আপনি €১০,০০০ ইউরো কিনতে চাচ্ছেন ইউএস ডলারের বিনিময়ে।

€১ = $১.৩৫

তাহলে €১০,০০০ কিনতে আপনার লাগবে

$১.৩৫ X ১০,০০০ = $১৩,৫০০

১মাস পরে ইউরোর দাম ১.৪২০০ হলো। আপনি আপনার ট্রেডটা ক্লোজ করে দিলেন। তাহলে আপনি পাচ্ছেন

$১৪,২০০-$১৩,৫০০= $৭০০

যদি ১ডলারের দাম ৭৫ টাকা হয় তাহলে

$১৩,৫০০= $৭৫ X ১৩,৫০০= ১,০১২,৫০০ টাকা মাত্র

মন খারাপ করবেন না। আপনার ট্রেড করতে এত টাকার প্রয়োজন নেই।

ফরেক্সে কারেন্সি মূল্য কিভাবে পড়ব

কারেন্সির মূল্য সবসময় জোড়ায় গননা করা হয়। কারন আপনি যখন একটি কারেন্সি কিনেন তখন অন্য একটি কারেন্সি বিক্রি করেন।

না বুঝে থাকলে উপরের উদাহরনটা আবার দেখুন। আপনি ইউএস ডলার দিয়ে ইউরো কিনেছিলেন। কারেন্সি ভ্যালুকে আমরা নিম্নের ছবির মত দেখে থাকি। ছবিটিতে €১ জন্য কত ডলার প্রয়োজন তা দেখাচ্ছে।

বাই সেল প্রাইস

এখানে ইউরো হলো বেস কারেন্সি আর ইউএসডি হলো কোট কারেন্সি। যখন আপনি কিনেন তখন আপনি দেখতে পারেন যে আপনার ১ ইউনিট বেস কারেন্সি কিনতে কত ইউনিট কোট কারেন্সি প্রয়োজন। আপনি যখন বিক্রি করেন তখন আপনি দেখতে পারেন যে, আপনি ১ ইউনিট কোট কারেন্সির বিনিময়ে কত বেস কারেন্সি পাবেন।

আপনি তখন কিনবেন যখন মনে করবেন যে, বেস কারেন্সির মুল্য বৃদ্ধি পাবে। আপনি তখন বিক্রি করবেন যখন মনে করবেন যে, বেস কারেন্সির মুল্য কমবে।



Long নাকি Short

আপনি প্রথমে নির্ধারন করবেন যে, আপনি কারেন্সির পেয়ার (জোড়া) বাই না সেল করবেন। যদি আপনি বাই (ক্রয়) করতে চান তাহলে আপনি চিন্তা করছেন যে কারেন্সির ভ্যালূ বাড়বে। এই কেনাকে Long বলা হয়।

যদি আপনি সেল (বিক্রয়) করতে চান তাহলে আপনি চিন্তা করছেন যে কারেন্সির ভ্যালু কমবে। এই সেল করাকে Short বলা হয়। মনে রাখাবেন

Buy = Long

Sell = Short

Bid/Ask

যে কোন কারেন্সি পেয়ারে দুইটি প্রাইস দেখা যায়। নিচের ছবিটি দেখুন। প্রথমটি হল Bid প্রাইস আর পরেরটি হল Ask প্রাইস। Bid প্রাইসের ভ্যালু সবসময় Ask প্রাইসের চেয়ে কম থাকবে।




Bid – Ask = Spread

Spread হল ব্রোকারের লভ্যাংশ যা আপনার ট্রেডের ভিতর থেকে কেটে নেয়। লক্ষ্য করবেন যে আপনি যখন Buy অর্ডার দেন, তখন ট্রেড Ask মূল্যে শুরু হয় আর যখন Sell অর্ডার দেন, তখন ট্রেড Bid মূল্যে শুরু হয়। তাছাড়া আরো লক্ষ্য করবেন যে, আপনার ট্রেড কিছুটা লস দিয়ে শুরু হয়েছে। এটার কারন হল যে ব্রোকার আপনার ট্রেড থেকে স্প্রেড কেটে নিয়েছে। মনে রাখবেন যে সব কারেন্সির স্প্রেড সমান না।

Contact Us

নাম

ইমেল *

বার্তা *

সূচীপত্র

সূচীপত্র

ওয়েবসাইটে উপলব্ধ সকল ম্যাটেরিয়াল শেখার উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা এবং বিনিয়োগের জন্য উপযোগী নয়।
আপনার সাথে জড়িত প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে কোন লাভ অথবা ক্ষতির ভার পিপকমিউনিটি বহন করবে না।
কপিরাইট © ২০১৭ পিপকমিউনিটি - বাংলা ফরেক্স স্কুল | Bangla Forex School। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Scroll Up