Facebook Twitter LinkedIn google plusone
26 - আপনি কোন ধরনের ট্রেডার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
26 - আপনি কোন ধরনের ট্রেডার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

07 সারাংশ – আপনি কোন ধরনের ট্রেডার?

সারাংশ – আপনি কোন ধরনের ট্রেডার?

চার ধরনের ট্রেডার আছেঃ
১) স্ক্যাল্পার
২) ডে-ট্রেডার
৩) সুইং ট্রেডার
৪) পজিশন ট্রেডার

স্ক্যাল্পাররা তাদের ট্রেড কয়েক সেকেন্ড থেকে শুরু করে কয়েক মিনিট পর্যন্ত খোলা রাখে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হল ব্যাস্ততম সময়ে অল্প পিপ নিয়ে অনেকবার ট্রেড করা।

ডে-ট্রেডাররা সাধারানত দিনের শুরুতে একটা পক্ষ বেছে নেয়। নিজেদের বায়াসমত কাজ করে, আর দিন শেষ করে লাভ অথবা লসে। এধরনের ট্রেডাররা ওভারনাইট ট্রেড খোলা রাখে না।

সুইং ট্রেডাররা সাধারনত কয়েকদিন পর্যন্ত ট্রেড খোলা রাখে। এধরনের ট্রেডাররা সবসময় চার্ট মনিটর করতে পারে না। তাই তারা কয়েক ঘণ্টা চার্টের সামনে কাটায় আর মার্কেট অ্যানালাইজ করে।






পজিশন ট্রেডার হল তারা যাদের ট্রেড কয়েক সপ্তাহ, মাস, এমনকি বছরও খোলা থাকে। এধরনের ট্রেডাররা ফান্ডামেন্টাল অ্যানালিসিস করে নিজেদের ডিসিশন নিয়ে থাকে।

যে স্টাইলই বেছে নেন না কেন, এটুকু নিশ্চিত করে নেবেন যে সেটা আপনার জন্য।

বারবার ট্রেডিং স্টাইল পরিবর্তন করলে সেটা আপনার জন্য দুঃখ বয়ে আনবে আর এটুকু নিশ্চিত করবে যে আপনি গরিব থাকেন।

কিন্তু যদি এক সপ্তাহ স্ক্যাল্পিং করে দেখেন যে এটা আপনার জন্য বেশী দ্রুত অথবা কস্টদায়ক, তাহলে সেটা পরিবর্তন করতে পারেন।

06 পজিশন ট্রেডার

পজিশন ট্রেডার

পজিশন ট্রেডিং হল সবচেয়ে সময়ের ট্রেডিং আর এধরনের ট্রেড কয়েক মাস থেকে শুরু করে কয়েক বছর পর্যন্ত চলতে পারে।

এধরনের ট্রেডিং প্রচন্ড ধৈর্যবান ট্রেডারদের জন্য। এর জন্য ফান্ডামেন্টালের ওপর ভালো জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
পজিশন ট্রেডিং দীর্ঘসময় ধরে রাখা হওয়ার কারনে ফান্ডামেন্টাল ঘটনাসমুহ মার্কেট অ্যানালাইজের জন্য বেশী প্রয়োজনীয়।

কারেন্সি পেয়ারে ফান্ডামেন্টাল লং-টার্মের ট্রেন্ড নির্ধারণ করে আর ইকোনোমিক ডাটা কিভাবে দেশের উপর প্রভাব ফেলে সেটার ওপরে ভালো বুঝ থাকা প্রয়োজন।

যেহেতু দীর্ঘসময়ের জন্য ট্রেড খোলা থাকবে, তাই স্টপ লসও অনেক বড় হবে।

এটা নিশ্চিত করতে হবে যে অ্যাকাউন্ট ভালোভাবে এধরনের ট্রেড হ্যান্ডেল করতে পারবে। নয়ত মার্জিন কল খেতে হবে।

পজিশন ট্রেডিং করার জন্য সহ্যক্ষমতা অনেক বেশী থাকা প্রয়োজন কারন এটার গ্যারান্টি দেয়া যায় যে একপর্যায়ে ট্রেড আপনার বিপরীতে যাবেই।

আর সেগুলো ছোটখাটো রিট্রেসমেন্ট হবে না।

মার্কেটে অনেক বড় সুইং হতে পারে আর আপনার এজন্য নিজের অ্যানালিসিসের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে যাতে নিজেকে শান্ত রাখতে পারেন।







পজিশন ট্রেডার হতে পারেন যদিঃ
- আপনি স্বাধীনচেতা। আপনি জনপ্রিয় মতামত বাদ দিয়ে মার্কেট কোথায় যাবে তা নিজেনিজেই এডুকেটেড গেস করতে পারেন।
- ফান্ডামেন্টালের ওপর আপনার ভালো জ্ঞান আছে আর সেটা লং টার্মে কারেন্সির উপরে কিরকম প্রভাব ফেলবে সেটা ধারনা করতে পারেন।
- আপনার সহ্যশক্তি আছে আর আপনি যেকোনো ধরনের রিট্রেসমেন্টের মোকাবেলা করতে পারেন।
- আপনার পর্যাপ্ত পরিমানে মূলধন আছে যাতে মার্কেট যদি কয়েকশত পিপ আপনার বিপরীতে যায় সেটা আপনি সামলাতে পারবেন।
- বিশাল পুরস্কারের জন্য আপনার অপেক্ষা করতে সমস্যা হয় না। লং টার্মের ট্রেডিং আপনাকে কয়েকশত পিপ থেকে শুরু করে কয়েক হাজার পিপ দিতে পারে। যদি আপনি ৫০ পিপ পেয়ে খুশি হয়ে ট্রেড ক্লোজ করে থাকেন, তাহলে ছোট টাইমফ্রেমে ট্রেড করার চিন্তা করেন।
- আপনি প্রচন্ড ধৈর্যবান এবং ঠাণ্ডা মেজাজের।

পজিশন ট্রেডার হবেন না যদিঃ
- জনপ্রিয়দের মতামত আপনার ওপরে প্রভাব ফেলে।
- লং রানে ফান্ডামেন্টাল কারেন্সির উপরে কিরকম প্রভাব ফেলে সেটা ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারেন না।
- আপনি ধৈর্যশীল না। যদিও ধৈর্যশীল হয়ে থাকেন, পর্যাপ্ত পরিমানে না যেটা এই স্টাইলের জন্য প্রয়োজন।
- আপনার পর্যাপ্ত পরিমানে মূলধন নেই।
- যখন মার্কেট আপনার বিপরীতে যায় তখন সেটা সহ্য করতে পারেন না।
- আপনি দ্রুত ফলাফল দেখতে পছন্দ করেন। কয়েকদিন অপেক্ষা করা আপনার জন্য কোন বিষয় না, কিন্তু কয়েক মাস অথবা বছর অপেক্ষার জন্য অনেক বেশী।

05 সুইং ট্রেডিং

সুইং ট্রেডিং 

সুইং ট্রেডিং হল একটু বেশী সময়ের ট্রেডিং স্টাইল যেখানে আপনার ট্রেড কয়েকদিন পর্যন্ত ধরে রাখার মত ধৈর্য আছে।
এটা তাদের জন্য যারা সবসময় চার্ট মনিটর করতে পারেনা কিন্তু দিনে কয়েকঘন্টা মার্কেট অ্যানালাইজ করার মত সময় দিতে পারে।

এটা তাদের জন্য যাদের ফুল টাইম চাকরি অথবা লেখাপড়া আছে, কিন্তু আপ-টু-ডেট থাকার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে সময় নেই।

সুইং ট্রেডিং মেডিয়াম টার্মের ট্রেন্ড চিনহিত করার প্রচেস্টা করে আর যখন লাভের উচ্চ সম্ভাবনা থাকে তখন মার্কেটে এন্ট্রি করা হয়।

ট্রেড যেহেতু একদিনের বেশী সময় ধরে খোলা থাকে, ভলাটিলিট মোকাবেলার জন্য বড় স্টপ লস ব্যাবহার করতে হয়, আর ট্রেড মানি ম্যানেজমেন্ট অনুযায়ী করতে হয়।

হয়ত এখানে ট্রেডকে নিজের বিপরীতে যেতে দেখা যেতে পারে। ছোট টাইমফ্রেমে অনেক ওঠানামা হওয়ার কারনে।
এসময়ে নিজের অ্যানালিসিসের উপর বিশ্বাস রেখে শান্ত থাকা জরুরী।

ট্রেডের যেহেতু বড় ধরনের টার্গেট সেট করা হয়, তাই স্প্রেড এখানে কোন সমস্যা হবে না। একারনে যেসব পেয়ারে বেশী স্প্রেড আর কম লিকুইডিটি থাকে সেগুলোও ট্রেডের সুযোগ পাওয়া যাবে।







আপনি সুইং ট্রেডার হওয়ার চিন্তা করতে পারেন যদিঃ
- আপনি কয়েকদিন ধরে নিজের ট্রেড ধরে রাখতে পারেন।
- আপনি কম ট্রেড করতে রাজি আছেন, কিন্তু আপনি আগে নিশ্চিত হতে চান যে আপনার ট্রেডগুলোর খুভ ভালো সেটআপ আছে।
- আপনার বড় স্টপ লসে সমস্যা হয় না।
- যখন ট্রেড আপনার বিরুদ্ধে যায় তখন আপনি শান্ত থাকতে পারেন।

সুইং ট্রেডের চিন্তা করবেন না যদিঃ
- আপনি দ্রুত গতির ট্রেডিং পছন্দ করে থাকেন।
- আপনার ধৈর্য ক্ষমতা কম আর আপনি সথিন নাকি ভুল সেটা তৎক্ষণাৎ জানতে চান।
- যখন ট্রেড আপনার বিরুদ্ধে যায় তখন আপনার ঘাম বেরিয়ে অস্থির হয়ে উঠেন।
- আপনি মার্কেট অ্যানালাইজ করার জন্য কয়েকঘন্টা সময়ও বের করতে পারেন না।
- মানুষের বাসার সামনে গিয়ে সারাদিন দাড়িয়ে থাকা থেকে নিজেকে বিরত থাকতে পারেন না।

যদি আপনার ফুল টাইম চাকরি থেকে থাকে আর তার পাশেপাশে ট্রেড করতে পছন্দ করেন তাহলে সুইং ট্রেডিং আপনার জন্য!

04 বিভিন্ন ধরনের ডে-ট্রেডিং

ডে-ট্রেডিং 

ডে-ট্রেডিং হল আরেকটা সর্ট-টার্মের ট্রেডিং স্টাইল, কিন্তু স্ক্যাল্পিং থেকে ভিন্ন। এখানে সাধারনত দিনে একটা ট্রেড করা হয় যেটা আবার দিন শেষ হবার আগেই ক্লোজ করে দেয়া হয়। এসব ট্রেডাররা সাধারনত দিনের শুরুতে একটা দলের (বুল বা বিয়ার) পক্ষ নেয়, নিজেদের বায়াসের উপর কাজ করে, আর দিন শেষ করে প্রফিট অথবা লসে। তারা তাদের ট্রেড পরের দিন পর্যন্ত ধরে রাখতে পছন্দ করে না।

ডে-ট্রেডিং তাদের জন্য যাদের অ্যানালাইজ, ট্রেড এক্সিকিউট এবং ম্যানেজ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে সময় থাকে। যদি আপনি চিন্তা করে থাকেন যে স্ক্যাল্পিং খুব দ্রুত আর সুইং ট্রেডিং একটু স্লো, তাহলে ডে-ট্রেডিং আপনার জন্য হতে পারে।

আপনি ডে-ট্রেডার হতে পারেন যদিঃ
- আপনি একদিনের মধ্যে ট্রেড শুরু এবং শেষ করতে পছন্দ করেন।
- দিনের শুরুতে আপনার মার্কেট অ্যানালাইজ করার জন্য সময় দিতে হবে আর সেটা সারাদিন মনিটর করতে হবে।
- দিনের শেষে আপনি লাভ না লস করলেন সেটা আপনার জেনে ঘুমাতে যেতে হয়।

ডে-ট্রেডার হবেন না যদিঃ
- আপনি লং অথবা সর্ট টার্মের ট্রেডিং পছন্দ করেন।
- আপনার সারাদিনে মার্কেট অ্যানালাইজ এবং মনিটর করার সময় নেই।
- আপনার ডে-জব আছে।

যদি ডে-ট্রেডিং করতে চান সেজন্য কিছু প্রয়োজনীয় তথ্যঃ
সাম্প্রতিক ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট সম্পর্কে অবগত থাকবেন যাতে একটা ডায়রেকশন নিশ্চিত করতে পারেন
ইকোনোমিক নিউজের ব্যাপারে নিজেকে আপ-টু-ডেট রাখবেন যাতে আপনি দিনের শুরুতে ট্রেডিং ডিসিশন নিয়ে রাখতে পারেন।

ট্রেড মনিটর করার জন্য সময় আছে? 

যদি আপনার ফুল টাইম চাকরি থাকে, তাহলে এটা চিন্তা করে নিন যে আপনি নিজের কাজ এবং ট্রেডিঙের মধ্যে সময় যোগাড় করবেন কিভাবে। আরও বলবো...যে সবসময় চার্টের দিকে তাকিয়ে থাকার জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত যেন না হন।

বিভিন্ন ধরনের ডে-ট্রেডিং

ট্রেন্ড ট্রেডিং

যখন বড় কোন টাইমফ্রেম দেখে ওভারঅল ট্রেন্ড নির্ধারণ করে ট্রেড করা হয় সেটাকে ট্রেন্ড ট্রেডিং বলে। একবার ওভারঅল ট্রেন্ড এস্টাব্লিশ হলে, ছোট টাইমফ্রেমে ট্রেন্ডের ডায়রেকশনে ট্রেডের সুযোগ খোজা হয়। ছোট টাইমফ্রেমে ইনডিকেটর ব্যাবহার করে নিজের এন্ট্রি সুযোগ খুজে নিতে পারেন। একটা উদাহরন দিয়ে দেখি।
বড় টাইমফ্রেম দেখে প্রথমে ওভারঅল ট্রেন্ড নির্ধারণ করুন। ট্রেন্ড কনফার্ম করতে ইনডিকেটর ব্যাবহার করতে পারেন।



ওভারঅল ট্রেন্ড নির্ধারণ করার পরে, ছোট টাইমফ্রেমে গিয়ে ট্রেন্ডের ডায়রেকশনে এন্ট্রি খোজার চেষ্টা করেন। মনে আছে মাল্টি-টাইম ফ্রেম অ্যানালিসিস?



কাউন্টার ট্রেন্ড ট্রেডিং

কাউন্টার ট্রেন্ড ট্রেডিং হল ট্রেন্ড ট্রেডিঙের মতই। পার্থক্য হল ওভারঅল ট্রেন্ড নির্ধারণ করার পরে, ট্রেন্ডের বিপরীতে ট্রেডের সুযোগ খুজবেন। এখানে ট্রেন্ড শেষ হওয়ার সুযোগ খোজা হয় যেখানে ট্রেন্ড রিভার্সে আগে এন্ট্রি করবেন। এটা একটু রিস্কি কিন্তু রিটার্ন অনেক হতে পারে।



উপরে ৪ ঘণ্টার চার্টে ডাউনন্ট্রেন্ডকে ক্লান্ত দেখা যাচ্ছে। এটা থেকে আমরা ইঙ্গিত পাই যে মার্কেট রিভার্সালের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে।



যেহেতু আমরা “কাউন্টার ট্রেন্ড” এর কথা চিন্তা করছি, তাই আমরা ছোট টাইমফ্রেমে ওভারঅল ট্রেন্ডের বিপরীত দিকে ট্রেড করার সুযোগ খুজবো।



মনে রাখবেন, ট্রেন্ডের বিপরীতে ট্রেড করা অনেক রিস্কি, কিন্তু যদি সময়মত মার্কেটে ঢোকা যায়, তাহলে লাভও অনেক বেশী।






ব্রেকআউট ট্রেডিং

যখন কোন পেয়ার দিনে নির্দিষ্ট কোন সময়ে রেঞ্জ তৈরি করে আর সেটা যে ডায়রেকশনেই ব্রেক করুক, সেটাকে ট্রেড করাকে ব্রেকআউট ট্রেডিং বলে। এটা কার্যকর বিশেষকরে যখন কোন পেয়ার টাইট রেঞ্জের মধ্যে মুভ করে। সেটা ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেট এখন বড় ধরনের কোন মুভ করতে পারে। আপনার উদ্দেশ্য হবে যে নিজেকে সেই মুভে ট্রেডের জন্য প্রস্তুত রাখা।



ব্রেকআউট ট্রেডিঙে, আপনি রেঞ্জ নির্ধারণ করবেন যেখানে প্রাইস সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স এর মধ্যে আটকে আছে। সেটা নির্ধারণ করার পরে আপনি আপনার এন্ট্রি পয়েন্ট সেটার উপর এবং নিচে সেট করবেন। রীতিমত আপনার টার্গেট পিপ রেঞ্জের সমান নির্ধারণ করা উচিৎ। প্রয়োজন হলে ব্রেকআউট ট্রেডিং সম্পর্কে আবার রিভিউ দিতে পারেন।

03 স্ক্যাল্পিং

স্ক্যাল্পিং

স্ক্যাল্পিং হল ওইসব থ্রিলার মুভির মত যেগুলো আপনাকে স্ক্রিনের সামনে বসিয়ে রাখে। এটা দ্রুত-বিন্যাস্ত, উত্তেজক, এবং মাথা ঘুরানোর মত। ট্রেডার এগুলো সব একসাথে অনুভব করে। এধরনের ট্রেড সাধারনত কয়েক সেকেন্ড থেকে শুরু করে কয়েক মিনিটের জন্য করা হয়। স্ক্যাল্পারদের প্রধান উদ্দেশ্য হল ব্যাস্ততম সময়ে মার্কেট থেকে অল্প পরিমানে পিপ বারবার নেয়া।

যেহেতু স্ক্যাল্পারদের চার্টের সাথে লেগে থাকতে হয়, এটা তাদের জন্য আবশ্যক যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অখন্ড মনোযোগ নিয়ে চার্টের সামনে বসে থাকতে পারে।

এর জন্য প্রচন্ড মনোযোগ এবং দ্রুত চিন্তাপ্রক্রিয়ার প্রয়োজন।

এটা তাদের জন্য না যারা সবসময় বড় ধরনের লাভের আশা করে। এটা তাদের জন্য যারা কম লাভে লং-টার্মে ওভারঅল প্রফিটের আশা করে।

আপনি স্ক্যাল্পার হতে পারেন যদিঃ
- আপনি দ্রুত ট্রেডিং এবং উত্তেজনা খোজেন।
- চার্টে মনোযোগ সহকারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাকিয়ে থাকতে পারেন।
- আপনার দীর্ঘসময় ট্রেড ধরে রাখার ধৈর্য নেই।
- আপনি দ্রুত বায়াস অথবা দিক পরিবর্তনে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
- আপনার হাত খুব বেশী চলে। (এজ অব এম্পায়ারস খেলার স্কিল কাজে লাগান)

আপনি স্ক্যাল্পার নাও হতে পারেন যদিঃ
- মার্কেট যদি দ্রুত মুভ করে তাহলে সহজে চাপ অনুভব করেন।
- মনোযোগ সহকারে কয়েকঘন্টা চার্টের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারেন না।
- আপনি কয়েকটা ট্রেড দিয়ে বেশী লাভে শান্তি পান।
- পর্যাপ্ত পরিমানে সময় নিয়ে ওভারঅল মার্কেট অ্যানালাইজ করতে পছন্দ করেন।

যদি স্ক্যাল্পিং করেন তাহলে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখবেনঃ
সবচেয়ে বেশী লিকুইড পেয়ার ট্রেড করুন







পেয়ার যেমন EUR/USD, GBP/USD, USD/CHF, এবং USD/JPY সবচেয়ে কম স্প্রেড অফার করে কারন এগুলোর সবচেয়ে বেশী ট্রেডিং ভলিউম থাকে। যেহেতু আপনি মার্কেটে বেশী এন্ট্রি করবেন তাই আপনার কম স্প্রেডের প্রয়োজন।

সবচেয়ে ব্যাস্ততম সময়ে ট্রেড করবেন

সবচেয়ে বেশী লিকুইডিটির সময় হল যখন সেশন ওভারল্যাপ হয়। এর জন্য সেশন ওভারল্যাপের তালিকা দেখুন।
 স্প্রেড খরচ নিশ্চিত করুন

যেহেতু আপনি প্রায়ই মার্কেটে এন্ট্রি করবেন, স্প্রেড আপনার ওভারঅল প্রফিটে বড় ধরনের ভুমিকা রাখবে। এটুকু খেয়াল রাখবেন যে আপনি যা টার্গেট করছেন সেটা যেন আপনার স্প্রেডের দ্বিগুণ হয়। তাহলে যখন মার্কেট আপনার বিরুদ্ধে যাবে সেদিক দিয়ে যাতে কভার হয়।

প্রথমে একটা পেয়ারে মনোযোগ দিন

স্ক্যাল্পিং খুব উত্তেজনাপূর্ণ আর যদি আপনি একটা পেয়ারে মনোযোগ দেন, তাহলে আপনার সফল হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যদি আপনার দক্ষতা বাড়বে, আর কম সময়ে সবকিছু করতে পারবেন, তখন আরেকটা পেয়ার যোগ করে দেখতে পারেন যে সেটা আপনার জন্য করছে কিনা।

ভালো মানি ম্যানেজমেন্ট করছেন কিনা সেটা নিশ্চিত করুন

এটা যেকোনো ধরনের ট্রেডিঙের জন্য প্রযোজ্য। যেহেতু আপনি একদিনে অনেকগুলো ট্রেড করছেন, তাই এটা জরুরী যে আপনি ভালো মানি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান ব্যাবহার করছেন। মানি হ্যায় তো হানি হ্যায়।

মেজর নিউজ রিপোর্ট অনেক ক্ষতি করতে পারে

স্লিপেজ এবং হাই ভলাটিলিটির কারনে, highly anticipated নিউজ রিপোর্ট আপনার জন্য ভয়াবহ হতে পারে। প্রাইস যখন আচমকা আপনার বিরুদ্ধে চলে যায় তখন সেটা নিশ্চয়ই আপনার ভালো লাগবে না। তাই সামনে কি হবে সবসময় তার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।

02 টাইম ইজ মানি

টাইম ইজ মানি 

নতুন ট্রেডারদের মধ্যে একটি প্রচলিত ভুল হল যে তারা মনে করে ফরেক্সে খুব দ্রুত অর্থ উপার্জন করা যায়! যদিও এটা একেবারে মিথ্যা নয় যে ফরেক্সে দ্রুত অনেক অর্থ উপার্জন করা যায়, তার মানে এই না যে কেউ লং-টার্মে এদিয়ে লাভবান হবে।

একটা প্রচলিত পরিস্থিতি হল যে নতুন ট্রেডার ফরেক্স ট্রেডিং সম্পর্কে একটু লেখাপড়া করে, আর তারপর একটা সিস্টেম খুজে বের করে যেটা দাবি করে যে খুব দ্রুত বড়লোক হওয়া যাবে, আর তা দেখে নতুন ট্রেডার তার উপর ঝাপিয়ে পরে। কারন সে মনে করে যে তার যথেষ্ট জ্ঞান হয়েছে মিলিয়ন ডলার কামানোর।

দুর্ভাগ্যবশত “হানিমুন” শেষ হলে যেমন উত্তেজনা কমে যায়, ঠিক তেমনি নতুন ট্রেডার বুঝতে পারে যে জিনিসপত্র এতো সোজা না। সে বুঝতে পারে যে সিস্টেমটা যেমন দাবি করেছিলো, সেরকম কাজ করে না।

ট্রেডার হিসেবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যেটা আপনি ইনভেস্ট করতে পারেন সেটা হল সময়। প্রতিটি ট্রেডিং ডেতে কিছু না কিছু শেখার থাকে, আর যদি শেখার বন্ধ করে দেন, তাহলে আপনি সফল ট্রেডার হতে পারবেন না।

ব্যাসিক জিনিসপত্র শিখতে কতদিন সময় লাগবে সেটার হিসাব রাখুন। তারপরে চিন্তা করুন যে চার্ট পড়তে, নিউজ, নিজের ট্রেড রেকর্ড এবং মার্কেটে ঢুকতে কতটুকু সময় লাগবে।

যে “ফুল-টাইম” চাকরির মত এখানে সময় দিতে পারবে, তার জন্য এটা কোন সমস্যা না। কিন্তু, বেশীরভাগ মানুষের মত যদি আপনার চাকরি থাকে, লেখাপড়া করেন, অথবা মেয়েদের বাসার নিচে গিয়ে দাড়িয়ে থাকতে হয় তাহলে আপনি নিজের সবটুকু সময় ট্রেডিঙে দিতে পারবেন না।

এর মানে এই না যে আপনি ট্রেড করতে পারবেন না, কিন্তু এটা আপনার জন্য কোন ট্রেডিং স্টাইল প্রয়োজন সেটা নির্ধারণ করতে সহায়তা করবে। হয়ত আপনি স্ক্যাল্পার অথবা ডে-ট্রেডার হতে পারবেন না, কিন্তু লং টার্ম ট্রেডিং হয়ত আপনার সময়সূচী অনুযায়ী ভালো হবে।

প্রতিদিন আপনার মার্কেট অ্যানালাইজ করার জন্য সময়ের প্রয়োজন। কারন নিউজ মার্কেট মুভ করায়, তাই এটা জানা প্রয়োজন যে বিশ্বের কোথায় ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে আর সেটাকে আপনার দৈনিক রুটিনের অংশ বানিয়ে নিন।

কয়েকটা জিনিস যা মার্কেট অ্যানালিসিসে লক্ষ্য করবেনঃ






ফরেক্স মার্কেট ডেভেলপমেন্ট – খুজে দেখুন যে মার্কেটে কি কথাবার্তা চলছে। দেখুন যে অ্যানালিস্টরা কি নিয়ে লাফালাফি করছে আর মার্কেট কি ধরনের প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে।
নিউজ রিলিজ – জেনে রাখুন যে প্রতিদিন কোন নিউজ রিপোর্ট আসছে আর সেগুলো মার্কেটে কি ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। নিউজ যত প্রয়োজনীয় হবে, মার্কেটে তত বেশী মুভমেন্ট আশা করতে পারবেন। তাই ফরেক্স ক্যালেন্ডার এর দিকে নজর রাখবেন।
অন্যান্য কমোডিটির মার্কেট প্রাইস – তেলের দাম অথবা ইউএস ট্রেজারি ইয়েল্ড কারেন্সির মুভমেন্টে প্রভাব ফেলতে পারে, তাই সেগুলো কিরকম করছে সেদিকে নজর রাখতে পারেন।
সাম্প্রতিক ইভেন্টসমূহ – বিভিন্ন নিউজ ওয়েবসাইট চেক করে দেখতে পারেন যে পৃথিবীর কোথায় কি হচ্ছে। ইভেন্ট যেমন মেজর ইলেকশন, সামরিক দ্বন্দ্ব, অথবা পলিটিক্যাল স্ক্যান্ডাল কারেন্সির মুভমেন্ট অথবা গ্লোবাল রিস্ক সেন্টিমেন্টের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

শেষমেশ, দৈনিক ইকোনোমিক অ্যানালিসিস করার পরে, চার্টের দিকে চোখ দিতে হবে। চার্ট আপনাকে কী সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স, ট্রেন্ড, এবং সম্ভাব্য এন্ট্রি প্রাইস সম্পর্কে ধারনা দিবে।

01 প্রতিটা ট্রেডারই অনন্য

প্রতিটা ট্রেডারই অনন্য

পৃথিবীতে প্রায় ৮ বিলিয়ন (এলিয়েন সহ) মানুষের বসবাস আর তারা একে অপরের থেকে আলাদা।

ট্রেডিংও এরকমই। আমাদের অনন্য পারসোনালিটি অনুযায়ী অন্যদের থেকে ভিন্নভাবে ট্রেড করা হয়। কেউ আগ্রেসিভ হতে পারে, “type A” পারসোনালিটির ট্রেডার। আবার অন্যজন রিলাক্সে ট্রেড করে, “type B” পারসনালিটির ট্রেডার। কেউ আবার কম লাভে সন্তুষ্ট থাকে, আবার কেউ বেশী কামানোর জন্য অল্প হারাতে দ্বিধাবোধ করে না।

যা বলতে চাচ্ছি তা হল ২টা ট্রেডার একরকম না। যদিও একদল ট্রেডার একই মেথডে ট্রেড করে থাকে, তাদের প্রত্যেকের ট্রেডের ফলাফল একে অপরের চেয়ে ভিন্ন আসবে।

এটা খারাপ তাই না? একদমই না!






আমাদের অনন্যতাই দুনিয়া চালায়, নিজের লাইফস্টাইল এবং পারসোনালিটি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন যাতে আপনি নিজের ট্রেডিং স্ট্রেনথ এবং উইকনেস চিনহিত করতে পারেন। নিজের সাথে জোড় করে যদি ট্রেড করেন যা আপনার পারসোনালিটিকে শোভা দেয় না, সেটা আপনার জন্য নিরাশা এবং ধারাবাহিক লাভের পথে বাধা হয়ে দাড়াবে।

Contact Us

নাম

ইমেল *

বার্তা *

সূচীপত্র

ওয়েবসাইটে উপলব্ধ সকল ম্যাটেরিয়াল শেখার উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা এবং বিনিয়োগের জন্য উপযোগী নয়।
আপনার সাথে জড়িত প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে কোন লাভ অথবা ক্ষতির ভার পিপকমিউনিটি বহন করবে না।
কপিরাইট © ২০১৭ পিপকমিউনিটি - বাংলা ফরেক্স স্কুল | Bangla Forex School। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Scroll Up