Facebook Twitter LinkedIn google plusone
24 - দেশের প্রোফাইল লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
24 - দেশের প্রোফাইল লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

10 চায়না

চায়না

যদি আপনি চায়না সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে এটা জানেন যে বিশ্বে সবচেয়ে বেশী জনসংখ্যা আর গ্রেট ওয়াল আছে চায়নাতে।

চায়না ২২১ বিসিতে ইউনিফাইড দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলো। কিন ডাইনাস্টি তখন চীন সাশন করত। তখন তাদের কোন মোটা পান্ডা কুংফু মাস্টার ছিল না। তখন থেকে, অনেক ডাইনাস্টির উত্থান পতন হয়েছে আর সেটা চলেছে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত যখন পিপলস রিপাবলিক অব চায়না গঠিত হয়েছে।

খুব বেশীদিন হয়নি যে চায়না একটি বৈধ বিশ্ব শক্তি হিসেবে উদিত হয়েছে। তারা বিশ্বমানের শহর, অলিম্পিক গোল্ড মেডালিস্ট এবং সুস্বাদু dimsum নিয়ে বড়াই করে। সেখানে শুধু Yao Ming এর জন্মই হয়নি, তারা ৩য় দেশ যারা পৃথিবীর বাইরে মানুষ পাঠিয়েছে।

খেলাধুলা, মহাকাশ ভ্রমন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক ক্ষমতা পর্যন্ত, চায়না আস্তেআস্তে লিডারদের মধ্যে চলে আসছে।

চীনঃ ফ্যাক্টস, ফিগারস, এবং ফিচারস

প্রতিবেশী: কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, ভারত, জাপান, রাশিয়া
ফাইলের আকার: ৩,৭০৪,৪২৭ বর্গ মাইল
জনসংখ্যা: ১,৩৪৭,৩৫০,০০০
জনাকীর্ণতা: ৩৬৩.৩ জন প্রতি বর্গ মাইলে
রাজধানী: বেইজিং (জনসংখ্যা: ১১,৭১৬,০০০)
সরকার প্রধান: Hu Jintao
মুদ্রা: চীনা রেনমিনিবি / ইউয়ান (CNY)
মুখ্য আমদানি: পেট্রোলিয়াম, তামা, লোহা, ইস্পাত, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক, চিকিৎসা সরঞ্জাম, জৈব রাসায়নিক
মুখ্য রপ্তানি: চাল, পোশাক, পোশাক, অফিস মেশিন, ইলেকট্রনিক পণ্য, যন্ত্রপাতি, ইস্পাত, ইও মিং, জ্যাকি চ্যান, অ্যাপল আইপ্যাড, চেরি গাড়ি।
আমদানি পার্টনার: জাপান ১২.৭%, দক্ষিণ কোরিয়া ৯.৯%, ৭.৩% ইউএস, জার্মানি ৫.৩%, অস্ট্রেলিয়া, ৪.৩৭%।
রপ্তানি পার্টনার: ইউএস ১৮.০%, জাপান ৭.৭%, দক্ষিণ কোরিয়া ৪.৪%, ৪.৩% জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ৩.২%।
টাইমজোন: জিএমটি +৮, জিএমটি +৭, জিএমটি +৬, জিএমটি +৫, জিএমটি? +৪
ওয়েবসাইট: http://english.gov.cn/





ইকোনোমিক ওভারভিউ

২০০৯ সালের শেষের দিকে চায়না জাপানকে টপকে বিশ্বের ২য় সর্ববৃহৎ ইকোনোমির উপাধি নিয়েছে এবং ২০১২ সালে তাদের জিডিপি ৮ ট্রিলিয়নের উপরে ছিল।

তাদের সবসময় এরকম অবস্থা ছিল না। দীর্ঘ সময় ধরে চায়নার ইকোনোমি স্বতন্ত্র ছিল। যখন মডার্ন গভমেন্ট গঠিত হয়, পিপলস রিপাবলিক অব চায়না, তখন চায়না বিশ্বের জন্য তাদের দরজা খোলে।

১৯৯০ এবং ২০০০ এর দিকে চায়না অস্বাভাবিক উন্নতি করে। তারা উন্নয়নের পরিমান ছিল ডাবল ডিজিটের। এটা তাদের বুমিং ইকোনোমিকে এমারজিং মার্কেট বিকাশে সামনের সারিতে এনে দিয়েছে।

মজার ব্যাপার হল, তাদের মোট জিডিপির ৬০% এর বেশী কৃষি এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল শিল্প থেকে আসে।

রপ্তানি এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে। এর পেছনে ছিল yuan যা অবমূল্যায়িত ছিল আর সেটা তাদের পণ্যকে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে অনেক আকর্ষণীয় করে তুলেছিল।

সম্প্রতি মানুষের মনে একটা ভয় এসেছে যে চাইনীজ ইকোনোমি অতিতপ্ত হতে পারে। এথেকে বাচার জন্য, চাইনীজ গভমেন্ট বিভিন্ন মনেটারি এবং ফিস্ক্যাল পলিসি বাস্তবায়ন করেছে যেটা বৃদ্ধির মাত্রা সহনীয় করে তুলবে। 

মনেটারি এবং ফিস্ক্যাল পলিসি

পিপলস ব্যাংক অব চায়না (PBoC) বেইজিঙে অবস্থিত। তারা চীনের মনেটারি পলিসির দায়িত্বে আছে। ইন্টেরেস্ট রেট এবং রিজার্ভ রেশিও নিয়ন্ত্রন ছাড়াও, PBoC চায়নার মুলভুখন্ডের ফিনান্স্যিয়াল ইন্সটিটিউশনের রেগুলেশনের দায়িত্বে আছে।

একটা ট্রিভিয়াঃ আপনি কি জানেন যে এই জগতে যত পাবলিক ফিনান্স্যিয়াল ইন্সটিটিউশন আছে তাদের মধ্যে PBoC সবচেয়ে বেশী ফিনান্স্যিয়াল অ্যাসেটের অধিকারী? বর্তমানে ৩ ট্রিলিয়ন USD সমমানের ট্রেজারি বিল তাদের দখলে, তার ওপরে অন্যান্য দেশের বন্ডস।

এটা বিস্ময়কর কিছু না যে কিভাবে চীন ইকোনোমিক পারফরফেন্সে অন্যান্য দেশকে টপকে গেছে।

PBoC সম্পর্কে আরেকটা মজাদার জিনিস হল যে কয়েকবছর আগে তাদের ইন্টেরেস্ট রেট ২৫ এর বদলে ৯ দ্বারা বিভাজ্য ছিল। এর কারন হল চাইনীজদের রেট সিস্টেম অ্যাবাকাস ভিত্তিক ছিল, যেটা ৯ গুনিতকে সেট করা ছিল। চিন্তা করে দেখুন যে ০.১৮% বেঞ্চমার্ক রেটে বৃদ্ধি কিভাবে পড়া হত?

সম্প্রতি PBoC তাদের ট্রেডিশনাল পদ্ধতি ত্যাগ করে ইন্টেরেস্ট রেট ০.২৫% করে বাড়ানোর পদ্ধতি অবলম্বন করেছে।
আসলে চাইনীজ ইকোনোমি কিরকম করছে, PBoC তার ভিত্তিতে আগ্রেসিভ ইন্টেরেস্ট রেট পরিবর্তনের জন্য কুখ্যাত।
ইন্টেরেস্ট রেট ছাড়া, PBoC এর কাছে মনেটারি পলিসি নিয়ন্ত্রনের জন্য reserve ratio requirement (RRR) ট্যুল আছে।

RRR হল চাইনীজ ব্যাংকগুলোর একটা নির্দিষ্ট পরিমানে অর্থ তাদের কাছে থাকতে হবে। রেশিওতে পরিবর্তন এনে, কত পরিমানে অর্থ ইকোনোমিতে সরবরাহ করা যাবে, PBoC সেটা ইনফ্লেশন নিয়ন্ত্রন করতে ব্যাবহার করে।

CNY কে চেনা

জিডিপি – এটা তাদের জন্য রিপোর্ট কার্ডের মত কাজ করে। কোন রিপোর্টিং পেরিয়োডে তাদের ইকোনোমি প্রসারিত নাকি সঙ্কুচিত হয়েছে তা জিডিপি দ্বারা দেখা যায়। এটা সাধারনত ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রকাশিত হয় যেটা বিগত বছরের প্রকাশনার একই পেরিয়োডের সাথে তুলনা করা হয়।

সিপিআই – সিপিআই এর উপর PBoC করা নজর রাখে কারন এটা দিয়ে তারা দেখতে পারে যে নির্দিষ্ট কোন টাইম পেরিয়োডে প্রাইসে কতটা পরিবর্তন এসেছে। যদি সিপিআই যদি চাইনীজ গভমেন্টের টার্গেট লেভেলের বেশী অথবা কম হয় তাহলে পরবর্তী রেট ডিসিশনের সময় PBoC তাদের মনেটারি পলিসি ট্যুলস ব্যাবহার করতে পারে।

ট্রেড ব্যালেন্স – চীনের ইকোনোমির একটা বড় অংশ জুড়ে আছে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড। এর মানে ট্রেড ব্যালেন্স ইকোনোমিক প্রসারের জন্য লিডিং ইনডিকেটর হিসেবে কাজ করে।

PBoC Interest Rate Decision – আগে বলেছিলাম যে PBoC মনেটারি পলিসি পরিবর্তনে এগ্রেসিভ। যখনই তারা দেখে যে চাইনীজ ইকোনোমি অতিতপ্ত হচ্ছে অথবা তাদের উদ্দীপনার প্রয়োজন তারা পলিসিতে পরিবর্তন আনে।


চাইনীজ ইকোনোমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে ট্রেড করা

যদিও yuan ট্রেড করার সুব্যাবস্থা এখনো হয়নি, তার মানে এই না যে আমরা তাদের দ্বারা কোন পিপ অর্জন করতে পারবো না।

চাইনিজ ইকোনোমি বিশাল, আর তাদের দেশে ঘটা ইকোনোমিক ইভেন্ট সেসব দেশের ওপর প্রভাব ফেলে যারা তাদের সাথে ঘনিস্টভাবে জড়িত আছে। এরকম একটি দেশ হল অস্ট্রেলিয়া। চীন অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় ট্রেডিং পার্টনার। এই দুটি দেশ প্রতি বছর প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের মত পণ্যদ্রব্য লেনদেন করে।

এটা দিয়ে, চাইনীজ ইকোনোমিক ডাটা রিলিজ মেজর কারেন্সিগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান ডলারের উপর সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলে। চীনের জন্য ভালো কোন ইকোনোমিক ডাটা ইঙ্গিত করে যে অস্ট্রেলিয়ান কমোডিটির ডিমান্ড চীনে বেড়ে যেতে পারে। আবার খারাপ ডাটা ইঙ্গিত করে যে অস্ট্রেলিয়ান কমোডিটির ডিমান্ড চীনে কমে যেতে পারে।

যেহেতু চাইনীজ ইকোনোমি বর্তমানে আঙ্গেল স্যামের পরে ২য় সর্ববৃহৎ ইকোনোমি, তাদের অর্থনৈতিক স্থিতি রিস্ক সেন্টিমেন্টের উপরে অনেক প্রভাব ফেলে। এর মানে যদি চীনের অবস্থা মন্দা যায় তাহলে সেটা ট্রেডারদের রিস্ক অ্যাপেটাইট এবং হাই ইয়েল্ডিং কারেন্সির ওপর আস্থা কমিয়ে দিতে পারে। কারন এর প্রভাবে গ্লোবাল ইকোনোমিতে ধীরগতি আসতে পারে। অন্যদিকে, ইকোনোমিক বুমের সময় চীন রিস্কের জন্য পজিটিভ ভিউ আনতে পারে। কারন মার্কেটে অংশগ্রহণকারীরা এটাকে গ্লোবাল ইকোনোমির জন্য লাভজনক হিসেবে দেখে।

ট্রেডের কৌশল

আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ান ডলারের দিকে চোখ রাখেন, তাহলে আপনার চাইনীজ ইকোনোমিক রিলিজ এবং PBoC স্টেটমেন্টের দিকে নজর রাখা প্রয়োজন।

বেশীরভাগ সময় যা আশা করা হয়েছিলো তাদের চেয়ে ভালো রিপোর্ট AUD/USD অথবা AUD/JPY কে শক্তিশালী করে। আবার দুর্বল রিপোর্ট Aussie সেলের কারন হয়ে দাড়ায়। PBoC রেট ডিসিশনের প্রভাব বোঝা একটু কষ্টকর হতে পারে কারন মার্কেট সেন্টিমেন্ট অন্যকথা বলতে পারে। প্রয়োজনে কোন এক্সপার্টের মতামত খোজ করে দেখতে পারেন।  

09 সুইজারল্যান্ড

সুইজারল্যান্ড

সুইজারল্যান্ড ১২৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ওয়েস্টার্ন ইউরোপের মাঝের দিকে অবস্থিত। তাদের ইতিহাস এবং সংস্কৃতির বেশীরভাগ জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ইতালি এবং ফ্রান্সের সাথে জড়িত।

ইউরোপের মধ্যবর্তী এলাকায় থাকা সত্ত্বেও, সুইজারল্যান্ড ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অংশ নয়। ১৯৯০ এর দিকে সুইজারল্যান্ড এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে চুক্তির কথা ছিল, কিন্তু সুইস পাবলিক ইউ এর অংশ হবার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। তখন থেকে সুইজারল্যান্ড তাদের ইকোনোমিক সার্বভৌমত্ব বজায় রেখেছে।

সুইজারল্যান্ডকে ছোট দেশ হিসেবে গননা করা হয়, কিন্তু একটা কথা জেনে রাখেন যে তারা বস্তাবন্দী! তাদের জনসংখ্যা ৭.৭৮ মিলিয়ন, যা প্রতি স্কয়ার মাইলে ৪৭৭ জন বসবাস করে।

সুইজারল্যান্ড তাদের নিরপেক্ষতার জন্য জনপ্রিয় কারন তারা ২টা বিশ্বযুদ্ধের কোনটায়ই অংশগ্রহন করেনি।

সুইজারল্যান্ডঃ ফ্যাক্টস, ফিগারস, এবং ফিচারস

প্রতিবেশী: জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, অস্ট্রিয়া
আয়তন: ১৫,৯৪০ বর্গ মাইল
জনসংখ্যা: ৭,৯৫২,৬০০
ঘনত্ব: ৪৭৭.৪ জন প্রতি বর্গমাইলে
রাজধানী শহর: বার্ন
সুইস কনফেডারেশন সভাপতি: Eveline Widmer-Schlumpf
মুদ্রা: সুইস ফ্রাঙ্ক (CHF)
মুখ্য আমদানি: যন্ত্রপাতি ও পরিবহনের উপকরণ, ঔষধি এবং ফার্মাসিউটিকাল পণ্য, অন্যান্য রাসায়নিক, শিল্পজাত পণ্য
প্রধান রপ্তানি: কেমিক্যালস, ঘড়ি, খাদ্য, যন্ত্র, গয়না, যন্ত্রপাতি, ওষুধপত্র, মূল্যবান ধাতু, বস্ত্র, রোলেক্স, Roger Federer
আমদানি পার্টনার: জার্মানি (২৭.৭%), ইউএস (১০.৬%), ইতালি (১০.৩%), ফ্রান্স (৮.৪%), রাশিয়া (৪.৪%), গ্রেট ব্রিটেন (৪%)
রপ্তানি পার্টনার: জার্মানি (২১.২%), ইউএস (৮.৭%), ফ্রান্স (৮.২%), ইতালি (৭.৯%), অস্ট্রিয়া (৪.৫%)
টাইম জোন: জিএমটি + 1 টি
ওয়েবসাইট: http://www.switzerland.com/en.cfm/home





ইকোনোমিক ওভারভিউ

মাথাপিছু আয়ের (মোট জিডিপি ভাগ দেশের জনসংখ্যা) দিক দিয়ে সুইজারল্যান্ড সেরা ধনী দেশগুলোর মধ্যে একটি।
২০১০ সালে তাদের মোট আউটপুট ছিল $৫২৯.৯ বিলিয়ন। ছোট দেখালেও, জন প্রতি ভিত্তিতে তাদের জিডিপি $৪৬,৮১৫ যেটা বিশ্বে সর্বোচ্চ সেরাদের মধ্যে সপ্তম।
তাদের মুখ্য ট্রেডিং পার্টনার হল জার্মানি, ইউএস, ইতালি, অস্ট্রিয়া, রাশিয়া, এবং ইউকে। জাপানের মত সুইজারল্যান্ডও রপ্তানিনির্ভর দেশ। তাদের জিডিপিতে রপ্তানির পরিমান $৩০৮.৩ বিলিয়ন অথবা ৫৮.২%।
সুইজারল্যান্ডের প্রধান ইন্ডাস্ট্রি হল যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক, টেক্সটাইল, নির্ভুলতা যন্ত্রপাতি এবং ঘড়ি। শেষেরটা দেখে হেসে থাকলে জেনে রাখুন যে সুইজারল্যান্ডের আউটপুটের ভালো একটা অংশ ঘড়ি দখল করে আছে। 

মনেটারি এবং ফিস্ক্যাল পলিসি

সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (SNB) বর্তমানে চেয়ারম্যান থমাস জর্ডান দ্বারা পরিচালিত। তিনি দেশের মনেটারি পলিসি নির্ধারণ করেন। এজন্য তিনি দেশের মনেটারি এবং ক্রেডিট কন্ডিশনের উপর প্রভাব ফেলেন।

গভর্নিং বোর্ড ৩ জন মেম্বার নিয়ে গঠিত যারা ব্যাংকের পলিসি নির্ধারণ করার দায়িত্বে আছেন। তারা হলেন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, এবং আরেকজন মেম্বার।

অন্যান্য সেন্টাল ব্যাংক থেকে ভিন্ন, SNB তাদের ইন্টেরেস্ট রেট (আরেক নাম হল Libor) একটা ৩ মাসে জন্য ফিক্সড রেটের বদলে টার্গেট রেঞ্জের মধ্যে সেট করে থাকে।

দেশের মানি সাপ্লাই এবং ইন্টেরেস্ট রেট নিয়ন্ত্রন বাদেও SNB তাদের কারেন্সি CHF এর ভ্যালু স্থিতিশীল রাখার কাজে লিপ্ত থাকে।

শক্তিশালী CHF ইনফ্লেশন বাড়িয়ে দিতে পারে এবং দেশের রপ্তানিতে পতনসাধন করতে পারে। সুইজারল্যান্ড রপ্তানিনির্ভর দেশ হওয়াতে CHF যে দুর্বল রাখতে SNB ফরেক্স মার্কেটে হস্তক্ষেপ করতে দ্বিধাবোধ করেনা।

SNB এর একটা মুখ্য উদ্দেশ্য হল ইনফ্লেশন কন্ট্রোল করা। তাদের ইনফ্লেশন টার্গেট বছরে ২% এর কম, যেটা সিপিআই এর মাধ্যমে মনিটর করা হয়।

তারা দেশের ইনফ্লেশন রেটে প্রভাব ফেলার জন্য ওপেন মার্কেট অপারেশন এবং Libor রেটে সংশোধন করে।

ওপেন মার্কেট অপারেশনের কথা বলতে গেলে, ব্যাংক Libor রেট short term repurchase (repo) transactions এর মাধ্যমে কন্ট্রোল করে। repo transactions কোন নির্দিষ্ট ক্যাশের বিনিময়ে সিকিউরিটি সেল করা হয় এবং এই শর্ত থাকে যে ভবিষ্যতে এক নির্দিষ্ট তারিখে তারা সেই সিকিউরিটি repurchase করবে।

যদি ওপেন মার্কেটে ইন্টেরেস্ট রেট, SNB এর প্রত্যাশিত রেটের চেয়ে বেড়ে যায়, তাহলে সেন্ট্রাল ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংককে repo অপারেশনের মাধ্যমে কম, repo রেটে বেশী লিকিউডিটি প্রভাইড করবে।

অন্যদিকে, repo রেট বাড়িয়ে SNB লিকুইডিটি কমাতে পারে। আবার তারা Libor রেট বাড়িয়েও একাজ করতে পারে।

সুইজারল্যান্ডের ফিস্ক্যাল পলিসির একটা আকর্ষণীয় দিক হল, ডেভেলপড দেশগুলোর মধ্যে তাদের ট্যাক্স রেট সবচেয়ে কম। মানুষ আবার সুইজারল্যান্ডকে “ট্যাক্স হ্যাভেন” বলে থাকে।

সুইজারল্যান্ডে কর্পোরেট ট্যাক্স রেট ৮.৫% - ১০% এর মধ্যে। এটা এবং তার সাথে ব্যাংকের গোপনীয়তা রক্ষা করার আইন সুইজারল্যান্ডকে বিশ্বে সেরা বিজনেস ফ্রেন্ডলি দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম করে তুলেছে। 

CHF কে চেনা

খুব বেশীদিন হয়নি যে, বেলজিয়াম, ফ্রান্স এবং লাক্সেমবার্গ তাদের কারেন্সিকে ফ্রাঙ্ক নামে ডাকতো। তারপর তারা ইউরোতে পরিবর্তন করলো। বর্তমানে সুইজারল্যান্ড একমাত্র দেশ যে ফ্রাঙ্ক কারেন্সি হিসেবে ব্যাবহার করছে।

ফিনান্স্যিয়াল গুরুরা সুইস ফ্রাঙ্ককে “সুইসি” বলে ডাকে।

সুইজারল্যান্ডের নিরপেক্ষতা...

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকের গোপনীয়তার আইনের কারনে তাদের রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ ধরা হয়। যেটা তাদের “সেফ হ্যাভেন” উপাধিতে ভূষিত করে। সাধারনত, ইকোনোমিক অস্থিরতার সময় ইনভেস্টররা তাদের ফান্ড সুইজারল্যান্ডে সরিয়ে ফেলে, যেটা CHF এর ভ্যালু বৃদ্ধি করে।

সুইস শুধু EU তে যোগ দেয়া প্রত্যাখ্যান করেনি, তারা একমাত্র দেশ যে কিনা গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ধরে রেখেছে।
তাদের দেশের প্রায় ২৫% অর্থ গোল্ড রিজার্ভ আছে। এজন্য CHF আর গোল্ডের প্রাইসে ৮০% এর মত কোরিলেশন দেখা যায়। এর মানে যখনই গোল্ডের প্রাইস বাড়ে, CHF সেটা থেকে ফায়দা পায়।

CHF এর কিছু প্রয়োজনীয় ইকোনোমিক ইনডিকেটর

জিডিপি – জিডিপি দেশের সর্বমোট উৎপাদনকৃত পণ্য এবং সেবার মূল্য পরিমাপ করে। এই রিপোর্ট ইকোনোমিতে বিগত পেরিয়োডের মোট আউটপুটের সাথে বর্তমানের আউটপুটে পরিবর্তন পরিমাপ করে।

রিটেইল সেলস – এটা রিটেইল লেভেল প্রতিমাসে সর্বমোট সেলে কত পরিবর্তন হল সেটা পরিমাপ করে।
কনজুমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI) – সিপিআই একগুচ্ছ পণ্য ও সেবা একসাথে করে তাতে প্রাইসের পরিবর্তন পরিমাপ করে।

ব্যালেন্স অব ট্রেড – ব্যালেন্স অব ট্রেড দেশে পণ্যদ্রব্যের মোট আমদানি এবং রপ্তানির মধ্যে পার্থক্যের পরিমান দেখায়। সুইজারল্যান্ড এক্সপোর্ট ইন্ডাস্ট্রি অনেক শক্তসামর্থ আর তাই ইকোনোমি কেমন করছে, ট্রেডাররা ট্রেড ব্যালেন্সকে সেজন্য ব্যাবহার করে থাকে।

CHF কে কি মুভ করায় 

গোল্ডের প্রাইস

আগে বলেছিলাম যে CHF এবং গোল্ডের কোরিলেশন প্রায় ৮০% আর সুইজারল্যান্ডের ক্যাশের ২৫% ভাগ গোল্ড রিজার্ভ। যখন গোল্ডের প্রাইস বাড়ে, CHF এর প্রাইস সাধারনত বাড়ে। অন্যদিকে গোল্ডের প্রাইস পড়লে, CHF এর প্রাইসও পড়ে।

ইউএস এবং ইউরো জোনে ডেভেলপমেন্ট

যেহেতু সুইজারল্যান্ড রপ্তানি নির্ভর দেশ, তাদের মেজর ট্রেডিং পার্টনার ইউএস এবং ইউরোজোনের অর্থনৈতিক উন্নয়নে, তাদের উপর প্রভাব ফেলে। সুইজারল্যান্ডের রপ্তানি পার্টনার হল জার্মানি (২১.২%), ফ্রান্স (৮.২%), ইতালি (৭.৯%), এবং অস্ট্রিয়া (৪.৫%)।

এদিকে সুইজারল্যান্ডের রপ্তানির ৮.৭% ইউএস নেয়। এদের কন একটি দেশে খারাপ ইকোনোমিক পারফর্মেন্স সুইজারল্যান্ডে কম বাণিজ্যিক কার্যকলাপের ইঙ্গিত করে।

Sortin' Out the Rough Edges

প্রতিবেশী ইউরোপে রাজনৈতিক পীড়া দেখা দিলে, বিশেষ করে ইউরোজোনে, সেটা ট্রেডারদের সুইসির শরণাপন্ন করে।
মনে রাখবেন যে ইউরোজোনে ১৭ টি স্টেট যেগুলো ইসিবি পরিচালনা এবং সম্পূর্ণ গ্রুপের জন্য মনেটারি পলিসি নির্ধারণ করে।

যেহেতু মেম্বার দেশগুলো অর্থনীতি ভিন্ন গতিতে চলে, মাঝেমধ্যে ইসিবির পলিসি কোন নির্দিষ্ট সময়ে জেকন এক দেশের বিরুদ্ধে হেতে পারে।

এক্স ফ্যাক্টর

ক্রস কারেন্সির EUR/CHF এর এক্সচেঞ্জ USD/CHF এর উপর প্রভাব ফেলতে পারে। ধরুন, ইসিবির ইন্টেরেস্ট রেট বাড়ানোতে ইউরোর ভ্যালু বাড়লে, সেটা অন্যান্য সুইসি পেয়ারগুলোকে দুর্বল করবে।

মার্জার এবং অ্যাকুইজিশন (M&A) কার্যকলাপ

সুইজারল্যান্ডের প্রধান ইন্ডাস্ট্রি হল ব্যাংকিং এবং ফাইন্যান্স। M&A কার্যকলাপ অথবা কোম্পানির কেনা অথবা বেচা খুব কমন।

সেটা CHF এর উপরে কিভাবে প্রভাব ফেলতে পারে?

ধরুন, বিদেশী এক কোম্পানি সুইজারল্যান্ডের একটা বিজনেস কিনতে চায়। তাহলে তাদের CHF এ দাম দিতে হবে। অন্যদিকে ধরুন, কোন সুইজ ব্যাংক ইউএস এর একটা কোম্পানি কিনতে চায়, তাহলে তাদের CHF দিয়ে USD কিনতে হবে।


USD/CHF ট্রেডের কৌশল 

সুইসি পেয়ার (USD/CHF এবং EUR/CHF) সাধারনত ইউরোপিয়ান ট্রেডিং সেশনে একটিভ থাকে। দুটো কারেন্সি পেয়ারই বেশীরভাগ সময় রেঞ্জ বাউন্ড মার্কেটে থাকে। তারপরে আবার তাদের ব্রেকআউট এবং স্পাইক করার সম্ভাবনা থাকে।

আগে বলেছিলাম যে SNB সুইসির ভ্যাল সবসময় মনিটর করে। তারা CHF কে দুর্বল করার লক্ষে ফরেক্স মার্কেটে হস্তক্ষেপ করার জন্য বিখ্যাত।

উদাহরনস্বরূপ, যদি কোন রিস্ক বাড়ার কারনে USD/CHF বাৎসরিক লো অতিক্রম করে, SNB প্রাইস উপরে ওঠানোর জন্য ঘুরপাক খাবে।

চার্টে ২০১১ সালের কাহিনী লক্ষ্য করুন। SNB ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা EUR/CHF এর সর্বনিম্ন ভ্যালু ১.২০০০ বজায় রাখবে। তারপরের বছরগুলোতে প্রাইস কোথায় ঘুরপাক খাচ্ছে?

এছাড়াও আপনি সুইসি ট্রেডের জন্য তাদের মেজর ট্রেডিং পার্টনার ইউরোজোনের ইকোনোমিক ফান্ডামেন্টাল মনিটর করতে পারেন। যেকোনো উত্তেজনাপূর্ণ ইকোনোমিক অথবা পলিটিক্যাল খবর ইউরো জোনের ইনভেস্টরদের সুইসির শরণাপন্ন করে।

তারপর, USD/CHF ট্রেডের জন্য কারেন্সি ক্রস যেমন EUR/CHF ব্যাবহার করা যেতে পারে। ইসিবির ইন্টেরেস্ট রেটে বৃদ্ধি EUR/CHF এর প্রাইস বাড়াবে আর তার সাথে USD/CHF এর উপরও প্রভাব ফেলবে।

08 নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ড 

লর্ড অব দ্যা রিং ছবিটি সবাই দেখেছেন তাই না? মিডেল আর্থের ওইসব পাহাড়পর্বত নিউজিল্যান্ডে অবস্থিত।
ফ্রোডো বাগিন্স এবং তার বন্ধুদের দেশ ছাড়াও ওশেনিয়ায় নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেশী দেশ। প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিন অঞ্চলে।

দেশটি প্রধানত ২টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। উত্তর দ্বীপ এবং দক্ষিন দ্বীপ, এবং অন্যান্য ছোট ছোট দ্বীপ।

তাদের দেশে মানুষের চেয়ে ভেড়া বেশী, আর সেজন্য তারা বিখ্যাত। নিউজিল্যান্ডে ৪ মিলিয়ন মানুষ আর ৪০ মিলিয়ন ভেড়ার বসবাস। ২০১১ সালে নিউ ইয়র্কের জনসংখ্যা ছিল ৮.৪ মিলিয়ন।

নিউজিল্যান্ডকে এর আরেক নাম হল Aotearoa, যার অর্থ মাওরিতে “Land of the Long White Cloud”। মাওরি তাদের প্রধান ভাষার মধ্যে একটি।

নিউজিল্যান্ডঃ ফ্যাক্টস, ফিগারস, এবং ফিচারস

প্রতিবেশী দেশ: অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, টোঙ্গা
আয়তন: ১০৪,৪৫৪ বর্গ মাইল
জনসংখ্যা: ৪,২৬৮,৬০০ (১২৪ তম)
ঘনত্ব: ৪০.৯ জন প্রতি বর্গ মাইলে
রাজধানী: ওয়েলিংটন (জনসংখ্যা ১৭৯,৪৬৬)
রাষ্ট্র প্রধান: রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ
সরকার প্রধান: Prime Minister John Key
মুদ্রা: নিউজিল্যান্ড ডলার (NZD)
মুখ্য আমদানি: যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম, যানবাহন এবং বিমান, পেট্রোলিয়াম, ইলেকট্রনিক্স, টেক্সটাইল, প্লাস্টিক
মুখ্য রপ্তানি: রাসেল ক্রো, আকরিক এবং ধাতু; উল, খাদ্য ও লাইভ প্রাণী; জ্বালানি, পরিবহন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম।
আমদানি পার্টনার: জার্মানি ১৩.৫%, ইউএস ১০.২%, ফ্রান্স ৮.১%, নেদারল্যান্ডস ৬.৩%, বেলজিয়াম ৪.৯%, ইতালি ৪.৭%
রপ্তানি পার্টনার: ইউএস ১৫.৭%, জার্মানি ১০.৫%, ফ্রান্স ৯.৫%, নেদারল্যান্ডস ৬.৯%, ৬.৫% আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম ৫.৬%, ৪.৪% স্পেন, ইতালি ৪.৪%
টাইম জোন: জিএমটি +12
ওয়েবসাইট: http://www.newzealand.govt.nz





ইকোনোমিক ওভারভিউ

তাদের জনসংখ্যা যেমন কম, নিউজিল্যান্ডের ইকোনোমিও তুলনামুলকভাবে ছোট। তাদের জিডিপি ২০১১ সালে ১২৩ বিলিয়ন ইউএসডি এর সমান ছিল, আর তারা ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিতে ৬৫তম হয়েছিলো। তাই বলে নিউজিল্যান্ডকে অবমূল্যায়ন করবেন না। বাণিজ্যের দিক দিয়ে তারা যথেষ্ট শক্তিশালী।

তাদের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ট্রেডের উপর নির্ভরশীল, বিশেষকরে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, এবং ইউএস এর সাথে। তারা রপ্তানি নির্ভর দেশ। তাদের মুখ্য রপ্তানিদ্রব্য আকরিক, ধাতু এবং উল তাদের জিডিপির ৩ ভাগের ১ ভাগ দখল করে আছে। এছাড়াও তারা গবাদি পশু এবং দুগ্ধ জাতীয় পণ্য রপ্তানি করে। “দুধের সেরা দুধ” – কোন ঘণ্টা বাজলো?

তাদের প্রধান ইন্ডাস্ট্রি হল কৃষি এবং পর্যটন। তাদের আবার ছোটখাটো ম্যানুফ্যাকচারিং এবং টেকনোলজি সেক্টর আছে। একারনে, তাদের আমদানি দ্রব্য মুলত ভারী যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম, যানবাহন, এবং ইলেকট্রনিক পণ্য হয়ে থাকে।

তারা যখন ফরেন ইনভেস্টমেন্টে অনেক বাধা তুলে দেয়, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক তাদের সেরা বিজনেস-ফ্রেন্ডলি দেশের মধ্যে একটির উপাধি দেয়। সিঙ্গাপুরের পরে।

মনেটারি এবং ফিস্ক্যাল পলিসি 

রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউজিল্যান্ড (RBNZ)দেশের মনেটারি এবং ফিস্ক্যাল পলিসির দায়িত্বে আছে। বর্তমানে গভর্নর Alan Bollard এর নেতৃত্বে, RBNZ বছরে ৮ বার মনেটারি পলিসি মিটিং ডাকে। RBNZ এর কাজ হল প্রাইসে স্থিতিশীলতা রাখা, ইন্টেরেস্ট রেট নির্ধারণ কড়া, এবং আউটপুট এবং এক্সচেঞ্জ রেট মনিটর করা।

প্রাইসে স্থিতিশীলতা আনতে, RBNZ বাৎসরিক ১.৫% ইনফ্লেশন রেট টার্গেট নিশ্চিত করে। অন্যথায় সরকারের RBNZ গভর্নরের নিতম্বে লাথি দিয়ে বের করে দেয়ার ক্ষমতা আছে। (ফাজলামি করছি না)

RBNZ এর নিম্নোক্ত মনেটারি পলিসি ট্যুল আছেঃ 

অফিসিয়াল ক্যাশ রেট (OCR), এটা সর্ট-টার্ম ইন্টেরেস্ট রেটে প্রভাব ফেলে। এটা RBNZ এর গভর্নর নির্ধারণ করে। সেন্ট্রাল ব্যাংক OCR রেটের ২৫ বেসিস পয়েন্ট বেশীতে ঋণ দেয় এবং কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমে ঋণ নেয়। এতে কমার্শিয়াল ব্যাংক যে ব্যাক্তি এবং ব্যাবসাকে যে রেট অফার করে সেটা সেন্ট্রাল ব্যাংককে ইনফ্লেশন কন্ট্রোল করতে সহায়তা করে।

ওপেন মার্কেট অপারেশনস ক্যাশ টার্গেট এবং কমার্শিয়াল ব্যাংকে কত পরিমান রিজার্ভ থাকবে, সেক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয়। প্রতিদিন ক্যাশ টার্গেট ফোরকাস্ট করে, RBNZ ইকোনোমিতে কত পরিমানে অর্থ প্রয়োজন সেটা গননা করে।

NZD কে চেনা 

নিউজিল্যান্ড ডলারের ডাকনাম হল “Kiwi”। এটা একটা পাখির নাম! Kiwi আবার নিউজিল্যান্ডের জাতীয় প্রতীক। এসবের দিকে না তাকিয়ে কারেন্সি এবং এর অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের দিকে তাকাই।

কি আছে (কমোডিটি) তা দেখান!

যেহেতু নিউজিল্যান্ড কমোডিটি এবং কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির উপর নির্ভরশীল, তাদের ইকোনোমিক পারফর্মেন্স কমোডিটি প্রাইসের সাথে সম্পর্কযুক্ত।

যদি কমোডিটির প্রাইস বাড়ে, তাহলে যে পরিমানে অর্থ নিউজিল্যান্ডের রপ্তানির জন্য দেয়া লাগে সেটা বাড়ে। যেটা পরবর্তীতে দেশের জিডিপিতে আরও বড় অবদান রাখে। যেহেতু হায়ার জিডিপি শক্তিশালী ইকোনোমিক পারফর্মেন্স ইঙ্গিত করে, এটা Kiwi এর ভ্যালু বাড়াতে পারে।

অন্যদিকে, যদি কমোডিটির প্রাইস কমে যায়, সেটা রপ্তানির মনেটারি ভ্যালু কমিয়ে দেবে, যেটা জিডিপিতে কম অবদান রাখবে। জিডিপি কম হলে Kiwi এর ভ্যালু কমিয়ে দেবে।

আমি AUD এর সাথে তাল মিলিয়ে চলি

যেহেতু অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডের এক নম্বর ট্রেডিং পার্টনার, অস্ট্রেলিয়ার ইকোনোমিক পারফর্মেন্স নিউজিল্যান্ডের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।

যেমন, যখন অস্ট্রেলিয়ার ইকোনোমি ভালো করে, অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানিগুলো তাদের আমদানি বাড়িয়ে দেয়। বলুনতো এতে কার লাভ হচ্ছে? নিশ্চয়ই নিউজিল্যান্ড।

...আর AUD এর মত আমিও ক্যারি ট্রেডের মজা নেই!

অস্ট্রেলিয়ার মত নিউজিল্যান্ডও অন্যান্য মেজর ইকোনোমির তুলনায় উচ্চ ইন্টেরেস্ট রেটের মজা নেয়।

ইকোনোমির মধ্যে ইন্টেরেস্ট রেটের পার্থক্য প্রায়ই মানি ফ্লো এর ইনডিকেটর হিসেবে কাজ করে। যেহেতু ইনভেস্টররা উচ্চ রিটার্ন পছন্দ করে, তারা লোয়ার-ইয়েল্ডিং ইনভেস্টমেন্ট হায়ার-ইয়েল্ডিং অ্যাসেট অথবা কারেন্সিতে এক্সচেঞ্জ করবে। এক কথায়, ইন্টেরেস্ট রেট যত বেশী, মানি ফ্লো তত বেশী হবে।

মাইগ্রেশনের জন্য আপনাকে স্বাগতম!

যেহেতু নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যা নিউ ইয়র্কের অর্ধেকেরও কম, মাইগ্রেশন বাড়লে দেশের ইকনমিতে অনেক প্রভাব পরে। কারন যখন মানুষ বাড়বে, জিনিসপত্রের ডিমান্ড বাড়বে এবং পণ্যের কনজাম্পশন বাড়বে।

আমিও আবহাওয়া নির্ভর!

নিউজিল্যান্ডের ইকোনোমি চাষবাস দ্বারা পরিচালিত, তাই খারাপ আবহাওয়া যেমন অনাবৃষ্টি তাদের ইকোনোমির উপর প্রচন্ড নেগেটিভ প্রভাব ফেলে। এসব তাপপ্রবাহ অস্ট্রেলিয়াও বিদ্যমান, যা ফরেস্ট ফায়ারের কারনে হয়। এটা তাদের জিডিপির ১% এর মত ক্ষতি করে। এটা NZD এর জন্য সুখবর বয়ে আনে না...

NZD এর প্রয়োজনীয় কিছু ইনডিকেটর

গ্রস ডমেস্টিক প্রডাক্ট – অন্যান্য দেশের মত, জিডিপি রিপোর্ট নিউজিল্যান্ডের অর্থনৈতিক অবস্থা ব্যাক্ত করে। যেহেতু এটা নিউজিল্যান্ডের ইকোনোমিক পারফর্মেন্স পরিমাপ করে, তাই এটা NZD এর ডিমান্ডের উপরে প্রভাব ফেলার ক্ষমতা রাখে।

কনজুমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI) – সিপিআই প্রাইস লেভেলে পরিবর্তনের পরিমাপ করে। ইনফ্লেশনের পরিমাপক হিসেবে, এতে RBNZ কড়াভাবে নজর রাখে যে মনেটারি পলিসিতে কোন পরিবর্তন আনতে হবে কিনা। মনে আছে তাদের উদ্দেশ্য হল প্রাইসে স্থিতিশীলতা রাখা?

ব্যালেন্স অব ট্রেড – যেহেতু নিউজিল্যান্ড রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতি, অনেকসময় ট্রেডাররা নিউজিল্যান্ডের পণ্যের ইন্টারন্যাশনাল ডিমান্ড যাচাই করতে ট্রেড ব্যালেন্সের দিকে নজর দিয়ে থাকে।

NZD কে কি মুভ করায়? 

অর্থনৈতিক উন্নয়ন

পজিটিভ জিডিপি রিপোর্ট নিউজিল্যান্ডের জন্য শক্তিশালী অর্থনীতি ইঙ্গিত করে, যেটা তাদের কারেন্সির ডিমান্ড বাড়ায়। নেগেটিভ জিডিপি রিপোর্ট ইঙ্গিত করে যে তাদের অর্থনীতি ভালো করছে না, আর সেটা NZD এর ভ্যালু কমিয়ে দেয়।

রপ্তানিতে উচ্ছাস

নিউজিল্যান্ডের পণ্যদ্রব্যের ডিমান্ড বেশী থাকলে সেটা উচ্চ জিডিপি রিপোর্টে ভুমিকা রাখে। যেটা NZD এর ভ্যালু বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে, রপ্তানি কম হলে সেটা জিডিপিতে কম অবদান রাখে, যেটা NZD এর ভ্যালু কমিয়ে দেয়।

পণ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি 

পণ্যদ্রব্যের দাম বাড়লে সেটা নিউজিল্যান্ডের রপ্তানির অর্থের মান বাড়িয়ে দেয়, যেটা জিডিপি বাড়িয়ে দেয়। পণ্যদ্রব্যের দাম কমলে তার উল্টোটা হয়।

NZD/USD ট্রেডের কৌশল 

নিউজিল্যান্ডের শক্তিশালী ইকোনোমিক রিপোর্ট NZD এর ভ্যালু বাড়িয়ে দেয়। তাই যদি দেখেন যে কোন ইকোনোমিক ডাটা যা আশা করা হয়েছিলো তার চেয়ে ভালো আসার সম্ভাবনা আছে, সেক্ষেত্রে NZD/USD বাই করার সংকেত দিয়ে থাকে।

অন্যদিকে দুর্বল ইকোনোমিক রিপোর্ট, NZD এর ভ্যালু কমায়। যদি দেখেন যে কোন ইকোনোমিক ডাটা যা আশা করা হয়েছিলো তার চেয়ে খারাপ আসার সম্ভাবনা আছে, সেক্ষেত্রে NZD/USD সেল করার প্রস্তুতি নিতে পারেন।

ইকোনোমিক রিপোর্ট বাদে, কমোডিটির প্রাইস কি ধরনের আচরন করছে সেদিকে লক্ষ্য রাখলে NZD/USD এর জন্য সিগন্যাল পেতে পারেন।

যখন ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের ডিমান্ড বাড়ে, বেশীরভাগ সময় কমোডিটি প্রাইসে উচ্ছাস দেখা যায়। এসব সময়ে, ইনভেস্টররা তাদের অর্থ হায়ার-ইয়েল্ডিং অ্যাসেট যেমন গোল্ড এবং অন্যান্য কমোডিটিতে লাগায় এবং লোয়ার-ইয়েল্ডিং ইউএস ডলার সেল করে। ফলে, কমোডিটি ভিত্তিক Kiwi সেফ-হ্যাভেন কারেন্সি ইউএস ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হয়।

অন্যদিকে, যখন রিস্ক অ্যাভারশন ইনভেস্টরদের সেফ-হ্যাভেনে ফিরে যেতে বাধ্য করে, USD এর বিপরীতে NZD তার ভ্যালু হারায়।

AUD এর মত NZD ও ক্যারি ট্রেডের জন্য ভালো। ক্যারি ট্রেডের যেহেতু হাই ইন্টেরেস্ট সম্পন্ন কারেন্সি বাই এবং লো ইন্টেরেস্ট সম্পন্ন কারেন্সি সেল করতে হয়, নিউজিল্যান্ডের তুলনামূলক হাই ইন্টেরেস্ট রেট NZD কে সহায়তা করে থাকে।

07 অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়া

অফিশিয়ালি অস্ট্রেলিয়া কমনওয়েলথ অব অস্ট্রেলিয়া নামে পরিচিত। অস্ট্রেলিয়া দক্ষিন গোলার্ধে অবস্থিত, এশিয়ার সাউথ ইস্টে।

তাদের বিশ্বে সবচেয়ে বড় আইল্যান্ড হিসেবে ধরা হয়। অস্ট্রেলিয়া একমাত্র দেশ যে কিনা সম্পূর্ণ একটা মহাদেশ পরিচালনা করে।

১৭৮৮ সালে ইউরোপ থেকে ঔপনিবেশিকরা আসার আগে, দেশের বেশীরভাগ জায়গায় আদিবাসীদের বসবাস ছিল।

তারপর থেকে, পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় মাইগ্রেট করে, যা তাদের বিশ্বে অন্যতম বিচিত্র সাংস্কৃতিক দেশে পরিনত করেছে। এখন অস্ট্রেলিয়া ২০০ ধরনের দেশের সংমিশ্রণের এক দেশ।

শেষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, অস্ট্রেলিয়া সর্বকালের সেরা অভিনেতাদের জন্য বিখ্যাত।  যেমন মেল গিবসন, দ্যা ব্রেভহার্ট; হিউ জ্যাকম্যান, দ্যা ওলভারিন; এবং লেজেন্ডারি হিথ লেজার, দ্যা জোকার!

তার সাথে যোগ করতে পারেন, মেক-ক্যাঙ্গারু, ব্যাটেল ট্যাঙ্ক আর্মাডিলো, এবং বোম্বার পেলিকান। এখান থেকে দেখতে পারেন যে সারা পৃথিবীর কাছে তাদের দেশকে এই নামে ডাকা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না।

অস্ট্রেলিয়া ফ্যাক্টস, ফিগারস, এবং ফিচারস 

প্রতিবেশী: নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি, ইন্দোনেশিয়া
আয়তনঃ ২,৯৬৯,৯০৭ বর্গ মাইল
ঘনত্ব: ৭.৩ জন প্রতি বর্গ মাইলে
রাজধানী: ক্যানবেরা (জনসংখ্যা ৩৫৮,২২২)
রাষ্ট্র প্রধান: রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ
সরকার প্রধান: Prime Minister Julia Gillard
মুদ্রা: অস্ট্রেলিয়ান ডলার (AUD)
মুখ্য আমদানি: যন্ত্রপাতি ও পরিবহন, বৈদ্যুতিক ও টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি; অশোধিত তেল এবং পেট্রোলিয়াম পণ্য।
মুখ্য রপ্তানি দ্রব্য: আকরিক এবং ধাতু; উল, খাদ্য ও লাইভ প্রাণী; জ্বালানি, পরিবহন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম, হিউ জ্যাকম্যান, নিকলে কিডম্যান, হিথ লেজার।
আমদানি পার্টনার: চীন ১৯.২%, ১২.১% মার্কিন, জাপান ৭.৮%, সিঙ্গাপুর ৫.৩%, ৫.১% জার্মানি।
রপ্তানি পার্টনার: চীন ২৬.৪%, ১৯.১% জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ৯.২%, ভারত ৬.৪%, তাইওয়ান ৩.৭%।
সময় অঞ্চল: জিএমটি +10
ওয়েবসাইট: http://www.australia.gov.au





ইকোনোমিক ওভারভিউ

G7 এর দেশগুলোর তুলনায়, অস্ট্রেলিয়ার ওভারঅল ইকোনোমি তুলনামুলকভাবে ছোট। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মতে, পার পারসন ব্যাসিসে, তাদের জিডিপি ইউকে, জার্মানি এবং ইউএস এর চেয়ে বেশী।

প্রায় ১৫ বছর ধরে, অস্ট্রেলিয়ার ইকোনোমি প্রতিবছর গড়ে ৩.৬% করে বেড়েছে। বিশ্বে ২.৫% হল আদর্শ রেট। এটা আশ্চর্যজনক নয় যে Legatum Institute এর Prosperity Index অনুযায়ী তারা ২০১১ সালে ৩য় এবং ২০১২ সালে ৪র্থ হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার ইকোনোমি সার্ভিস ওরিয়েন্টেড কোম্পানি। তাদের জিডিপির ৭০% এর বেশী ফাইন্যান্স, এডুকেশন, এবং ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি থেকে আসে।

শক্তসমর্থ এক্সপোর্ট ইন্ডাস্ট্রি এবং ভালো উন্নতি হওয়া সত্ত্বেও, অস্ট্রেলিয়া ধারাবাহিকভাবে হাই কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিটের জন্য বিখ্যাত। এর মানে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের স্বদেশী চাহিদা মেটানোর জন্য অন্যান্য দেশ থেকে প্রচুর পণ্যদ্রব্য আমদানী করে থাকে।

মনেটারি এবং ফিস্ক্যাল পলিসি

রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া (RBA) মনেটারি এবং ফিস্ক্যাল পলিসি পরিচালনা করে। RBA এর ৩টি উদ্দেশ্য হলঃ

১) এক্সচেঞ্জ রেট স্থিতিশীল রাখা
২) উন্নতি নিশ্চিত করা
৩) সম্পূর্ণ কর্মসংস্থানের যোগাড় করা

এগুলো করতে, RBA বিশ্বাস করে যে দেশের ইনফ্লেশন ২-৩% এর মধ্যে রাখা প্রয়োজন। ইনফ্লেশনের উপরে কড়া নজর রেখে, তারা তাদের ডমেস্টিক কারেন্সির ভ্যালু সুরক্ষিত রাখে, অবশেষে যেটা স্থিতিশীল অর্থনৈতিক উন্নতিতে সহায়তা করে।

ইনফ্লেশন যে কন্ট্রোলে আছে সেটা RBA বোঝে কিভাবে? ২টি উপায় হলঃ ক্যাশ রেটে পরিবর্তন এনে এবং ওপেন মার্কেট অপারেশনের মাধ্যমে।

ওপেন মার্কেট অপারেশন দ্বারা RBA সরকারী লোণ অথবা অন্যান্য ফিনান্স্যিয়াল অ্যাসেট কেনাবেচার মাধ্যমে মানি সাপ্লাই কন্ট্রোল করে। জানুয়ারি বাদে, RBA প্রতি মাসে মিটিং ডেকে মনেটারি পলিসিতে কোন পরিবর্তন আনা প্রয়োজন কিনা সে ব্যাপারে আলোচনা করে।

এটা ভালোভাবে বুঝতে, ধরুন অস্ট্রেলিয়ার ইনফ্লেশন RBA যা আশা করছিলো, তার চেয়ে বেশী বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এই ইনফ্লেশন কমাতে, ব্যাংক ক্যাশ রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল, যেটা ঋণ নেয়ার খরচ বাড়িয়ে দেবে।

এটা ঋণ নেয়ার পরিমান কমিয়ে দেবে, যাতে ইকোনোমিতে কম অর্থ লেনদেন হবে। আর ডিমান্ড/সাপ্লাই এর সুত্র থেকে আমরা জানি যে, যা পাওয়া দুর্লভ হয় তার দাম বেশী হয়!

এইউডি কে চেনা 

প্রত্যেক সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ান মার্কেট সবার আগে ওপেন হয়। অস্ট্রেলিয়ার লোকাল কারেন্সিকে অসি বলা হয়ে থাকে।
আমাকে কমোডিটি ডলার বলার পেছনে কারন আছে...

এইউডি এর একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল যে তার গোল্ড প্রাইসের সাথে পজিটিভ কোরিলেশন হাই। এর কারন হল অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের ৩য় বৃহৎ গোল্ড উৎপাদক। তাই যখনই গোল্ডের প্রাইসে ওঠানামা করে, এইউডি সেটা অনুসরন করে।

...ক্যারি ট্রেডের জন্য আমি সেরা প্রার্থী

মেজর কারেন্সিগুলোর মধ্যে, এইউডি তার হাই ইন্টেরেস্ট রেটের জন্য বিখ্যাত। এটা ক্যারি ট্রেডারদের কাছে এইউডি কে পছন্দনীয় করে তোলে। ক্যারি ট্রেড হল একটা হাই ইন্টেরেস্ট রেটের কারেন্সিকে একটা লো ইন্টেরেস্ট রেটের কারেন্সির বিপরীতে বাই করা।

আমি দিনে কয়েকঘন্টা জাগ্রত থাকি...

এইউডির প্রাইসে মুভমেন্ট এশিয়ান ট্রেডিং সেশনে দেখা যায়, যখন অস্ট্রেলিয়ার ইকোনোমিক ডাটা বের হয়।
...কিন্তু খারাপ আবহাওয়া আমার সবচেয়ে খারাপ শত্রুদের মধ্যে এক

অস্ট্রেলিয়া কমোডিটি ভিত্তিক ইকোনোমি হওয়াতে প্রতিকূল আবহাওয়া অস্ট্রেলিয়ার ইকোনোমিতে চরম প্রভাব ফেলে, যেটা এইউডি সেলের কারন হয়ে দাড়ায়।

আবহাওয়া এইউডির উপরে কতটা গুরুতর প্রভাব ফেলে?

২০০২ সালের খরার কথা ধরুন, এইউডি/ইউএসডি প্রায় ০.৪৭৭০ তে নেমে এসেছিলো – আর সেটা বর্তমান এক্সচেঞ্জ রেটের প্রায় অর্ধেক।

অস্ট্রেলিয়ার কিছু প্রয়োজনীয় ইনডিকেটর

কনজুমার প্রাইস ইনডেক্স – যেহেতু RBA এর প্রধান উদ্দেশ্য হল ইনফ্লেশন কন্ট্রোল করা, সিপিআই, যেটা ভোক্তাদের পণ্যদ্রব্য এবং সার্ভিসের প্রাইসের পরিবর্তনের পরিমাপ করে, এটাতে ব্যাংক কর্তৃক কড়াভাবে নজর রাখা হয়।

ব্যালেন্স অব ট্রেড – অস্ট্রেলিয়ার ট্রেড সেক্টর খুব শক্তিশালী হওয়াতে কারেন্সি ট্রেডার এবং ব্যাংক কর্মকর্তারা দেশের এক্সপোর্ট এবং ইম্পোরট লেভেলে পরিবর্তনে নজর রাখে।

গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট – অস্ট্রেলিয়ার ইকোনোমি কিরকম করছে জিডিপি সেটা পরিমাপ করে। পজিটিভ রেজাল্ট অর্থনৈতিক উন্নতির ইঙ্গিত করে এবং নেগেটিভ রেজাল্ট অর্থনৈতিক সংকোচন ইঙ্গিত করে।

বেকারত্বের হার – অস্ট্রেলিয়ায় কতজনের কাছে কাজ নেই বেকারত্বের হার সেটা দেখায়। কতজন লক কর্মজীবী, অথবা কতজন বেকার আছে, সেটা ইকোনোমিক কার্যকলাপের সাথে হাইলি কোরিলেটেড। একজনের কাছে কাজ নেই, মানে তার কাছে খরচ করার মত অর্থ নেই।

এইউডি কে কি মুভ করায়

ইকনমিক এবং ইন্টেরেস্ট রেট আউটলুক

ম্যাক্রোইকোনোমিক ফ্যাক্টর যেমন মনেটারি পলিসি, ইন্টেরেস্ট রেট এবং স্বদেশী ইকোনোমিক ডাটা, এইউডি এর উপরে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে।

এইউডি ট্রেডের সময়, ইন্টেরেস্ট রেট আউটলুকে সবসময় স্পেশাল নজর রাখবেন। ইন্টেরেস্ট রেটের উপর RBA এর কর্মকর্তাদের মন্তব্য, এইউডি এর উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।

চীনের অর্থনীতি

বিগত দশকে, চীন অনেক উন্নতির রিপোর্ট দিয়েছে। তাদের পণ্য তৈরি করতে, চীন অনেক কাচামাল যেমন কয়লা এবং খনিজ দ্রব্য অস্ট্রেলিয়া থেকে আনে।

চীনের অস্ট্রেলিয়া থেকে কাচামাল কিনতে, প্রথমে তাদের লোকাল কারেন্সিকে অস্ট্রেলিয়ান ডলারে এক্সচেঞ্জ করে নিতে হয়। এর মানে চাইনিজ পণ্যদ্রব্যের ডিমান্ড বাড়লে সেটা অস্ট্রেলিয়ান ডলারের ভ্যালু বাড়ায়।

একইভাবে, চাইনিজ পণ্যদ্রব্যের ডিমান্ড কম্লে সেটা এইউডি এর ভ্যালুতে ফল করাতে পারে।

নিউজিল্যান্ড ডাটা

কম হোক কিন্তু নিউজিল্যান্ডের ডাটা এইউডি এর প্রাইস অ্যাকশানের উপরে প্রভাব ফেলে। নোট করবেন যে নিউজিল্যান্ডের ইকোনোমি অস্ট্রেলিয়ার মত, যেটা তাদের কারেন্সিকে পজিটিভলি কোরিলেটেড করে।

আসলে, তাদের কারেন্সির মধ্যের সম্পর্ককে “Trans-Tasman” বলা হয়ে থাকে। এটা ইঙ্গিত করে যে তাদের ইকোনোমি কতটা নিকটে এবং শুধুমাত্র Tasman সাগর তাদের মধ্যে একটা রেখা টেনে দিয়েছে।

এটা বলার পরে, এটাও বলা প্রয়োজন যে নিউজিল্যান্ডের ডাটা পরোক্ষভাবে এইউডি এর উপরে প্রভাব ফেলতে পারে।

এইউডি/ইউএসডি ট্রেডের কৌশল

যেহেতু এইউডি ক্যারি ট্রেডের জন্য সেরা প্রার্থীদের মধ্যে একজন, তাই ক্রস কারেন্সির প্রভাব এইউডি/ইউএসডি এর ব্যাপকভাবে পরে।

এটা আপনি নিজের সুবিধায় কিভাবে ব্যাবহার করতে পারেন?

ধরুন, যদি আপনি এইউডি/জেপিওয়াই এর কোন গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক্যাল লেভেল ব্রেক করতে দেখেন, তাহলে সেটা আপনাকে এইউডি/ইউএসডি সেলের ইঙ্গিত দেবে।

এইউডি/ইউএসডি ট্রেডের সময় আরেকটা জিনিস লক্ষ্য রাখবেন যে কখন নিউজিল্যান্ডের ডাটা প্রকাশিত হয়।
অস্ট্রেলিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে এবং নিউজিল্যান্ডের সাথে তাদের ট্রেড রিলেশনের কারনে, নিউজিল্যান্ডের পজিটিভ ডাটা এইউডি এর ভ্যালু বাড়াতে সহায়তা করে।

এর মানে যা আশা কড়া হয়েছিলো তার চেয়ে ভালো ফলাফলের কোন ইকোনোমিক রিপোর্ট এইউডি বাই করার জন্য ভালো সিগন্যাল। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের খারাপ ইকোনোমিক ডাটা এইউড সেলের কারন হতে পারে।

শেষে, কিছুটা সময় নিয়ে কমোডিটি প্রাইসের দিকে লক্ষ্য রাখবেন, বিশেষকরে গোল্ডের দিকে। বেশীরভাগ সময়, এইউডি গোল্ডের প্রাইসকে অনুসরন করে।

এর মানে, যখন গোল্ডের ভ্যালু বাড়বে, এইউডি/ইউএসডি এর ভ্যালুও বাড়বে। অবশ্যই যখন গোল্ডের ভ্যালু কম্বে, এইউডি সেটা অনুসরন করবে।

06 কানাডা

কানাডা

কানাডা ... আঙ্কেল স্যামের ফ্রেন্ডলি, পরিবেশ প্রেমি, ফ্রেঞ্চ-প্রভাবিত, বরফে ঢাকা দেশ। তারা অনেক চমৎকার জিনিজপত্র তৈরির জন্য বিখ্যাত, যেমন বাস্কেটবল, বেসবল, ম্যাপেল সিরাপ, এবং স্মার্টিস।

কানাডা, যার বেশীরভাগ নর্থ আমেরিকা নিয়ে গঠিত, তারা আটলান্টিক মহাসাগর  থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বদিক পর্যন্ত বিস্তৃত। এটা দশটি প্রদেশ এবং তিনটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয়, এবং বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি দেশ হিসাবে গণ্য করা হয়।

ভুমির ব্যাপকতার দিক দিয়ে, কানাডাকে রাশিয়ার পরে ধরা হয়! তাদের আকার আয়তন এবং বিশ্বে তাদের অবদান ছাড়াও, আপনি কল্পনা করতে পারেন যে কানাডা এবং তাদের লোকাল কারেন্সি, কানাডিয়ান ডলার, ফরেক্স ওয়ার্ল্ডে কত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।

কানাডা – ফ্যাক্টস, ফিগারস এবং ফিচারস

প্রতিবেশী দেশ: ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা
আয়তন: ৩,৮৫৫,১০১ বর্গ মাইল
জনসংখ্যা: ৩৩,৪৭৬,৬৮৮
ঘনত্ব: ৮.৩ জন প্রতি বর্গমাইলে।
রাজধানী: OTTAWA
রাষ্ট্র প্রধান: রানী ২য় এলিজাবেথ, গভর্নর জেনারেল ডেভিড লয়েড জন্সটনের প্রতিনিধিত্বে।
প্রধানমন্ত্রীঃ স্টিফেন হারপার
মুদ্রা: কানাডিয়ান ডলার (CAD)
মুখ্য আমদানি: যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম, মোটর গাড়ি এবং অংশ, ইলেকট্রনিক্স, অপরিশোধিত তেল, রাসায়নিক, বিদ্যুৎ, টেকসই ভোগ্যপণ্য।
মুখ্য রপ্তানি: মোটর গাড়ি এবং অংশ, শিল্প যন্ত্রপাতি, বিমান, টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিক্স, রাসায়নিক, প্লাস্টিক, সার, কাঠ সজ্জা, কাঠ, অশোধিত পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস, বিদ্যুৎ, অ্যালুমিনিয়াম, স্টিভ ন্যাশ, সিডনি ক্রসবি।
আমদানি পার্টনার: ইউএস ৫০.৪%, চীন ১১%, মেক্সিকো ৫.৫%
রপ্তানি পার্টনার: মার্কিন ৭২.৩%, জাপান ২.৫%
সময় অঞ্চল: জিএমটি -৮, জিএমটি -৪, জিএমটি -৭, জিএমটি -৬, জিএমটি -৫,
ওয়েবসাইট: http://www.canada.gc.ca/home.html





ইকোনোমিক ওভারভিউ

কানাডা হল সম্পদ ভিত্তিক দেশ, এর মানে দেশের উন্নয়ন তাদের নিজস্ব প্রাকৃতিক সম্পদের সদব্যাবহার এবং রপ্তানি দ্বারা আসে।

আইএমএফ এর মতে, কানাডার অর্থনীতি বিশ্বে ১০ম সেরা, যা তাদের বিশ্বে জি৮ এর অংশ বানায়। তারা গোল্ড উৎপাদনকারী হিসেবে বিশ্বে ৭ম এবং তেলের উৎপাদনকারী হিসেবে বিশ্বে ৭ম।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি ছাড়াও, কানাডার জিডিপির বেশীরভাগ আসে হল সার্ভিস সেক্টর থেকে। তাদের সার্ভিস সেক্টরে প্রতি চারজনে তিনজন কানাডিয়ান কাজ করে, এবং তাদের জিডিপির ৭০% এই সেক্টর থেকে আসে। পরে যদি কোন কানাডিয়ানের সাথে দেখা হয়, তাহলে তাকে বলবেন যে সে সার্ভিস সেক্টরে কাজ করে কিনা। দেখবেন বেশীরভাগ সময় তারা চমকে যাবে।

১৯৮৯ সালের জানুয়ারিতে যখন ফ্রি ট্রেড চুক্তি চালু হয়েছে, কানাডিয়ান ইকোনোমি উন্নতি করা শুরু করেছে। এই চুক্তি ইউএস এবং কানাডার মধ্যে ট্যারিফ সরিয়ে ফেলেছে (ট্রেড থেকে ট্যাক্স সরিয়ে ফেলা হয়েছে)। এখন কানাডা তাদের ৭০% পণ্যদ্রব্য ইউএস এতে রপ্তানি করে। 

মনেটারি এবং ফিস্ক্যাল পলিসি

ব্যাংক অব কানাডা (BOC) দেশের মনেটারি পলিসি নির্ধারণ করে। মনেটারি পলিসি গভর্নিং কাউন্সিল নির্ধারণ করে। সেটা ব্যাংকের গভর্নর, সিনিয়র ডেপুটি এবং চারজন অন্য ডেপুটি গভর্নর দ্বারা গঠিত।

অন্যান্য সেন্ট্রাল ব্যাংকের মত, BOC এর তাদের পলিসি পরিবর্তনের কোন নির্ধারিত সময় ঠিক করা নেই। কাউন্সিল মেম্বারদের প্রত্যেক ওয়ার্কিং ডেতে দেখা হয়, আর তারা যেকোনো সময় মনেটারি পলিসিতে পরিবর্তন আনতে পারে।
অন্যান্য সেন্ট্রাল ব্যাংকের মত BOC এর মৌলিক উদ্দেশ্য হল যে কানাডিয়ান ডলারের ভ্যালু স্থিতিশীল থাকুক এবং ইনফ্লেশন রেট ১-৩% টার্গেটের মধ্যে থাকুক। BOC এটা ওপেন মার্কেট অপারেশনের এবং ব্যাংক রেটে রিতিমত পরিবর্তনের মাধ্যমে করে থাকে।

BOC তাদের ওপেন মার্কেট অপারেশনসের জন্য একটা মেথড ব্যাবহার করে যার নাম লারজ ভ্যালু ট্রান্সফার সিস্টেম (LVTS)। LVTS কানাডার কমার্শিয়াল ব্যাংকগুলোকে একে অপরের কাছ থেকে অর্থ ধার দেয়ানেয়ার সুযোগ দেয় যা দ্বারা তারা দৈনিক কার্যকলাপ সম্পাদান করতে পারে। এসব লেনদেনে যে ইন্টেরেস্ট রেট চার্জ করা হয় তাকে ব্যাংক রেট বলে। ব্যাংক রেট পরিবর্তন করে, BOC ইকোনোমিতে মানি সাপ্লাই কন্ট্রোল করতে পারে।

এটা দেখাতে, ধরুন ব্যাংক রেট ২.০০% এ নির্ধারিত আছে। তাদের এক মিটিংয়ে, BOC চিন্তা করলো যে ক্যাডের ভ্যালু যা আশা করা হয়েছিল তার চেয়ে বেশী হারাচ্ছে, যার ফলে ব্যাবসায়ীরা তাদের পণ্যদ্রব্য এবং সার্ভিসের দাম বাড়াচ্ছে। BOC তখন ব্যাংক রেট ২.৫০% নির্ধারণ করে দেয়ার ডিসিশন নিতে পারে।

ব্যাংক রেট বাড়িয়ে দেয়াতে, ঋণদাতাদের বেশী সুদ হয়, যেটা ব্যাংক, বিজনেস এবং কনজুমারদের ঋণ নেয়ার পরিমান কমিয়ে দিতে পারে। যেহেতু তখন কনজুমারদের পকেটে কম অর্থ থাকবে, তাদের খরচও কমে যাবে, যেটা ইনফ্লেশন কমাবে। যখন কেউ পণ্য কিনবে না তখন কোন ব্যাবসায়ী যদি পাগল না হয়ে থাকে, তাদের পণ্যের দাম বাড়াবে।

ক্যাড কে চেনা

আপানার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে ক্যাডের নিকনেম তাদের জাতীয় পাখির নামে (লুনি) রাখা হয়েছে কেন। এর কারন হল কানাডার পয়সায় সেটা খোদাই করা হয়েছে। এছাড়াও লুনির অন্যান্য বৈশিষ্ট্য নিম্নে দেয়া হলঃ

ব্ল্যাক ক্রাক আর আমি

ঐতিহাসিকভাবে, ইউএসডি/ক্যাড এর সাথে ব্ল্যাক ক্রাকের কোরিলেশন হাই। নিয়মানুযায়ী যখনই তেলের প্রাইস বাড়ে, ক্যাড তাকে অনুসরন করে। যদি তেলের প্রাইস আসন্ন বছরে বাড়ার কথা থাকে, তাহলে আপনি ইউএসডি/ক্যাড সেল করতে পারে।

আমার ওয়ার্ক আওয়ার কম...

ইউএসডি/ক্যাড দিনের বেশীরভাগ সময় টাইট রেঞ্জে মুভ করার জন্য পরিচিত। যখন ইউএস এবং ইউরোপিয়ান ট্রেডিং সেশনের ওভারল্যাপের সময় এই পেয়ার মুভ করা শুরু করে।

...আমার এস.এস.বি ইউএসডি এর মত না...

ইউএসডি/ক্যাড ট্রেডের সময় একটা মুখ্য ফ্যাক্টরে নজর দেয়া প্রয়োজন। সেটা হল ইউএসডি/ক্যাড এর ডায়রেকশন ইউএস ইকোনোমির সাথে নিবিড়ভাবে আবদ্ধ। মনে আছে, প্রতিবেশী দেশ ছাড়াও, ইউএস এবং কানাডা একে অপরের সাথে প্রচুর ট্রেডিং কার্যকলাপে লিপ্ত। যখন ইউএস ইকোনোমি উন্নিতি করে, কানাডিয়ান ইকোনোমি তার পিছনেই থাকে। তাই যখনই আপনি ক্যাড ট্রেড করার চিন্তা করবেন, কিছু সময় নিয়ে দেখবেন যে ইউএস কেমন করছে। এস.এস.বি মানে সর্বকালের সেরা বন্ধু।

...ইউএস সেশনে কিন্তু আমি কুস্বভাবের হয়ে থাকি

ইউএস ট্রেডিং সেশন শুরু না হওয়া পর্যন্ত সাধারনত ক্যাড মুভ করে না, প্রায় জিএমটি দুপর ১:০০ টার দিকে। ক্যাড এশিয়ান ট্রেডিং সেশনে এবং ইউরোপিয়ান ট্রেডিং সেশনের সকালের দিকে কম মুভ করে।

ক্যাডের কিছু প্রয়োজনীয় ইনডিকেটর

কনজুমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI) – অন্যান্য সেন্ট্রাল ব্যাংকের মত, ব্যাংক অব কানাডার উদ্দেশ্য হল ইনফ্লেশন হাতের নাগালের বাইরে না চলে যায়। যেহেতু সিপিআই পণ্যদ্রব্য এবং সার্ভিসের প্রাইসে বাড়া/কমার দিকে নজর রাখে, তাই এই রিপোর্টের দিকে কারেন্সি ট্রেডাররা নজর রাখে।

গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিডিপি) – জিডিপি কানাডার ইকোনোমিক কার্যকলাপ পরিমাপের জন্য সেরা। দেশ উন্নতি নাকি অবনতি করছে তা দেখায়।

ট্রেড ব্যালেন্স – অন্যান্য কমোডিটি-ভিত্তিক দেশের মত, কানাডার অর্থনীতি আমদানি এবং রপ্তানি কার্যকলাপের উপর নির্ভরশীল।

Ivey Purchasing Mangers' Index (PMI)- ব্যাবসায়ীরা অর্থনীতি সম্পর্কে আশাবাদী নাকি নিরাশাবাদী PMI সার্ভে সেটা দেখার জন্য করা হয়। ৫০.০ এর উপরে রিপোর্ট আসলে সেটা বিজনেস সেক্টরে উন্নতি হচ্ছে সেটা ইঙ্গিত করে আর ৫০.০ এর নিচে আসলে উল্টাটা নির্দেশ করে।


ক্যাডকে মুভ করায় কি? 

ইউএস ইকোনোমিক ডাটা

ইউএস ডাটা এবং কানাডিয়ান ডাটা প্রায় একসময়েই বের হয়। একদিকে, ইউএস খারাপ ডাটা যদি কানাডিয়ান খারাপ ডাটার সাথে যদি যোগ করা হয়, তাহলে সেটা ইউএসডি/ক্যাড এর ভ্যালুতে চরম ধস নামাতে পারে। অন্যদিকে, ইউএস ভালো ডাটা আর কানাডিয়ান খারাপ ইউএসডি/ক্যাড এর ভ্যালু চরমভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে।
মার্জার এন্ড অ্যাকুইজিশনস

ইউএস এবং কানাডার নৈকট্যের কারনে, কোম্পানিদের মধ্যে প্রায়ই মার্জার এন্ড অ্যাকুইজিশনস দেখা যায়। এটা দুই দেশের মানি ফ্লো চরমভাবে বাড়িয়ে দেয়, যেটা ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।

উদাহরণস্বরূপ, যদি ইউএস কোম্পানি কানাডিয়ান কোম্পানি কিনতে চায়, তাহলে তাদের ইউএস ডলারকে কানাডিয়ান ডলারে পরিবর্তন করতে হবে। চিন্তা করে দেখুন যে কত পরিমানে অর্থ ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটে একসাথে লেনদেন হচ্ছে।

ইউএসডি/ক্যাড ট্রেডের কৌশল

ইউএসডি/ক্যাড যেহেতু ইউএস ট্রেডিং সেশনে একটিভ থাকে, অন্যান্য ২টি ট্রেডিং সেশনে এই পেয়ারে ফেকআউট দেখা যেতে পারে। মানে ইউএসডি/ক্যাড এর একটা উল্লেখযোগ্য সাপোর্ট ইউরোপিয়ান সেশনের সকালে ব্রেক করলে, সেটা বেশীরভাগ সময় ফেকআউট হতে পারে।

ইউএস এবং কানাডার ইকোনোমিক ডাটার পার্থক্যের দিকে নজর রাখলে ইউএসডি/ক্যাড কোন ডায়রেকশনে যাচ্ছে সেটা নির্ধারণ করা যেতে পারে। যেহেতু ইউএস এবং কানাডিয়ান ডাটা প্রায় একই সময়ে রিলিজ হয়, রিপোর্টে ভিন্নতা প্রাইসকে এক ডায়রেকশনে মুভ করাতে পারে।

যেমন, নেগেটিভ ইউএস ডাটা যদি পজিটিভ কানাডিয়ান ডাটার সাথে মিলানো হয়, তাহলে সেটা ইউএসডি/ক্যাড সেলের জন্য ভালো কারন দিয়ে থাকে।

শেষে, ইকোনোমিক ডাটা ছাড়াও, তেলের প্রাইস অ্যানালাইজ করলে সেটা ক্যাড ট্রেডের জন্য ভালো ফলাফল দেবে।
যেহেতু কানাডা বিশ্বের একটি মেজর তেল উৎপাদনকারী দেশ, তেলের পরিবর্তনে ক্যাডের ভ্যালুতে ভালো প্রভাব পরে। আসলে, ১৯৮৮ সাল থেকে, ইউএসডি/ক্যাড এবং তেলের প্রাইস প্রায় ৬৮% সময় একে অপরের সাথে বিপরীতভাবে কোরিলেটেড।

এটা আপনি নিজের লাভের জন্য কিভাবে ব্যাবহার করতে পারেন? যদি দেখেন যে লোকাল গ্যাস পাম্পে তেলের প্রাইস বাড়ছে, সেটা আপনাকে ইউএসডি/ক্যাড ট্রেডের জন্য বাড়তি তথ্য দিয়ে থাকে।

05 জাপান

জাপান

Konichiwa! কেমন আছেন? জাপান ৬,৮৫২ টি দ্বীপপুঞ্জের একটা দেশ। এর বেশীরভাগ ৪টি বড় দ্বীপ নিয়ে গঠিত।
তুলনামুলকভাবে ছোট দেশ হওয়া সত্ত্বেও, জাপানের রাজধানী টোকিওতে ৩৬ মিলিয়ন কঠোর পরিশ্রমী মানুষ আছে, যেটা তাদের বিশ্বের সবচেয়ে বড় মহানাগরিক হিসেবে আখ্যায়িত করে।

এছাড়া যদিও জাপান জনবহুল দেশ, জাপানীদের জীবনযাত্রার মান খুব উচ্চ। আর তাদের আয়ু বিশ্বে সবচেয়ে বেশী।
এছাড়াও জাপান বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা অ্যাডভান্সড টেক-ফ্রেন্ডলি দেশ।

জাপানের নামের অর্থ হল “সান-অরিজিন”, আর জাপানকে “সূর্যোদয়ের দেশ” বলা হয়ে থাকে।

জাপানঃ ফ্যাক্টস, ফিগারস, এবং ফিচারস

প্রতিবেশী দেশ: রাশিয়া, কোরিয়া, চীন
আয়তন: ২৩৪,৮২৫ জোন প্রতি বর্গ মাইলে
জনসংখ্যা: ১২৭,৩৬৮,০০৮ (১০ম)
ঘনত্ব: ৫৪২,৪০ প্রতি বর্গমাইলে
রাজধানী: টোকিও (জনসংখ্যা ১৩,১৮৯,০০০)
রাষ্ট্র প্রধান: Emperor Akihito
সরকার প্রধান: Prime Minister Yoshihiko Noda     
মুদ্রা: জাপানি ইয়েন (JPY)
মুখ্য আমদানি: পেট্রোলিয়াম, তরল প্রাকৃতিক গ্যাস, বস্ত্র, সেমিকন্ডাক্টর, কয়লা, অডিও এবং ভিজ্যুয়াল যন্ত্রপাতি।
প্রধান রপ্তানি দ্রব্য: মোটর যানবাহন, সেমিকন্ডাক্টর, লোহা ও ইস্পাত পণ্য, স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রাংশ, সুজুকি ইচিরো, সনি প্লেস্টেশন, সামুরাই সোরড, Mr. Miyagi.
আমদানি পার্টনার: চীন ২২.১%, ইউএস ৯.৯%, ৬.৫% অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব ৫.২%, ইউনাইটেড আরব আমিরাত ৪.২%, দক্ষিণ কোরিয়া ৪.১%
রপ্তানি পার্টনার: চীন ১৯.৪%, ১৫.৭% ইউএস, দক্ষিণ কোরিয়া ৮.১%, হংকং ৫.৫%, ৪.৪% থাইল্যান্ড।
টাইম জোন: জিএমটি +০৯
ওয়েবসাইট: http://kantei.go.jp





ইকোনোমিক ওভারভিউ

বিশ্বের মধ্যে ভিডিও গেমের রাজধানী হওয়া বাদে, জাপানের অর্থনীতি ২০১১ সালে বিশ্বের ৩য় বৃহৎ হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে।

বিশ্বযুদ্ধ ২ এর পরে, জাপান অর্থনৈতিক উন্নয়নের তান্ডব ঘটাচ্ছে। হোক সেটা অগ্নেয়গিরি এবং পাহাড় পর্বতের দেশ। প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতার কারনে, জাপানে প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব।

সম্পদের অভাবের কারনে, জাপানীরা রপ্তানি নির্ভর ইকোনোমি হিসেবে গড়ে উঠেছে। ২০১১ সালে তাদের রপ্তানি $৮০০ বিলিয়ন! এটা তাদের দেশের ১৪% আউটপুট ছিল, আর এটা বিশ্বে ৫ম বৃহৎ ছিল।

সম্প্রতি, জাপান চীনের ব্যাপক প্রবৃদ্ধি উপভোগ করছে। জাপান তাদের সবচেয়ে কাছের মেজর ইকোনোমি, জাপানী পণ্যদ্রব্যের ডিমান্ড চায়নাতে অনেক বেশী।

টোকিও - বিশ্বের সেরা ফিনান্স্যিয়াল সেন্টারের মধ্যে একটা। টোকিওতে দৈনিক প্রচুর পরিমানে লেনদেন হওয়ার কারনে, ট্রেডার এবং ইনভেস্টররা প্রাচ্যদেশে কি হচ্ছে সেজন্য জাপানকে প্রক্সি হিসেবে ব্যাবহার করে থাকে।

মনেটারি এবং ফিস্ক্যাল পলিসি

ব্যাংক অব জাপান (BOJ) ১৮০০ সালের শেষের দিকে গঠিত হয়েছে, কিন্তু খুব বেশীদিন হয়নি যে তারা মিনিস্ট্রি অব ফাইন্যান্স (MoF) থেকে স্বাধীনতা পেয়েছে। ১৯৯৮ সালে জাপানী সরকার BOJ কে মনেটারি পলিসি নির্ধারণের ক্ষমতা দিয়েছে।

মনে রাখবেন যে মিনিস্ট্রি অব ফাইন্যান্স এখনো ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসির দায়িত্বে আছে। এটা দুই দলের মধ্যে টেনশন এবং একটানা পার্থক্যের সৃষ্টি করেছে।

সাধারনত, সরকার এবং সেন্ট্রাল ব্যাংক একে অপরের থেকে স্বাধীন, একজন আরেকজনের উপর প্রভাব ফেলতে পারেনা। জাপানের জন্য এটা প্রযোজ্য না। যদিও BOJ সরকার থেকে স্বাধীনতা পেয়েছে, তারপরও একটা কিন্তু রয়ে গেছে যে “কার প্রভাব বেশী”।

BOJ এর উপর MoF কড়া নজর রাখে। তারা BOJ এর উপর প্রেসার দেয় যাতে ইয়েন MoF এর ফরেন এক্সচেঞ্জ টার্গেট অর্জন করতে পারে। অন্যান্য সেন্ট্রাল ব্যাংকের মত, BOJ এর প্রধান লক্ষ্য হল প্রাইসে স্থিতিশীলতা। এই লক্ষ্য অর্জন করতে BOJ এর নিনজা ব্যাংকাররা ওপেন মার্কেট অপারেশনস এবং ইন্টেরেস্ট রেট ব্যাবহার করে।

BOJ এর সম্পর্কে একটা জিনিস জানা দরকার যে তারা দীর্ঘ সময় ধরে তাদের ইন্টেরেস্ট রেট খুব কম রেখেছে, যেটা বর্তমানে ০.০০% - ০.১০% এর মধ্যে। যেহেতু রেট একদমই নিচে, সেন্ট্রাল ব্যাংক উন্নয়ন এবং লিকুইডিট বাড়াতে রেট এর নিচে কমাতে পারবে না।

যেমন, ডিফ্লেশনের মোকাবেলা করতে, BOJ অগতানুগতিক কোয়ান্টেটিভ ইজিঙ্গের ময়াদ্ধমে তাদের মার্কেটে অর্থের বন্যা বয়ীয়ে দিয়েছে।

কোয়ান্টেটিভ ইজিং হল সেন্ট্রাল ব্যাংকের লিকুইডিটি এবং মানি সাপ্লাই বাড়ানোর একটা চাল যেটা সরকারী সিকিউরিটিজ ক্রয়ের মাধ্যমে করা হয়।

এটাকে মাঝেমাঝে “মানি প্রিন্টিং” বলা হয়, কারন সাধারনত সেন্ট্রাল ব্যাংক সরকারী সিকিউরিটিজ কেনার জন্য অর্থ ছাপায়। তত্ত্বগতভাবে, মানি সাপ্লাই বাড়লে সেটা বেশী লেন্ডিং এবং স্পেন্ডিং বাড়াবে।

বছরের পর বছর BOJ বিভিন্ন প্রোগ্রাম যেমন জাপানী বন্ড এবং বিল ক্রয়/বিক্রয়ের মাধ্যমে ইকোনোমিতে লিকুইডিটি বাড়িয়ে চলছে। ফাজিল কোথাকার!

জেপিওয়াই কে চেনা

ইয়েন এতই হার্ডকোর যে এটা অন্য কোন নামে পরিচিত হতে চায়নি। এটা ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটে ইয়েন নামে এসেছে আর এখন পর্যন্ত সেই নামেই তাকে ডাকা হয়। এটা কারেন্সি ক্রসের সাথে যুক্ত, বিশেষকরে ইউরো, জিবিপি এবং এইউডি এর বিপরীতে।

ট্রেডাররা আমাকে জাপানী সুশির মত ভালবাসে।

ইউরো এবং ইউএসডি এর পরে, জেপিওয়াই সবচেয়ে বেশী ট্রেডকৃত কারেন্সি, আর ইউএসডি/জেপিওয়াই ২য় সবচেয়ে বেশী ট্রেডকৃত কারেন্সি। এর কারন হল ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডে জাপানের ভুমিকা, লেনদেন সম্পাদান করতে জাপানী ইয়েনের প্রয়োজন হয়।

এশিয়ান সেন্সেশনের জন্য কি আপনি প্রস্তুত?

ইনভেস্টররা যখন এশিয়ার কথা চিন্তা করে, তারা অবচেতনভাবেই জাপানের কথা চিন্তা করে থাকে। টোকিও বিশ্বের মেজর ফিনান্স্যিয়াল সেন্টার হওয়াতে, এশিয়াতে কি হচ্ছে সেটা প্রায়ই জাপানকে রিপ্রেসেন্টেটিভ ধরা হয়ে থাকে।

জাপান সাধারনত অন্যান্য এশিয়ান ক্ষমতাধরদের ট্রেডিং পার্টনার। যদি এশিয়ায় ব্যাবসা ভালো হয়, সেটা সাধারনত Nikkei এর মাধ্যমে দেখা যায়, টোকিওর মেজর স্টক এক্সচেঞ্জ।

আমি সবসময় দৌড়ের উপরে থাকি...

এশিয়ান সেশনে জাপানী নিউজ প্রকাশিত হয়, তাই এটা বোঝা সহজ যে ইয়েন ট্রেডিং এশিয়ান সেশনে (০:০০ জিএমটি) একটিভ থাকে।

ইয়েন অন্য সেশনেও একটিভ থাকতে পারে, কিন্তু সেটা কি ধরনের ডাটা রিলিজ হচ্ছে তার উপরে নির্ভর করে। এটা আশা করা যায় যে তাদের সংস্কৃতি অনুযায়ী তারা সময়মত ব্যাবসা করে।

...কিন্তু আমি সস্তা শিহরনের জন্য প্রস্তুত থাকি!

অনেক ইনভেস্টররা ক্যারি ট্রেডের জন্য জেপিওয়াইকে বেছে নেয়। মেজর কারেন্সিগুলোর মধ্যে জেপিওয়াইর সবচেয়ে কম ইন্টেরেস্ট রেট অফার করে।

জাপানীদের চিন্তাভাবনা একরকম হয়।

জাপানী অ্যাসেট ম্যানেজাররা একরকম ইনভেস্টমেন্ট ডিসিশন নিয়ে থাকে। এটা হাইলি কোরিলেটেড পজিশনের সৃষ্টি করে, তার মানে ট্রেন্ড ডেভেলপ করতে দেখা যেতে পারে।

আমি ব্রেকআউটের পক্ষপাতী...

ইয়েন পেয়ারগুলোর একটা বৈশিষ্ট্য হল যে তারা কিছু সময়ের জন্য কন্সোলিডেট করে, তারপরে ব্রেকআউট করে, তারপর আবার কন্সোলিডেট করে, তারপর আবার ব্রেকআউট করে! তাই নাক, কান, চোখ সব খোলা রাখবেন কারন কখন যে এটা ঘটবে তা আপনি জানেন না।

...আমার চীনের সাথে ঘৃনা-ভালোবাসার সম্পর্ক আছে

চায়না বিশ্বের মেজর পাওয়ার হিসেবে উদিয়মান হওয়ার সাথেসাথে এর প্রভাব জেপিওয়াই এর উপর বাড়তে থাকবে। যদি চাইনিজ ইকোনোমির উন্নতির লক্ষন দেখা দেয়, সেটা জেপিওয়াই এর ডিমান্ডের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
কিভাবে?

আগে বলেছি, চীন জাপানের একটা মেজর ট্রেডিং পার্টনার। স্বাভাবিকভাবে, চীনের ব্যাবসাবাণিজ্য বুম করলে, তাদের জাপান থেকে অর্ডার বাড়াতে হবে। সেটা জেপিওয়াই এর ডিমান্ড বাড়াবে, ফলে জেপিওয়াই এর ভ্যালু বাড়বে।

জেপিওয়াই এর কিছু প্রয়োজনীয় ইনডিকেটর

গ্রস ডমেস্টিক প্রডাক্ট (জিডিপি) – এটা জাপানের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ পরিমাপ করে। এটা দ্বারা ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে তাদের ইকোনোমি মাউন্ট ফুজির মত গরম, নাকি hara-kiri এর প্রচেস্টায় আছে।

Tankan Surveys – বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির ম্যানেজারদের তাদের অর্থনীতি সম্পর্কে কি মতামত তার উপরে এই সার্ভে করা হয়। সেন্টিমেন্ট বাড়লে (স্কোর ০.০ এর উপরে) সেটা ইঙ্গিত করে যে জাপানী ব্যাবসায়ীরা তাদের ব্যাবসায়িক কার্যকলাপ বাড়ার আশা করছে। স্কোর ০.০ এর নিচে তার উল্টো ইঙ্গিত করে।

ট্রেড ব্যালেন্স – জাপানী ইকোনোমি রপ্তানি নির্ভর। এক্সপোর্ট কম রিপোর্ট করলে সেটা ইকোনোমিক কার্যকলাপে পতনের ইঙ্গিত করে।

বেকারত্বের হার – এটা জাপানে বেকারত্বের হার পরিমাপ করে। উচ্চ বেকারত্বের হার কনজুমারদের স্পেন্ডিঙ্গে পতনের ইঙ্গিত করে।

কনজুমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI) – জাপান যে ডিফ্লেশনের সাথে লড়তে ভয় পায় না, সেটা আগেই প্রমান করেছে। যদি ট্রেন্ড ইঙ্গিত করে যে সামুরাই সোরড আর শারিকেনের দাম পড়বে, সেটা ঠেকাতে BOJ কোন সারপ্রাইজ মুভ করতে পারে।

কোর মেশিনারি অর্ডারস – মেশিনারি অর্ডারস জাপানের একটা বড় অংশ দখল করে আছে। কোর মেশিনারি অর্ডারে বাড়তি অথবা কমতি জাপানের ট্রেডের বর্তমান অবস্থা ব্যাক্ত করে।

জেপিওয়াই কে কি মুভ করায় 

ইনভেস্টমেন্ট মুভ

কম ইন্টেরেস্ট রেটের কারনে, অন্যান্য দেশে জেপিওয়াইকে ভালো ইনভেস্টমেন্টের উৎস হিসেবে ধরা হয়। এর মানে যদি ট্রেডাররা এবং ইনভেস্টররা ভয় পায়, তারা হায়ার ইয়েল্ডিং অ্যাসেট খোলা শুরু করবে।

দ্যা BOJ ইফেক্ট

এখানে আগে থেকে নির্ধারিত ইফেক্টের কথা বলা হচ্ছে না। এখানে কারেন্সি ইন্টারভেনশনের কথা বলা হচ্ছে। BOJ আর MoF এফএক্স মার্কেটে বিশেষভাবে নজর রাখে। যেহেতু জাপান রপ্তানীনির্ভর দেশ, তাই ইয়েনের ভ্যালু ট্রেডে মুখ্য ভুমিকা পালন করে।

জেপিওয়াই এর ভ্যালু বাড়ুক BOJ সেটা চায় না। নয়ত জাপানী এক্সপোর্টের জন্য তুলনামূলক বেশী খরচ হবে। জেপিওয়াই এর ভ্যালু কম রেখে, তারা জাপানী প্রডাক্টের ডিমান্ড বাড়াতে পারে, যা পালাক্রমে অর্থনীতির জন্য সুবিধাজনক হবে।

ইউএসডি/জেপিওয়াই ট্রেডের কৌশল 

ইউএসডি/জেপিওয়াই সর্ট এবং মেডিয়াম টার্মের ট্রেন্ড ফলো করতে পছন্দ করে, যেটা কয়েকদিন ধরে চলতে পারে। যদি আপনি সুইং ট্রেড পরিচালনা করে থাকেন, যেটা একদিনের বেশী সময় ধরে চলছে, তাহলে আপনি রিট্রেসমেন্টে এন্ট্রি করার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

যখন প্রাইস কনসোলিডেট করা শুরু করে, আপনার পজিশন ক্লোজ করে দিতে পারেন, আর নতুন ট্রেন্ড ডেভেলপ করার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। যখন প্রাইসে ব্রেকআউট হয়, সেটা অবিরাম মুভ করতে পারে যেহেতু ট্রেডাররা ট্রেন্ডের উপর ঝাপিয়ে পরে।

আরেকটা উপদেশ মনে রাখবেন যে জাপানী ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানিগুলো তাদের অর্ডার রাউন্ড ফিগারে সেট করে থাকে, যেমন ১০০.০০ অথবা ৯০.৫০ ইত্যাদি। এসব লেভেলে প্রাইসের দিকে নজর রাখবেন, যেহেতু এগুলো সর্ট-টার্ম সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসেবে কাজ করে।

অবশেষে, ইয়েন পেয়ার যেমন ইউরো/জেপিওয়াই এবং জিবিপি/জেপিওয়াই এর দিকে নজর রাখবেন। যদি দেখেন যে কোন কী টেকনিক্যাল লেভেল ব্রেক করছে, সেটা জেপিওয়াই বাইয়িং অথবা সেলিঙ্গে এর উপর চরম প্রভাব ফেলতে পারে।

04 ইউনাইটেড কিংডম

ইউনাইটেড কিংডম

ইউনাইটেড কিংডম ৪টি দেশ নিয়ে গঠিত - ইংল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, এবং ওয়েলস।

রানীর নেতৃত্বে, ইউনাইটেড কিংডমকে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ধরা হয়ে থাকে, কিন্তু এটা পরিচালিত হয় ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনের পার্লামেন্টারি সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে।

ইউকে আবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটা অংশ। কিন্তু ইউকে ইউরোজোনে যোগ দেয়ার অফার ফিরিয়ে দিয়েছে এবং তারা পাউন্ডকে কারেন্সি হিসেবে ব্যাবহার করায় অনড়।

ইউনাইটেড কিংডমঃ ফ্যাক্টস, ফিগারস, এবং ফিচারস

প্রতিবেশী: আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স
আয়তন: ৯৪,০৬০ বর্গ মাইল
জনসংখ্যা: ৬৪,১০০,০০০ (২২ তম)
ঘনত্ব: ৬৬১.৯ জন প্রতি বর্গ মাইলে
রাজধানী শহর: লন্ডন (জনসংখ্যা ৮,৩০৮,০০০)
রাষ্ট্র প্রধান: রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ
সরকার প্রধানমন্ত্রীর হেড: থেরেসা মে
মুদ্রা: ব্রিটিশ পাউন্ড (GBP) অথবা স্টার্লিং
মুখ্য আমদানি: শিল্পজাত পণ্য, যন্ত্রপাতি, জ্বালানি, আহার্য সামগ্রী
প্রধান রপ্তানি দ্রব্য: শিল্পজাত পণ্য, জ্বালানি, রাসায়নিক, তামাক, ডেভিড বেকহাম। 
আমদানি পার্টনার: জার্মানি ১৩.১%, চীন ৯.১%, নেদারল্যান্ডস ৭.৫%, ফ্রান্স ৬.১%, মার্কিন ৫.৮%, ৫.৫% নরওয়ে, বেলজিয়াম ৪.৯%, ইতালি ৪.২%।
রপ্তানি পার্টনার: ইউএস ১১.৪%, জার্মানি ১১.২%, ফ্রান্স, ৭.৭%, ৬.৮% আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম ৫.৪%।
টাইম জোন: জিএমটি
ওয়েবসাইট: http://number10.gov.uk





ইকোনোমিক ওভারভিউ

ইউকে হল বিশ্বের ৭ম বৃহত্তম ইকোনোমি এবং ইউরোপে জার্মানি এবং ফ্রান্সের পরে ৩য় বৃহৎ। যতদূর ইতিহাস বলে, তারা গণ্য করার মত একটা দল।

ট্রেডের পরিপ্রেক্ষিতে, ইংল্যান্ডের পণ্যদ্রব্যের নেট ইমপোর্ট সবসময় ট্রেড ডেফিসিটে থাকে। তারা ইউরোজোনের সবচেয়ে বড় ট্রেডিং পার্টনার, বিশেষকরে জার্মানি। এখানে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই কারন ইংল্যান্ড থেকে জার্মানির দূরত্ব খুব বেশী নয়।

ইউরো জোনের সাথে ইউকের লেনদেন প্রায় অর্ধেকের বেশী হয়ে থাকে। ইউএস, স্বতন্ত্র ভিত্তিতে, ইউকের সবচেয়ে বড় ট্রেডিং পার্টনার।

ইউকে বিশ্বের সবচেয়ে পুরাতন মেজর ফিনান্স্যিয়াল সেন্টার। এখানে আমরা লন্ডনের কথা বলছি।

মনেটারি এবং ফিস্ক্যাল পলিসি

আপনাদের জন্য একটা ট্রিভিয়াঃ বিশ্বের সবচেয়ে পুরাতন সেন্ট্রাল ব্যাংক হল ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (BOE)।
আগে যখন ইংল্যান্ড ইকোনোমিক সম্প্রসারণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল, তখন তাদের নেতাদের একটা সত্ত্বার প্রয়োজন হয়েছিল যেটা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সহজতর করবে। তারা ব্যাংক অব ইংল্যান্ড তৈরি করলো। ১৬৯৪ সালে, BOE গঠিত হল যেটা ট্রেড সহজতর করবে এবং ইংল্যান্ডের উন্নতিতে সহায়তা করবে।

এখন BOE এর মুখ্য মনেটারি পলিসির মুখ্য উদ্দেশ্য হল প্রাইস স্থিতিশীল রাখা এবং একই সময়ে, কর্মসংস্থান গড়ে তোলা।

BOE এর ইনফ্লেশন রেট ২.০% রাখার টার্গেট করে, যেটা কনজুমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI) দ্বারা পরিমাপ করা হয়। এই টার্গেট অর্জন করতে তারা ইন্টেরেস্ট রেট ট্যুল ব্যাবহার করে।

BOE এর যে গ্রুপ ইন্টেরেস্ট রেট নির্ধারণ করে তার নাম হল মনেটারি পলিসি কমিটি (MPC)।

MPC প্রতিমাসে মিটিং ডাকে, যেখানে মনেটারি পলিসি অথবা ইন্টেরেস্ট রেটে পরিবর্তন হয় কিনা সেদিকে কড়া নজর রাখা হয়। ব্রিটিশ অন্যান্য জিনিসের মত, ইংল্যান্ডে ইন্টেরেস্ট রেটের ভিন্ন নাম আছে। ইংল্যান্ডে ইন্টেরেস্ট রেটকে ব্যাংক রেপো রেট বলা হয়ে থাকে।

BOE এর মনেটারি পলিসি কমিটির প্রধান ট্যুলগুলো হল ব্যাংক রেপো রেট এবং ওপেন মার্কেট অপারেশনস।
ব্যাংক রেপো রেট BOE তাদের কার্যকলাপের জন্য নির্ধারণ করে থাকে, যেটা মার্কেটে তাদের MPC এর ইনফ্লেশন টার্গেট সাধন করতে সহায়তা করে। যখনই MPC তাদের এই রেট পরিবর্তন করে, এটা কমার্শিয়াল ব্যাংকে যারা তাদের অর্থ রেখেছে এবং ঋণ নিয়েছে, সেসব রেটের উপরে প্রভাব পরে। এটা আবার ইকোনোমিতে স্পেন্ডিং এবং আউটপুটে প্রভাব ফেলবে, আর শেষপর্যন্ত খরচ এবং দামের উপরে।

অন্যান্য সেন্ট্রাল ব্যাংকের মত, BOE রেপো রেট বাড়িয়ে, তারা ইনফ্লেশন দমন করার চেষ্টা করে। অন্যদিকে, যখন তারা রেট কমায়, তখন তারা ইকোনোমিতে উন্নতি সাধনের চেষ্টা করে।

যখন BOE ওপেন মার্কেট অপারেশনে যোগদান করে, তারা জিবিপি ডিনোমিনেটেড ট্রেজারি এবং সিকিউরিটিজ বাই অথবা সেল করে, মানি সাপ্লাই কন্ট্রোল করার জন্য। এটা ফিনান্স্যিয়াল মার্কেটে লিকুইডিটি বাড়ানোর একটা বিকল্প পদ্ধতি।

যদি BOE মনে করে যে ইকোনোমিতে উন্নতি সাধনের প্রয়োজন, তাহলে “তারা অর্থ প্রিন্ট” করে সেগুলো সরকারী এবং কর্পোরেট সিকিউরিটিজ ক্রয়ের মাধ্যমে মানি সাপ্লাইতে ধুকিয়ে দেবে।

অন্যদিকে, যদি BOE মনে করে ইকোনোমির ঠান্ডা হওয়ার প্রয়োজন, তারা সিকিউরিটিজ সেল করে, অর্থ ইকোনোমি থেকে “নিয়ে নেবে”।

জিবিপিকে চেনা

জিবিপির পাউন্ড এবং স্টার্লিং নাম বাদেও, জিবিপি পেয়ারের ভিন্ন নাম আছে। যেমন জিপিবি/ইউএসডিকে ক্যাবল এবং জিবিপি/জেপিওয়াইকে গাপ্পি বলা হয়ে থাকে। দারুন না?

I like to bust a move...

জিপিবি/ইউএসডি সেরা লিকুইড কারেন্সি পেয়ারের মধ্যে একটা। কিভাবে? মনে আছে যে, লন্ডন দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্বের মেজর ফিনান্স্যিয়াল সেন্টার। লন্ডনে প্রতিদিন ব্যাবসায়িক কাজে প্রচুর পরিমানে অর্থ লেনদেনর হয়ে থাকে।
এসবের পরেও, দৈনিক গ্লোবাল ট্রেডের মাত্র ১৪% জিপিবি/ইউএসডি ট্রেড হয়, যা একে ৩য় সবচেয়ে বেশী ট্রেডকৃত পেয়ারের উপাধি দেয়। হয়ত একারনে জিপিবি/ইউএসডি এর স্প্রেড ইউরো/ইউএসডি এবং ইউএসডি/জেপিওয়াই এর চেয়ে এক দুই পিপ বেশী দেখা যায়।

... and traders like me because I've got some nice curves.

যেহেতু লন্ডনে অনেক বড়বড় কর্পোরেশন অবস্থিত, ইউকে মার্কেটে অনেক আকর্ষণীয় ইনভেস্টমেন্ট ইন্সট্রুমেন্ট পাওয়া যায়।

এটাকে (সাধারনত) মেজর কারেন্সিগুলোর মধ্যে, উচ্চ ইন্টেরেস্ট রেটের সাথে যোগ করলে, ইনভেস্টরদের কাছে ব্রিটিশ সিকিউরিটিজ বেশী আকর্ষণীয় হয়। এসব অ্যাসেট তাদের কিনতে প্রথমে তাদের জিবিপি কিনতে হবে।

I'm nimble during the London session...

ইউরোপিয়ান সেশনে জিবিপি/ইউএসডি এর ট্রেডিং ভলিউম সবচেয়ে বেশী থাকে। যখন প্রয়োজনীয় ইউকে এবং ইউএস ডাটা রিলিজ হয় এর শক্তিশালী মুভ করার সম্ভাবনা থাকে।

এশিয়ান সেশনে খুব বেশী মুভমেন্ট থাকে না যেহেতু ইউরোপিয়ান ট্রেডাররা তখন ঘুমায় এবং ইউএস ট্রেডাররা তাদের কাজ শেষ করে ঘুমাতে যায়।

... but be careful 'cause I can get kinda rowdy!

ইউরোর তুলনায় জিবিপির লিকুইডিটি কম থাকায় জিবিপি পেয়ারে ভলাটাইল মুভের আশংকা বেশী থাকে।

কোন নির্দিষ্ট সময়ে মার্কেটে লিকুইডিটি যখন কম থাকে, জিবিপি এক ডায়রেকশনে আটকা পরে যেতে পারে, বিশেষ করে যদি সেই ডায়রেকশনে বড় কন বাই অথবা সেল অর্ডার থাকে। অন্যান্য কারেন্সি পেয়ারের তুলনায়, জিবিপি পেয়ারগুলো আচমকা ইকোনোমিক ডাটা রিলিজে বেশী প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে থাকে।

জিবিপির কিছু প্রয়োজনীয় ইনডিকেটর

কনজুমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI) – এটা দিয়ে BOE ইনফ্লেশন পরিমাপ করে। এটা পণ্যদ্রব্যের প্রাইসে পরিবর্তনের পরিমাপ করে।

বেকারত্বের হার – এটা ইউকে ইকোনোমিতে কতজন বেকার আছে সেটা পরিমাপ করে। অ্যানালিস্টরা এর উপর কড়া নজর রাখে যেহেতু এটা ভবিষ্যৎ স্পেন্ডিঙ্গের জন্য একটা লিডিং ইনডিকেটর হিসেবে কাজ করে। কিভাবে? কারো কাছে যদি চাকরি না থাকে, তাহলে তার কাছে খরচ করার মত কিছু থাকবে না। ঘর ভারা না দিয়ে রাস্তায় ঘুমাবে, না খেয়ে দিন কাটাবে।

গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিডিপি) – এটা ইউকে ইকোনোমির অবস্থা ব্যাক্ত করে। ইকোনোমি ভালো নাকি খারাপ করছে সেটা অনুমান এর থেকে পাওয়া যায়।

পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (PMI)- এই ইনডেক্স বিজনেস ম্যানেজারদের উপরে করা সার্ভে। এটা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে তাদের মতামত ব্যাক্ত করে। স্কোর যদি ৫০.০ এর উপরে হয় তাহলে সেটা ভালো অবস্থা ইঙ্গিত করে যেখানে সম্প্রসারনের আশা করা যায়। আর স্কোর যদি ৫০.০ এর কম হয় তাহলে সেটা সংক্রমণের ইঙ্গিত করে থাকে।

জিএফকে কনজুমার কনফিডেন্স রিপোর্ট – এই রিপোর্ট কনজুমারদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ ইকোনোমিক কন্ডিশন সম্পর্কে আশাবাদ ব্যাক্ত করে। কনজুমাররা ইকোনোমি সম্পর্কে যত বেশী আশাবাদী হবে, তারা তত বেশী খরচ করতে উৎসাহী হবে।

জিবিপিকে কি মুভ করায়

মনেটারি পলিসিতে পরিবর্তন

অনেক ইনভেস্টররা ক্যারি ট্রেডের জন্য হাই ইয়েল্ড অ্যাসেট হিসেবে পাউন্ডকে বেছে নেয়। MPC এর ইন্টেরেস্ট রেট পরিবর্তন আসলে পাউন্ডের প্রতি সেন্টিমেন্টে পরিবর্তন আসে কারন এটা ব্রিটিশ সিকিউরিটিজের ইয়েল্ডে প্রভাব ফেলে।

তার উপর, ব্যাংক রেপো রেটে পরিবর্তন আসলে সেটা BOE এর ইকোনোমি সম্পর্কে কি ধারনা সেটা প্রকাশ করে।
যদি BOE মনে করে যে অর্থনীতি মন্দা যাচ্ছে, তাহলে তারা কোয়ান্টেটিভ ইজিং বিস্তার করবে অথবা ইন্টেরেস্ট রেট কমাবে, যেটা পাবলিককে সিগন্যাল দেয় যে অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না।

যদি BOE মনে করে যে অর্থনৈতিক উন্নতি ইনফ্লেশনারি প্রেসার বাড়িয়ে দেবে, তাহলে তারা কোয়ান্টেটিভ ইজিং কমিয়ে আনবে অথবা ইন্টেরেস্ট রেট বাড়িয়ে দেবে।
 
ইউএস এবং ইউরো জোনে ডেভেলপমেন্ট

অন্যান্য কারেন্সি পেয়ারের মত, ইউএস এবং ইউরো জোনের ডেভেলপমেন্ট জিবিপি/ইউএসডি এর উপরে অনেক প্রভাব ফেলে। ইউএস ইকোনোমিক ডাটা সরাসরি ইনভেস্টরদের এবং ট্রেডারদের মার্কেট সেন্টিমেন্টের উপর প্রভাব ফেলে। ইউএস থেকে ভালো অথবা খারাপ ডাটা তাদের জিবিপির দিকে টেনে নিয়ে যায়। হোক সেটা রিস্ক অ্যাপেটাইট বাড়া অথবা ইউএসডি থেকে রিস্ক অ্যাভারসনের জন্য।

স্পিল ওভার এফেক্ট 

ইউকের বেশীরভাগ লেনদেন ইউরোজোনে হয়ে থাকে। একারনে কোন খারাপ নিউজ অথবা দুর্বল ইকোনোমিক পারফর্মেন্স দেখা দিলে, জিবিপিতে বিয়ারিশ সেন্টিমেন্ট দেখা দিতে পারে।

রিস্ক সেন্টিমেন্টের উপরে নির্ভরশীল

কম হলেও, জিবিপি মেজর কারেন্সিগুলোর মধ্যে উচ্চ ইন্টেরেস্ট রেট দ্বারা উপকৃত হয়। যখন ট্রেডাররা ভালো ইয়েল্ডের সন্ধান করে, তারা ইউকের দিকে তাকায় কারন তারা তাদের ইনভেস্মেন্টে হায়ার রিটার্ন আশা করে। যখন তারা তাদের হাই-ইয়েল্ডিং ইনভেস্টমেন্ট ভাঙ্গাতে চায় তখন জিবিপি সেল করে ইউএসডির দিকে ঝোঁক দেয়।

জিবিপি/ইউএসডি ট্রেডের কৌশল

জিবিপি পেয়ার ট্রেডের একটা উপায় হল, যখন প্রয়োজনীয় রিপোর্ট রিলিজ হয়। জিবিপি পেয়ারগুলো সাধারনত ইকোনোমিক রিপোর্টে বেশী সাড়া দেয়।

যেমন, ইউকে জিডিপি যা আশা করা হয়েছিলো তার চেয়ে ভালো আসে, তাহলে সেটা জিবিপিতে বড় ধরনের মুভ করাবে। যদি আপনি সময়মত ট্রেড না ধরতে পারেন, আর পরে মার্কেটে এন্ট্রি করেন তাহলেও আপনি কিছু লাভ করতে পারবেন কারন জিবিপি অনেক বড় মুভ করে।

সাবধান থাকবেন, মেজরের মধ্যে জিবিপি/ইউএসডি এবং জিবিপি/জেপিওয়াই সবচেয়ে বেশী ভলাটাইল। দৈনিক জিবিপি/ইউএসডি গড়ে ১৬০ পিপ মুভ করে থাকে। জিবিপি ভলাটাইল হবার কারনে, আপনি স্টপ লস দূরে সেট করতে পারেন যাতে মার্কেটের শক্তিশালী মুভ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

03 ইউরো জোন

ইউরো জোন

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইউ) বর্তমানে ২৮টি মেম্বার স্টেটের সম্প্রদায় যেটা ১৯৫১ সালে মাত্র ৬ টি প্রতিবেশী স্টেট নিয়ে গঠিত হয়েছিলো। মাস্ট্রিক্ট চুক্তি (Maastricht Treaty) করার পরে, এটা বড় ধরনের ইকোনোমিক এবং পলিটিকাল গোস্টিতে পরিনত হয়েছে। এখন তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক রিজিয়ন।

ইউ মেম্বার স্টেটগুলোর মধ্যে, ১৭ট দেশ ইউরোকে তাদের কমন কারেন্সি হিসেবে ব্যাবহার করা শুরু করেছে। এই দেশগুলো নিয়ে গঠিত হয় ইউরো জোন, যাকে ইউরোপিয়ান মনেটারি ইউনিয়ন (ইএমইউ) অথবা ইউরোল্যান্ড বলা হয়ে থাকে।

এই অভিজাত ক্লাবের মেম্বার হলঃ অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, এস্টোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাক্সেমবার্গ, মাল্টা, হলণ্ড, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, এবং স্পেন।

কমন কারেন্সি ব্যাবহার করা বাদেও, দেশগুলো একই মনেটারি পলিসি ব্যাবহার করে যেটা ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক (ইসিবি) পরিচালনা করে।

ইউরো জোন ফ্যাক্টস, ফিগারস, এবং ফিচারস

সদস্য দেশসমূহ: অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, এস্তোনিয়াতে, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাক্সেমবার্গ, মাল্টা, হলণ্ড, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, এবং স্পেন
আয়তন: ১৬,৯১,৬৫৮ বর্গ মাইল
জনসংখ্যা: ৫০,৫৬৬,৫৭৩
ঘনত্ব: ৩০০.৯ জন প্রতি বর্গ মাইলে
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান: Jean-Claude Juncker
ইউরোপীয় সংসদের প্রধান: Antonio Tajan
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান: Donald Tusk
মুদ্রা: ইউরো (EUR)
মুখ্য আমদানি: যন্ত্রপাতি, যানবাহন, বিমান, প্লাস্টিক, অশোধিত তেল, রাসায়নিক, বস্ত্র, ধাতু
প্রধান রপ্তানি দ্রব্য: যন্ত্রপাতি, মোটর গাড়ি, বিমান, প্লাস্টিক, ওষুধপত্র এবং অন্যান্য রাসায়নিক।     আমদানি পার্টনার: চীন ১৫.৮৯%, মার্কিন ১১.৯৭%, রাশিয়া ১১.২২%, নরওয়ে ৬.১৩%, সুইজারল্যান্ড ৫.১৪%।
রপ্তানি পার্টনার: মার্কিন ১৯.০৭%, রাশিয়া ৮.০৩%, সুইজারল্যান্ড ৭.৪৯%, ৬% চীন, তুরস্ক ৪.১৪%।
সময় অঞ্চল: জিএমটি, জিএমটি +১, জিএমটি +২
ওয়েবসাইট: http://www.europa.eu





ইকোনোমিক ওভারভিউ

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে ইউরো জোন অর্ধেকের বেশী দেশ নিয়ে গঠিত। এটা ২০১১ সালে সবচেয়ে বড় ইকোনোমি হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে। সার্ভিস-ওরিয়েন্টেড ইকোনোমি হওয়াতে, জিডিপির ৭০% এর মত সার্ভিস থেকে আসে।

তার উপরে, ডমেস্টিক এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টরদের জন্য ইউরো জোন নিজেকে ২য় সবচেয়ে আকর্ষণীয় খাত বলে দাবি করে।

ইকোনোমিক ইউনিয়ন হিসেবে, ইউরো জোনের আদর্শায়িত আইন সিস্টেম করেছে। বিশেষ করে লেনদেনের জন্য। তাদের সম্পূর্ণ ইকোনোমির সাইজ ইউরো জোন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।

কারন স্বতন্ত্র দেশগুলো জোট বেধে একটা ক্ষেত্র হয়েছে, এটা তাদের লেনদেনের জন্য সুবিধাজনক হয়েছে। বিশেষ করে তাদের প্রধান ট্রেড পার্টনারের সাথে, ইউএস।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এই সক্রিয় অংশগ্রহন ইউরোর রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে ব্যাবহারের উপরে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।

এর কারন হল যেসব দেশ ইউরো জোনে ট্রেড করে তাদের পর্যাপ্ত পরিমানে রিজার্ভ কারেন্সি রাখার প্রয়োজন হয় যাতে এক্সচেঞ্জ রেট রিস্ক এবং ট্রাঞ্জাকশন কস্ট কম হয়।

মনেটারি এবং ফিস্ক্যাল পলিসি

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মনেটারি পলিসির পরিচালনার দায়িত্বে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক (ইসিবি) আছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ড হল মারিও দ্রাঘি। এর এক্সেকিউটিভ বোর্ড ইসিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং আরও চারজন পলিসিমেকার নিয়ে গঠিত।

ইউরো জোনে জাতীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রধানদের নিয়ে, ইসিবি গভারনিং কাউন্সিল গঠিত হয় যারা মনেটারি পলিসি পরিবর্তনে ভোট দেয়।

ইসিবির প্রধান উদ্দেশ্য হল প্রাইসে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। এই উদ্দেশ্য সাধন করতে, ইউরো জোন মাস্ট্রিক্ট চুক্তি সাইন করেছে যেটা মেম্বার দেশগুলোর জন্য কিছু মানদণ্ড প্রয়োগ করে থাকে। নিম্নে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস দেয়া হলঃ

- দেশের ইনফ্লেশন রেট সেরা পারফর্মিং দেশের (যেদেশের ইনফ্লেশন সবচেয়ে কম) চেয়া ১.৫% এর বেশী ছাড়াতে পারবে না।
- যে দেশের ইনফ্লেশন কম, লং-টার্ম ইন্টেরেস্ট রেট সে দেশগুলোর চেয়ে ২% এর বেশী অতিক্রম করতে পারবে না।
- এক্সচেঞ্জ রেট কমপক্ষে বিগত কয়েক বছরের এক্সচেঞ্জ রেট মেকানিজমের মধ্যে থাকতে হবে। 
- সরকারী ঘাটতি জিডিপির ৩% এর কম হতে হবে।

যদি কোন দেশ এসব কন্ডিশন না পুরন করতে পারে, তাহলে তাদের বড় ধরনের ফাইন দিতে হয়।

মনেটারি পলিসি ট্যুল হিসেবে ইসিবি মিনিমাম বিড রেট এবং ওপেন মার্কেট অপারেশন ব্যাবহার করে।

ইসিবির মিনিমাম বিড রেট অথবা রেপো রেট হল রেট অব রিটার্ন যেটা সেন্ট্রাল ব্যাংক তার মেম্বার স্টেটের সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলোকে অফার করে। তারা এসব রেট ইনফ্লেশন কন্ট্রোল করার কাজে ব্যাবহার করে।

অন্যদিকে ওপেন মার্কেট অপারেশনস ইন্টেরেস্ট রেট ম্যানেজ করা, লিকুইডিটি কন্ট্রোল, এবং মনেটারি পলিসি স্থাপনের কাজে ব্যাবহার করা হয়। এসব অপারেশন মার্কেটে সরকারী সিকিউরিটিজ কেনাবেচার মাধ্যমে করা হয়।

লিকুইডিটি বাড়াতে, ইসিবি ইউরো দিয়ে সিকিউরিটিজ ক্রয় করে, যেটা পরে সার্কুলেটেড হয়। অন্যদিকে লিকুইডিটি কমাতে, ইসিবি ইউরো দিয়ে সিকিউরিটি সেল করে।

এসব মনেটারি ট্যুল ব্যাবহার ছাড়াও, ইনফ্লেশন কন্ট্রোল করতে ইসিবি ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটে হস্তক্ষেপ করে থাকে। একারনে ট্রেডাররা গভারনিং কাউন্সিল মেম্বারদের বক্তৃতার সময় কান খোলা রাখে, যেহেতু এটা ইউরোর উপরে প্রভাব ফেলতে পারে।

ইউরোকে চেনা 

অ্যান্টি-ডলার নাম ছাড়াও, ইউরোকে “ফাইবার” বলা হয়ে থাকে। অনেকে বলে এই নাম ট্রান্স-আটলান্টিক ফাইবার অপটিক থেকে এসেছে। এটা যোগাযোগের জন্য ব্যাবহৃত হয়েছিলো। অনেকে আবার বলে যে এটা অনেক আগে যে ইউরোপিয়ান ব্যাংকনোট প্রিন্ট করতে যে কাগজ ব্যাবহার করা হত তার থেকে এসেছে। নিচে ইউরোর কিছু বৈশিষ্ট্য দেয়া হলঃ

আমাকে অ্যান্টি-ডলার বলা হয়!

ইউরো/ইউএসডি সবচেয়ে বেশী ট্রেড করা হয়ে থাকে। এটা মেজর পেয়ারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী লিকুইড এবং সবচেয়ে কম স্প্রেড অফার করে থাকে।

লন্ডন সেশনে আমি ব্যাস্ত থাকি...

ইউরো সবচেয়ে বেশী ব্যাবহার হয় সকাল ৮:০০ (জিএমটি) ঘটিকায়, যখন লন্ডন সেশন শুরু হয়। ইউএস এর শেষের অর্ধেক সেশনে এর মুভমেন্ট কম থাকে। বিকাল ৫:০০ (জিএমটি) ঘটিকার দিকে।

...আর আমার কিছু রিলেশনশিপ আছে

ইউরো/ইউএসডি কে প্রায়ই ক্যাপিটাল মার্কেটের (বন্ডস এবং ইকুইট) সাথে মিলিত করা হয়। এটা S&P 500 যেটা ইউএস স্টক মার্কেটের পারফর্মেন্স দেখায়, সেটার মুভমেন্টের সাথে নেগেটিভ কোরিলেশন ব্যাক্ত করে।

এই কোরিলেশন ২০০৭ সালের ক্রাইসিসের পরে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। এখন ইউরো/ইউএসডি আর S&P 500 এর হালকা পজিটিভ কোরিলেশন দেখা যায়।

ইউরো/ইউএসডি আর ইউএসডি/সিএইচএফ নেগেটিভলি কোরিলেটেড, যেটা ইউরো এবং সিএইচএফের প্রায় পারফেক্ট ট্যান্ডেমে মুভমেন্ট দেখায়।

ইউরোর কিছু প্রয়োজনীয় ইনডিকেটর

গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিডিপি) – জিডিপি হল কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান পরিমাপক। যেহেতু জার্মানি ইউরো জোনের সবচেয়ে বড় ইকোনোমি, এর জিডিপি ইউরোকে সবচেয়ে বেশী মুভ করে থাকে।

কর্মসংস্থান পরিবর্তন – ইউরো কর্মসংস্থান পরিবর্তনে সংবেদনশীল, বিশেষকরে ইউরো জোনের সবচেয়ে বড় ইকোনোমি, জার্মান এবং ফ্রান্স।

জার্মান ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন – এই জার্মানির ম্যানুফ্যাকচারিং, মাইনিং এবং কোয়ারিং শিল্প থেকে আউটপুট ভলিউম পরিবর্তন পরিমাপ করে। এটা জার্মানের সর্ট-টার্ম ইন্ডাস্ট্রিয়াল কার্যকলাপের স্ট্রেনথ দেখায়।

জার্মান আইএফও বিজনেস ক্লাইমেট সার্ভে – এটা জার্মানের একটা প্রধান বিজনেস সার্ভে যেটা প্রতিমাসে করা হয়। এটা জার্মানের বর্তমান বিসজেস সিচুয়েশন ব্যাক্ত করে এবং ভবিষ্যৎ অবস্থার আশাবাদ ব্যাক্ত করে।

বাজেট ডেফিসিট – মাস্ট্রিক্ট চুক্তি একটা ক্রাইটেরিয়া ছিল যে ইউরো জোনের অর্থনীতিগুলো তাদের ডেবট-টু-জিডিপি রেশিও ৬০% এর নিচে এবং জিডিপি ডেফিসিট ৩% এর চেয়ে কম হতে হবে। এসব টার্গেট অর্জন না করতে পারলে ইউরোজোনে অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে।

কনজুমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) – ইসিবির একটা মুখ্য উদ্দেশ্য হল প্রাইসে স্থিতিশীলতা, তাই তারা ইনফ্লেশন ইনডিকেটর যেমন সিপিআই এর দিকে সবসময় চোখ রাখে। যদি সিপিআই সেন্ট্রাল ব্যাংকের টার্গেট থেকে সরে যায়, তাহলে ইসিবি তাদের মনেটারি পলিসি ট্যুল ব্যাবহার করে ইনফ্লেশন কন্ট্রোলে রাখে।

কীজন্য ইউরো মুভ করে?

ইউরো জোনের ফান্ডামেন্টাল

ইউরোজোনের শক্তিশালী কোন ইকোনোমিক পারফর্মেন্স, অথবা এর কোন মেম্বার দেশের রিপোর্ট ইউরোকে শক্তিশালী করতে পারে। যেমন, যদি ফ্রান্স এবং জার্মানির জিডিপি রিপোর্ট যা আশা করা হয়েছিলো তার চেয়ে ভালো আসে তাহলে সেটা ট্রেডারদের ইউরোতে বুলিশ করবে।

আঙ্কেল স্যামের গতানুগতিক মুভ

মার্কেট সেন্টিমেন্টে হঠাথ পরিবর্তন, যেটা ইউএস ইকোনোমিক ডাটার মাধ্যমে হয়। সেগুলোর ইউরো/ইউএসডি এর উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।

যেহেতু ইউরো হল অ্যান্টি-ডলার, ইউএস ডলারে যখন রিজার্ভ ডাইভারসিফিকেশনের কথা আসে, সেটা ইউরোকে প্রভাবিত করে। রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে ইউরো, কোন মন্তব্য?

রেট অব রিটার্নে পার্থক্য 

১০ বছরের ইউএস সরকারী বন্ড এবং ১০ বছরের বান্ডস (জার্মানির বন্ড) সাধারনত ইউরো/ইউএসডি এর ডায়রেকশন নির্দেশ করে।

যদি ইউএস বন্ড এবং বান্ডসের ইয়েল্ডের পার্থক্য বাড়ে, তাহলে যেদেশ বেশী ইয়েল্ড অফার করে ইউরো/ইউএসডি তাদের পক্ষে মুভ করবে।

বন্ড ইয়েল্ডের মত, ইন্টেরেস্ট রেটের পার্থক্য ইউরো/ইউএসডি মুভমেন্টের জন্য একটা চমৎকার ইনডিকেটর। ট্রেডাররা Euribor ফিউচারের রেটের সাথে Eurodollar এর ফিউচারের রেটের তুলনা করে থাকে।

Euribor হল ইউরো ইন্টারব্যাংক অফার রেট, যেটা ইউরোজোনের ব্যাংকগুলো ইন্টার-ব্যাংক লেনদেনের জন্য ব্যাবহার করে থাকে। আর Eurodollar হল ইউএস ডলারে ডিনমিনেটেড ডিপোজিটসমুহ।

ইউরো/ইউএসডি ট্রেডের কৌশল

ইউরোজোন থেকে শক্তিশালী ইকোনোমিক ফিগারস রিলিজ হবার পরে সাধারনত যেসব মুভ দেখা যায়, সেগুলো সাধারনত ইউরো/ইউএসডি লং করার সুযোগ করে দেয়।

অ্যান্টি-ইউরো মুভ, যেগুলো সাধারনত ইউরোজোনে দুর্বল ইকোনোমিক রিপোর্ট রিলিজ হলে দেখা যায়, সেগুলো ইউরো/ইউএসডি সর্ট করার সুযোগ দেয়।

যেহেতু ইউরো/ইউএসডি ট্রেডারদের ইউএস ডলার সম্পর্কে ধারনা নেয়ার কাজে ব্যাবহার হয়, ইউএস ডলারের ডায়রেকশনের ধারনা নিলে কিছু ভালো ট্রেডিং স্ট্রাটেজি বানানো যায়।

ধরুন, যদি ট্রেডাররা আশা করে যে ইউএস রিটেইল সেলস রিপোর্ট ভালো হবে, তাহলে আপনি সেলের জন্য সুযোগ খুজতে পারেন।

ইউরো/ইউএসডি সাপোর্ট/রেজিস্টান্স টেস্ট অথবা ব্রেক করার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়াও, রিট্রেসমেন্টভিত্তিক ট্রেডিং এখানে ভালো কাজ করে।

ইউরো/ইউএসডিতে রিট্রেসমেন্ট কাজ করার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে। মানে উল্লেখযোগ্য ফিবোনাস্যি লেভেলে ট্রেড করলে লাভ করার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত ট্রেন্ডে যদি এন্ট্রি করা হয় রিট্রেসমেন্টে ট্রেড করলে, তার চেয়ে ভালো এন্ট্রি দেয়।

যদি আপনি দুঃসাহসী হয়ে থেকন, তাহলে অন্যান্য ইউরো পেয়ার যেমন ইউরো/জেপিওয়াই, ইউরো/সিএইচএফ, এবং ইউরো/জিবিপি চেক করে দেখতে পারেন। প্রতিটার নিজস্ব অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

যেমন, ইউরো/জেপিওয়াই, যেটা ইউরো/ইউএসডি এর চেয়ে বেশী ভলাটাইল, লন্ডন এবং এশিয়ান সেশনে বেশী একটিভ থাকে।

ইউরো/জিবিপি এবং ইউরো/সিএইচএফ বেশীরভাগ সময় রেঞ্জবাউন্ড মার্কেট থাকে। পরেরটাতে কম লিকুইডিটি থাকার কারনে বড়বড় স্পাইক দেখা যেতে পারে।

02 ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা

ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা

ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা ৫০টি স্টেট এবং ১টি ফেডারেল বিভাগ নিয়ে গঠিত। দেশের বেশীরভাগ নর্থ আমেরিকাতে, কিন্তু প্যাসিফিক অঞ্চলেও ইউনাইটেড স্টেটের কিছু অংশ আছে।

জুলাই ১৭৭৬ সালে ইউকে থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পরে, ইউএস শুধু ওয়েস্টে ইকোনোমিক সুপারপাওয়ার হয়নি, বরং সারা বিশ্বে হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইকোনোমি হওয়াতে, ইউএস গ্লোবাল মার্কেটে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। আমেরিকাতে যেকোনো ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট যেমন, কনজুমার স্পেন্ডিঙ্গে ওঠা অথবা নামা, কিংবা প্রেসিডেন্টের কোন ব্যাপার পাবলিকের কাছে পৌছালে, সারা বিশ্বের ইকোনোমিতে এর প্রভাব পড়তে পারে।

ইউনাইটেড স্টেটসঃ ফ্যাক্টস, ফিগারস, এবং ফিচারসঃ

প্রতিবেশী দেশঃ কানাডা, মেক্সিকো, পুয়ের্তো রিকো, কিউবা
আয়তনঃ ৩,৭৯৪,১০১ স্কয়ার মাইল
জনসংখ্যাঃ ৩০৯,৩৪৯,৬৮৯
ডেনসিটিঃ প্রতি স্কয়ার মাইলে ৮৭.৪ জন
রাজধানীঃ ওয়াশিংটন ডি,সি.
সরকার প্রধান: রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প
কারেন্সিঃ ইউএস ডলার (ইউএসডি)
মুখ্য আমদানিঃ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাপ্লাই (ক্রুড অয়েল ইত্যাদি), পুজি পণ্য (কম্পিউটার, টেলিকমের সরঞ্জাম, অটোমোবাইল পার্টস, অফিস মেশিন, ইলেক্ট্রিক পাওয়ার মেশিনারি), কনজুমার পণ্যদ্রব্য (অটোমোবাইল, কাপড়, মেডিসিন, ফার্নিচার, খেলনা), এবং কৃষিজাত দ্রব্য।
মুখ্য রপ্তানিঃ পুঁজি পণ্য (ট্রানজিস্টর, বিমান, অটোমোবাইল পার্টস, কম্পিউটার, টেলিকম সরঞ্জাম), শিল্প সরবরাহ (জৈব রাসায়নিক), ভোগ্যপণ্যের (অটোমোবাইল, ওষুধ), কৃষি পণ্য (সয়াবিন, ফল, ভুট্টা), বারবি, এক্সবক্স কনসোল, এবং অ্যাপল পণ্য।
ইম্পোর্ট পার্টনারস: চীন (২৭%), কানাডা (২১.৪%), মেক্সিকো (১৭.৮%), জাপান (৮.৭%), জার্মানি (৬.৬%)
এক্সপোর্ট পার্টনারস: কানাডা (১৯.৪%), মেক্সিকো (১২.৮%), চীন (৭.২%) এবং জাপান (৪.৭%)
টাইম জোনঃ জিএমটি -১০, জিএমটি -৯, জিএমটি -৮, জিএমটি -৭, জিএমটি -৬, জিএমটি -৫
ওয়েবসাইটঃ http://www.usa.gov







অর্থনৈতিক ওভারভিউ 

ব্যাপকভাবে ইউএসকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনি দেশ হিসেবে ধরা হয়। তারা ২০১১ সালে $১৫.০৯ ট্রিলিয়ন আউটপুট দিয়েছে। তারা ২০১১ সালে মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে ৮ম হয়েছে। মাথাপিছু আয় = দেশের মোট ইনকাম / জনসংখ্যা যেটা প্রতিবছর প্রায় $৪৮,৩৮৬।

ইউএস এর প্রধান ইন্ডাস্ট্রি হোল বিমান, অটোমোবাইল, ট্রানজিস্টর, টেলিকম সরঞ্জাম, এবং অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল পণ্য। যদিও দেখা যায় যে ইউএস ইকোনোমির বেশীরভাগ পণ্য উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল, আসলে তাদের ৭০% আউটপুট হয় সার্ভিস সেক্টর থেকে।

বাণিজ্যের কথা বলতে গেলে, ইউএস ইকোনোমির একটা বৈশিষ্ট্য হল যে দেশটি বানিজ্যিক ঘাটতির অথবা ট্রেড ডেফিসিটের জন্য কুখ্যাত। ট্রেড ডেফিসিট হল যে পরিমান রপ্তানি করা হয়, তার চেয়ে বেশী আমদানি হয়।

ইউএস এতে নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের আছে, যেটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টক এক্সচেঞ্জ। এদেশে আবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় বন্ড মার্কেট আছে, যেখানে মূলধন $৩১ ট্রিলিয়নের বেশী এবং দৈনিক গড়ে $৮২২ এর বেশী বন্ড ট্রেড করা হয়।
আজকের গ্লোবাল মার্কেটে সেরা ইকোনোমি হওয়াতে, দেশের ভেতরে যেকোনো ইভেন্ট যেটা ইউএস এর উপর প্রভাব ফেলে, সেটার প্রভাব অন্যান্য দেশেও পড়তে পারে। ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটেও।

মনেটারি এবং ফিস্ক্যাল পলিসি

ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ড (ফেড), আমেরিকার মনেটারি পলিসি নির্ধারণ এবং কার্যকর করে।

 মনেটারি পলিসি দ্বারা ফেড ইকোনোমিতে মানি সাপ্লাই নিয়ন্ত্রন করে। এটা ফেডকে অন্যান্য সেন্ট্রাল ব্যাংক থেকে আলাদা করে কারন তাদের লক্ষ্য থাকে মনেটারি পলিসির লং-টার্মের প্রভাবের উপর ভিত্তি করে।

ফেডের ২টা প্রধান লক্ষ্য আছে। প্রথমটা হল কনজুমার পণ্যদ্রব্য এবং সার্ভিসের মূল্য স্থিতিশীল রাখা। দ্বিতীয়টা হল সহনীয় অর্থনৈতিক উন্নতি নিশ্চিত করা।

ফেডারেল গভর্নরের নেতৃত্বে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি (FOMC) পরিচালিত হয়। FOMC এর কাজ হল মনেটারি পলিসিতে নিরাপদ এবং যুক্তিযুক্ত ডিসিশন নেয়া।

FOMC এর ২টা অস্র আছে যেগুলো ইনফ্লেশন এবং তাদের লং-টার্মের লক্ষ্য সাধনে ব্যাবহার করা হয়। সেগুলো হল ওপেন মার্কেট অপেরাশন (OMO) এবং ফেড ফান্ড রেট।

ফেডের প্রথম সারির ডেফেন্স হল, ওপেন মার্কেট অপারেশন। যার মধ্যে সরকারী ফিন্যান্সিয়াল ইন্সট্রুমেন্ট যেমন সিকিউরিটিজ, নোটস এবং বন্ডস পরে।

ফেড ফান্ড রেট, এটা আরও শক্তিশালী। ফেড যে হারে কমার্শিয়াল ব্যাংকদের লোন সেটাকে ফেড ফান্ড রেট বলে।
ইউএস ট্রেজারি ফিস্ক্যাল পলিসি নির্ধারণ করে। ফিস্ক্যাল পলিসি দ্বারা সরকার খরচ এবং ট্যাক্স কালেকশন করে যেটা অর্থনীতির দিক নির্ধারণ করে।

উদাহরণস্বরূপ ব্যাবসায়িক কার্যকলাপ বাড়াতে, ইউএস ট্রেজারি ট্যাক্স কমিয়ে দিতে পারে এবং ক্যাপিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচারে যেমন হাইওয়ে, স্কুল, ব্রডব্যান্ড ইত্তাদির বাজেট বাড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে, যদি ইনফ্লেশন মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, ট্যাক্স বাড়িয়ে খরচ কমানোর চেষ্টা করতে পারে।

ইউএসডিকে চেনা 

আপনি কি জানেন যে ডলারের ডাকনাম হল “বাক” যেটা বাক্সিন থেকে এসেছে, আগে আমেরিকান এবং ইন্ডিয়ানদেড় জন্য একটা এক্সচেঞ্জের একটা প্রচলিত মাধ্যম ছিল?

বারটার সিস্টেমকে পেপার কারেন্সি রিপ্লেস করলেও, মানুষ এখনো বাক শব্দটি ব্যাবহার করে থাকে। বাকের নিম্নোক্ত ফরেক্স সম্বন্ধীয় বিশিষ্টগুলো দেখুনঃ

লিকুইডিটি

দৈনিক প্রচুর পরিমানে লেনদেনে ইউএসডি ব্যাবহার হয়। গোল্ড এবং ক্রুড অয়েল ডলারে হিসাব করা হয়। এশিয়ান সেশনের সময়, কারেন্সি লেনদেনের প্রায় ৯৩% ডলার ব্যাবহার করা হয়।

উদাহরণস্বরূপ নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ইউএস বন্ড মার্কেটকে নিন।  NYSE তে লিস্ট করা কোম্পানিগুলোর মূল্য প্রায় $২৮.৫ ট্রিলিয়ন, যেটা বিশ্ব স্টক মার্কেটের $৩৬.৬ ট্রিলিয়ন মূল্যের প্রায় ৭৮%।

একইভাবে, গ্লোবাল বন্ড মার্কেটের মূল্য $৮২.২ ট্রিলিয়ন, যার মধ্যে ইউএস হচ্ছে $৩১.২ ট্রিলিয়ন। প্রতিটা লেনদেনে কোন না কোনভাবে ইউএসডি ব্যাবহার হচ্ছে।

ফেড এবং ইউএস গভমেন্ট শক্তিশালী ডলারে বিশ্বাসী

গত কয়েক দশক ধরে ফেড এবং ইউএস ট্রেজারি শক্তিশালী ডলার পলিসি বজায় রেখেছে। তাদের বিশ্বাস যে মনেটারি এবং ফিস্ক্যাল পলিসি ইউএসডির এক্সচেঞ্জ রেট শক্তিশালী রাখার প্রচেস্টা করবে। এটা ইউএস এবং অন্যান্য দেশের জন্য লাভজনক হবে।

অনেক দেশের কারেন্সির ভ্যালু ইউএসডির উপর নির্ভরশীল

ডলার রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে ব্যাবরিত হয়। আবার অনেক দেশ তাদের লোকাল কারেন্সির সাথে ডলারের কারেন্সি পেগ করে।

যখন কোন দেশ এরকম করে, সেদেশের সরকার একটা ফিক্সড প্রাইসে ডলার বাই এবং সেল করতে প্রস্তুত থাকে।

যেখানে সরকার মানি সাপ্লাই বাড়াতে অথবা কমাতে পারে, তাদের সমপরিমান ডলার রিজার্ভ রাখতে হয়।

এটা বিশ্বে ডলারের প্রয়োজনীয়তা ব্যাক্ত করে, কারন অনেক অর্থনীতি ডলারের উপর নির্ভরশীল।

যদি ডলারে বড় ধরনের ফল হয়, এটা যেসব দেশ ডলারে তাদের কারেন্সি পেগ করেছে, তাদের উপর বিশাল রকমের প্রভাব পড়বে।

ইউএসডির প্রয়োজনীয় কিছু ইকোনোমিক ইনডিকেটর

Non-farm employment change (NFP) - NFP হল কর্মসংস্থানের রিপোর্ট যেটা বিগত মাসে কতজন চাকরি পেয়েছে/হারিয়েছে তার হিসাব রাখে।

জিডিপি - গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্ট (জিডিপি) রিপোর্ট দেশের সর্বমোট চূড়ান্ত পণ্য ও সেবার ভ্যালু পরিমাপ করে।
রিটেইল সেলস – এটা রিটেইল লেভেলে সর্বমোট মাসিক কত সেল হল তার হিসাব রাখে। এই রিপোর্টের কোর ভার্সনে যানবাহনের সেল ধরা হয় না।

কনজুমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI) - সিপিআই জিনিষপত্র বা সেবাদ্রব্যের একটি নির্দিষ্ট বাস্কেটের মূল্যের পরিবর্তন পরিমাপ করে। এর কোর অ্যাকাউন্টে খাদ্যদ্রব্য এবং এনার্জির প্রাইস বাদ দেয়া হয় এদের প্রাইসের বেশী ওঠানামার কারনে।

পার্সোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার – এটা CPI এর মত রিপোর্ট যেহেতু এটা ইউএস কনজুমার পণ্যদ্রব্যের প্রাইস পরিবর্তনের হিসাব রাখে। এটার উপর নজর রাখার কারন হল যে ফেড মনেটারি পলিসি ডিসিশন নেয়ার আগে এর দিকে নজর দেয়।

ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান কনজুমার সেন্টিমেন্ট – প্রতিমাসে মিশিগান ইউনিভার্সিটি কনজুমার সেন্টিমেন্ট রিপোর্ট পাবলিশ করে। এই ইনডেক্স কনজুমারদের ইকোনোমির উপর কেমন আস্থা আছে সেটার পরিমাপ করে। ইকোনোমির উপর কনজুমারদের যত বেশী আস্থা থাকে, তারা তত বেশী খরচ করতে উৎসাহী থাকবে।

ইউএসডিকে মুভ করায় কে? 

গোল্ড 

ইনফ্লেশনের কারনে যখনই ডলারের ভ্যালু হারানোর রিস্ক থাকে, ইনভেস্টররা নিরাপত্তার জন্য গোল্ডের দিকে নজর দেয়। অন্যান্য ফিনান্স্যিয়াল আসেটের মত, গোল্ড এর ধাতুমূল্য হারায় না। মামা গোল্ড হল গোল্ড – এটা সবজায়গায় একই রকম। তাই যখন গোল্ডের প্রাইস বাড়ে, তখন এটা সংকেত দেয় যে ডলারের ভ্যালু কমতে পারে।

আমেরিকাতে ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট 

মৌলিকভাবে, যখন আমেরিকাতে পজিটিভ ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট হয় সেটা ইনভেস্টমেন্ট আকর্ষিত করার কথা। একজন ইনভেস্টরের আমেরিকাতে ইনভেস্ট করতে ডলারের প্রয়োজন হবে। তাই যখন ইউএসএতে ইনভেস্টমেন্টের ডিমান্ড বাড়বে, গ্রীনব্যাকের ডিমান্ডও বাড়বে।

ক্যাপিটাল ইনফ্লো এবং আউটফ্লো

জাপান এবং লন্ডনের তুলনায়, ইউএস হয়ত সবচেয়ে গভীরতম এবং সবচেয়ে অ্যাডভান্সড ফিনান্স্যিয়াল মার্কেট। এটা বিশ্বজুড়ে অনেক সুলতান, রাজা-বাদশা, বিলিয়নেয়ার এবং তাদের উত্তরাধিকারীদের অনেক ধরনের ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ করে দেয়।

এসব আমেরিকান অ্যাসেটে ইনভেস্ট করতে ইনভেস্টরদের তাদের কারেন্সি প্রথমে ডলারে কনভার্ট করতে হয়। ইউএস ফিনান্স্যিয়াল মার্কেটের ক্যাপিটাল ইনফ্লো এবং আউটফ্লো ইউএস ডলারের উপর চরম প্রভাব ফেলতে পারে।

পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট

যেহেতু বেশীরভাগ কারেন্সি ট্রান্সাকশনে ইউএসডি ব্যাবহার করা হয়, বিশ্বের যেকোনো মেজর ডেভেলপমেন্ট (যেমন অস্ট্রেলিয়ায় শক্তিশালী জিডিপি, বেইজিঙে স্টক মার্কেট ক্রাশ, গডজিলার টোকিয়ো ভ্রমন) ডালের সর্ট-টার্মে প্রভাব ফেলে।

বন্ড ইয়েল্ডে পার্থক্য 

ইনভেস্টররা সবসময় তাদের অর্থের সেরা ব্যাবহারের চেষ্টা করে, তাই ইউএস এবং অন্যান্য দেশের বন্ড ইয়েল্ডের পার্থক্যের উপর নজর রাখা জরুরী।

যদি ইনভেস্টররা দেখে যে অন্যান্য দেশের বন্ড ইয়েল্ড বাড়ছে আর ইউএসএর বন্ড ইয়েল্ড স্থির অথবা কমছে, ইনভেস্টররা তাদের ফান্ড ইউএস বন্ড (ডলার সেল করবে) মার্কেট থেকে সরিয়ে নেবে এবং ফরেন বন্ড কেনা শুরু করবে।

ইন্টেরেস্ট রেট সম্পর্কে গুজব

মার্কেটের অংশগ্রহিরা ইন্টেরেস্ট রেটের দিকে নজর রাখে, আপনিও রাখবেন।

যদি ফেড ইন্টেরেস্ট রেট বাড়ায়, এর মানে ডলার ডিনমিনেটেড ফিনান্স্যিয়াল অ্যাসেটের (যেমন ট্রেজারি) ডিমান্ড বাড়তে পারে, যেটা ডলারের জন্য বুলিশ সংকেত।

যদি ফেড ইন্টেরেস্ট রেট কমায়, এটা অ্যাসেটের ডিমান কমিয়ে আনতে পারে এবং আমরা ইনভেস্টরদের তাদের ফান্ড ডলার থেকে সরিয়ে নিতে দেখতে পারি।

ফেডের কর্মকর্তারা সাধারনত ভবিষ্যৎ ইন্টেরেস্ট রেটের পরিবর্তনের সংকেত দিয়ে থাকে, তাই পলিসিমেকারদের ভাষণের সময় কান খোলা রাখবেন।

ইউএসডি ট্রেডের কৌশল

এতক্ষণ আমরা যা জানলাম সেগুলো ইউএসডি ট্রেডের কিছু কৌশল দেখি।

ইউএস এর অর্থনৈতিক ডেভেলপমেন্ট এবং অন্যান্য মেজর দেশগুলোর ইকোনোমিক ডাটার মধ্যে পার্থক্য বিচার করে, ইউএসডি ট্রেড শুরু করা একটা ভালো কৌশল। যেমন, ইউএসডি রিটেইল সেলের ভালো নিউজ এবং ইউকের চাকরির বাজারের খারাপ খবর আপনাকে জিবিপি/ইউএসডি সেল করার জন্য একটা ভালো সুযোগ দিয়ে থাকে।

ইউএস ডলার ইনডেক্স অথবা ইউএসডিএক্স, যেটা ইউএসডির বিপরীতে একটা ফিক্সড বাস্কেটের কারেন্সি গনায় ধরে ইউএসডির পারফর্মেন্স ট্রাক করে। এটা আবার ইউএসডির স্ট্রেনথের ব্যারোমিটার হিসেবে কাজ করে। সবসময় ইউএস ডলার ইনডেক্সের দিকে চোখ রাখলে, আপনি ধরতে পারবেন যে ইউএসডি কোন দিকে যাচ্ছে।

ইউএসডিএক্স উপরে উঠলে এটা আপনাকে সংকেত দেয় যে ইউরো/ইউএসডি সেলের সময় হয়েছে।

ফেড ফান্ড রেট বাড়ার কথা বিবেচনায় আসলে, এটা সংকেত দেয় যে ইউএস অ্যাসেটগুলো হায়ার রিটার্ন দিবে, যেটা ট্রেডারদের ইউএসডি বাই করতে উৎসাহিত করবে। আপনি পিছনে পরে থাকবেন কেন?

মনেটারি পলিসির কথা আলোচনায় আসলে, যেগুলো সাধারনত ফেড অফিসিয়ালদের বক্তৃতার মধ্যে থেকে বুঝে নিতে হয়, সেগুলো ইউএসডির ডায়রেকশন সম্পর্কে ধারনা দিতে পারে।

হকিশ (Hawkish) মন্তব্যসমুহ ইউএসডি/জেপিওয়াই বাই করার জন্য এবং ডোভিশ (dovish) মন্তব্যসমুহ সেল করার জন্য সিগন্যাল হিসেবে ব্যাবহার করা যায়।

01 ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য মেজর অর্থনীতিগুলোর গাইড

ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য মেজর ইকোনোমিগুলোর গাইড

অনেক জ্ঞানের কথা বলেছি। এতদিকে অনেকে হয়ত বিলিয়নেয়ার হয়ে গেছেন। এখন সময় বিশ্বভ্রমন করার। জ্যাকি চ্যান ৮০ দিনে বিশ্বভ্রমন করেছিলো। আর আপনি যদি তাল মিলিয়ে চলতে পারেন তাহলে আমরা ৮০ মিনিটে সেটা করবো। চলেন যাত্রা শুরু করি।

আমরা যেসব দেশে সফর করবো, প্রথমে আমরা কিছু ফ্যাক্টস এন্ড ফিগারস দেখবো, তারপর সেদেশর অর্থনীতির একটা ওভারভিউ দেখবো।

তারপরে, আমরা রহস্য জানতে সেদেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকে ভিজিট করবো। সেখানে গিয়ে আমরা মনেটারি পলিসি ট্যুলস যেগুলো সেন্ট্রাল ব্যাংক দেশের অর্থনীতি কন্ট্রোল করার জন্য ব্যাবহার করে সেগুলো সম্পর্কে জানবো।

যদি ভাগ্য ভালো থাকে, তাহলে আমরা সেই রুমে যাবো যেখানে তারা প্রিন্টিং প্লেট রাখে। আর সেটা নিয়ে চলে আসার পরে খালি নোট ছাপাবো। থামেন! ফাজলামি করছি। সৎ পথে উপার্জনের চিন্তা করবেন সবসময়।

তারপর, আমরা লোকাল কারেন্সির কিছু প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করবো যেটা অন্য কারেন্সির তুলনায় একে প্রয়োজনীয় করে। যেগুলো আবার ওইদেশের দরকারি ইকোনোমিক ইনডিকেটর

এই যাত্রাকে আকর্ষণীয় রাখতে, আমরা মাঝেমাঝে ট্রিভিয়া খেলবো আর কিছু ট্রেডিং কলাকৌশল নিয়ে আলোচনা করবো যেটা পরবর্তীতে আপনার কাজে দিবে। যখন আপনি একাএকা পিপ এডভেঞ্চারে যাবেন।

এই যাত্রার জন্য আপনার না লাগবে পাসপোর্ট, না লাগবে ভিসা, না লাগবে থাকা খাওয়ায় খরচ। এ যাত্রা হচ্ছে একদম ফ্রি! ফ্রি! ফ্রি!

কাপড়-চোপড় প্যাক করে হাফ প্যান্ট আর টি-সার্ট পরে রওনা দিন আর সাথে আপনার জানার ইচ্ছা আনা আবশ্যক।
চলুন বিশ্বভ্রমন শুরু করি!

Contact Us

নাম

ইমেল *

বার্তা *

সূচীপত্র

ওয়েবসাইটে উপলব্ধ সকল ম্যাটেরিয়াল শেখার উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা এবং বিনিয়োগের জন্য উপযোগী নয়।
আপনার সাথে জড়িত প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে কোন লাভ অথবা ক্ষতির ভার পিপকমিউনিটি বহন করবে না।
কপিরাইট © ২০১৭ পিপকমিউনিটি - বাংলা ফরেক্স স্কুল | Bangla Forex School। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Scroll Up