Facebook Twitter LinkedIn google plusone
06 - সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
06 - সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

04 লাইন দিয়ে ট্রেডিং

লাইনগুলো দিয়ে কিভাবে ট্রেড করে?

আমরা সাধারনত বাউন্স অথবা ব্রেক এই দুইভাবে ট্রেড করতে পারি।

প্রথমে বাউন্স দেখি

বাউন্স ট্রেড

উপরের চার্টে বাই সেল এর ২টা সুযোগ দেখতে পাচ্ছেন। প্রথমে ৯৪.৩৭ এ একটি রেজিস্টেন্স দেখছি। একবার প্রাইস সেই রেজিস্টেন্স থেকে ফেরৎ এসেছে। তাহলে আমরা ধরতে পারি যে আবার সেই রেজিস্টেন্স থেকে ফেরৎ আসতে পারে। তাই আমরা সেই পয়েন্টে সেল দিতে পারি। আপনি দেখতে পারছেন যে প্রাইস ৯৪.৩৭ ব্রেক করে রেজিস্টেন্সের উপরে ক্লোজ হয়েছে। সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স জোন এর কথা মনে আছে কি?

এরপর আমরা ট্রেন্ডলাই দেখতে পাচ্ছি। প্রাইস ২ বার ট্রেন্ডলাইন টাচ করেছে। তাহলে ৩য় বার টাচ করার কথা কি আমরা চিন্তা করতে পারি? আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে ৩য় বার প্রাইস ট্রেন্ডলাইন টাচ করে আবার ফেরত গেছে।
উপরের ২টা ক্ষেএেই আমরা কিভাবে বাউন্স ট্রেড করতে হয় তা দেখলাম। চলুন আরেকটু দেখি

ট্রেন্ডলাইন দিয়ে এনালিসিস

আপনি সাপোর্টে বাই করলেন। তারপার ট্রেন্ডলাইন বাউন্সে সেল করার চিন্তা করছেন। যখন আবার প্রাইস ট্রেন্ডলাইন টাচ করল, আপনি সেল দিলেন। যদি এই পয়েন্টে আপনি সেল দিয়ে থাকেন তাহলে দেখি তার ফলাফল কি হয়

ট্রেন্ডলাইন ব্রেক

ট্রেন্ডলাইন প্রাইস ধরে রাখতে পারেনি আর ব্রেক করেছে। আপনি যদি এখানে সেল ট্রেড শুরু করতেন তাহলে লসের সম্মুখীর হতেন। এখন প্রাইস লাইনগুলো ব্রেক করলে কিভাবে ট্রেড করে তা দেখি। ব্রেকআউট ট্রেডিং ২ ভাবে করা যায়।

প্রাইস কনফার্মেশন

এগ্রেসিভ:  যখন প্রাইস সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স ভাঙে, তৎক্ষনাৎ ট্রেড শুরু করা। ১.৪৫০০ এবং ১.৪৩২২ সাপোর্ট লাইন দেখেন। আপনি ট্রেডে এন্ট্রি করছেন যখন যখন প্রাইস সাপোর্ট ভেঙেছে।




কনজারভেটিভঃ আপনি ট্রেডে এন্ট্রি করার জন্য আরো কনফার্মেশন খুজবেন। ১.৪৫০০ সাপোর্ট যখন ব্রেক করল, তখন সেটা রেজিস্টেন্স হল। দেখুন প্রাইস পড়তে পড়তে ১.৪৩২২ সাপোর্টে এসে ঠেকল। তারপর প্রাইস আবার রিট্রেস করছে। আপনি যদি কনসারভেটিভ হন, তাহলে সেই রিট্রেসমেন্টে ট্রেড শুরু করবেন।

পরবর্তীতে মার্কেট কি রুপ নেবে (মানে ট্রেন্ডিং না রেঞ্জিং) তা আপনাকে নির্ধারন করতে হবে। সেটা বুঝে যদি ট্রেডে এন্টার করতে পারেন তাহলে সুফল পাওয়ার হার বেড়ে যায়।


03 চ্যানেল

চ্যানেল

যদি আমরা ট্রেন্ডলাইনকে এ ধাপ এগিয়ে নেই তাহলে আমরা চ্যানেল পাই। চ্যানেল আরেকটা টেকনিক্যাল  টুল যা আমাদের বাই অথবা সেল নির্ধারন করতে সাহায্য করে। চ্যানেলের টপ ও বটম আমাদের সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স নির্নয় করতে সাহায্য করে।

ফরেক্স চ্যানেল

চ্যানেল ড্র করার জন্য আপনার প্রথমে ট্রেন্ডলাইন ড্র করতে হবে। তারপর সমান্তরাল অরেকটি লাইন টানতে হবে।



৩ ধরনের চ্যানেল

উর্ধ্বগামী/আপ চ্যানেল - প্রাইস যখন হাইয়ার হাই ও হাইয়ার লো ধারন করে।
নিম্নগামী/ডাউন চ্যানেল - প্রাইস যখন লোয়ার হাই এবং লোয়ার লো ধারন করে।
সাইডওয়েস/ফ্ল্যাট চ্যানেল - প্রাইস যখন একটা রেঞ্জের মধ্যে চলাচল করে।

চ্যানেল ট্রেডিংয়ের নিয়ম সাধারনত এই রকম হয়ে থাকে:

আপট্রেন্ডে - যখন প্রাইস লোয়ার ট্রেন্ডলাইন স্পর্শ করে।
ডাউনট্রেন্ডে - যখন প্রাইস আপার ট্রেন্ডলাইন স্পর্শ করে।
সাইডওয়েস/ফ্ল্যাট চ্যানেল - সেল হাই, বাই লো।

খেয়াল রাখবেন যে, যখন ট্রেন্ডলাইন ড্র করবেন তখন ২টি লাইনই যেন সমান্তরালভাবে আকা হয়। আবার চ্যানেলকে মার্কেটে ফিট করাতে চেষ্টো করবেন না। এটা প্রাক্টিস শেষ হলে, মেটাট্রেডারে দেখুন, চ্যানেলের একটি ট্যুল উল্লেখিত আছে।

02 ট্রেন্ডলাইন

ট্রেন্ডলাইন

ট্রেন্ডলাইন খুব সাধারন এক ধরনের অ্যানালিসিস। ট্রেন্ডলাইনের আবার সবচেয়ে বেশি অপব্যাবহার করা হয়।  যদি ট্রেন্ডলাইন ঠিক করে আকা হয় তাহলে এটা অন্যান্য মেথডের মত প্রাইসের সঠিক ধারা দেখাবে। দুর্ভাগ্যক্রমে বেশিরভাগ ট্রেডাররাই ট্রেন্ডলাইন ঠিক করে আকে না আর তারা লাইনগুলোকে নিজের ইচ্ছামত মার্কেটে ফিট করার চেষ্টা করে।

ট্রেন্ডলাইন কিভাবে ড্র করে?

সঠিকভাবে ট্রেন্ডলাইন ড্র করতে আপনাকে ২টা মেজর টপ অথবা বটম খুজে বের করতে হবে। নিচের চার্টটি দেখুন

চার্টে ট্রেন্ডলাইন বসানো

৩ ধরনের ট্রেন্ড

আপট্রেন্ড - যখন প্রাইস হাইয়ার লো দেখায়
ডাউনট্রেন্ড - যখন  প্রাইস লোয়ার হাই দেখায় (উপরে ডাউনট্রেন্ডের চার্ট দেয়া)
সাইড/ফ্ল্যাট ট্রেন্ড - যখন প্রাইস একটা রেঞ্জের মধ্যে চলাচল করে।

৩ ধরনের ট্রেন্ড

উপরের চার্ট দেখে হয়ত আপনারা হয়ত ধারনা করে নিয়েছেন যে কোনটা কোন ধরনের ট্রেন্ড।



ট্রেন্ডলাইন সম্পর্কে কিছু জিনিস মনে রাখবেন:

  • ট্রেন্ডলাইন ড্র করতে ২টা টপ অথবা বটম প্রয়োজন, কিন্তু ট্রেন্ড নিশ্চিত করতে ৩য় টপ অথবা বটম লাগে।
  • ট্রেন্ডলাইন যত খাড়া হবে সেটা ততো অনির্ভরশীল হবে।
  • ট্রেন্ডলাইন যত সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স টেস্ট করবে, তা ততো নির্ভরযোগ্য হবে।
  • টেন্ডলাইনকে মার্কেটে ফিট করার চেষ্টা করবেন না। যদি ট্রেন্ডলাইন ফিট না হয়, তাহলে সেটা সঠিক ট্রেন্ডলাইন না।

01 সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স

সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স

ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত একটি টুল। ট্রেডারদের সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স নির্নয় করার জন্য ট্রেডারদের ভিন্ন মতামত থাকতে পারে। চলুন দেখি

কালো যেই লাইনটা দেখছেন সেটাকে প্রাইস ধরুন। প্রাইস ১টা পয়েন্টে গিয়ে আবার ফিরে আসছে আবার আর একটা পয়েন্টে গিয়ে দিক পরিবর্তন করছে। যখন প্রাইস উপরের দিকে উঠে আর এক পয়েন্টে গিয়ে ঠেকে যায় (মানে সেই পয়েন্ট ভাঙতে পারে না) আর ফেরৎ আসে সেটাকে রেজিস্টেন্স বলে। যখন প্রাইস নিচের দিকে নামে আর এক পয়েন্টে গিয়ে ঠেকে যায় (মানে সেই পয়েন্ট ভাঙতে পারে না) আর ফেরৎ আসে সেটাকে সাপোর্ট বলে।  সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স আপনাকে পরবর্তী মার্কেট কন্ডিশনের পূর্বাভাস দিতে পারে।

চার্টে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স বসানো

একটা জিনিস সবসময় মনে রাখবেন যে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স কোন নির্দিষ্ট নম্বর অথবা সংখ্যা নয়।

প্রায়ই দেখবেন যে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স ভেঙেছে কিন্তু তারপর দেখবেন যে মার্কেট সেই লেভেলগুলোকে টেস্ট করছিল যা পরবর্তীতে ক্যান্ডেলস্টিক শ্যাডো আকারে দেখা যায়।

সাপ্লাই ও ডিমান্ড

প্রথমে ১.৫৬৮২ তে আমরা রেজিস্ট্যান্স একেছি। লক্ষ্য করুন যে প্রাইস সেই রেজিস্টেন্স ভেদ করে গেছে কিন্তু আবার নিচে নেমে এসে রেজিস্টেন্সের নিচে ক্লোজ হয়েছে।

আবার ১.৫৫৪৬ এ দেখুন। প্রাইস কয়েকবার ১.৫৫৪৬ এর নিচে গেছে কিন্তু ক্লোজ হয়েছে ১.৫৫৪৬ সাপোর্ট লাইনের উপরে।

সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স সবসময় প্রাইসকে এক জায়গায় ঠেকিয়ে রাখবে না। সেটা ব্রেক ও করবে।



কি ভাবে জানব যে সেটা ব্রেক করেছে?

আসলে এটার কোন উওর নেই। কেউ কেউ বলে যে যদি প্রাইস সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স লাইনের বাইরে ক্লোজ হতে সক্ষম হয় তাহলে বুঝতে হবে যে তা ব্রেক করেছে। কিন্তু যখন আপনি পরীক্ষন করবেন, তখন দেখবেন যে এটা সবক্ষেএে সত্য না। চলুন দেখি

ট্রেন্ড ব্রেক

উপরের চার্টটিতে ১.৪৪৫৭ এ প্রাইস রেজিস্টেন্স ব্রেক করেছে আবার ১.৪১২৬ এ প্রাইস সাপোর্ট ব্রেক করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখলেন যে প্রাইস সেই লেভেলগুলোকে আসলে টেস্ট করছিল। এইসব ফলস ব্রেকআউট থেকে কিভাবে বাচা যায়? আমরা যদি সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্সকে জোন: হিসেবে ধরি তাহলে ফলস ব্রেকআউট থেকে বাচতে পারি। চলুন দেখি

সাপ্লাই ডিমান্ড জোন

একই চার্টে আমরা সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্সকে জোন হিসেবে আকলাম। এখন আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে আসলে প্রাইস ওই লেভেলগুলো টেস্ট করছিল। 

সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স সম্পর্কে আর একটা কথা, যখন সাপোর্ট ব্রেক করে, তারপর সেটা রেজিস্টেন্স হয়। আর রেজিস্টেন্স যখন ব্রেক করে তখন সেটা সাপোর্ট হয়। এটা ভালভাবে বুঝতে উপরের চার্টের পুর্বের প্রাইস লেভেলগুলো ভালভাবে দেখুন।

Contact Us

নাম

ইমেল *

বার্তা *

সূচীপত্র

ওয়েবসাইটে উপলব্ধ সকল ম্যাটেরিয়াল শেখার উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা এবং বিনিয়োগের জন্য উপযোগী নয়।
আপনার সাথে জড়িত প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে কোন লাভ অথবা ক্ষতির ভার পিপকমিউনিটি বহন করবে না।
কপিরাইট © ২০১৭ পিপকমিউনিটি - বাংলা ফরেক্স স্কুল | Bangla Forex School। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Scroll Up