Facebook Twitter LinkedIn google plusone
27 - নিজস্ব ট্রেডিং সিস্টেম বানানো লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
27 - নিজস্ব ট্রেডিং সিস্টেম বানানো লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

05 সংক্ষেপে – নিজের মেকানিক্যাল ট্রেডিং সিস্টেম বানানো

সংক্ষেপে – নিজের মেকানিক্যাল ট্রেডিং সিস্টেম বানানো


ইন্টারনেটে অনেক সিস্টেম দেখা যাবে যাদের মধ্যে অনেকগুলো ভালো কাজ করে, কিন্তু ট্রেডারদের মধ্যে সেটা কাজ করানোর মত ডিসিপ্লিন থাকে না, তাই তারা লস খেয়ে বসে থাকে।

ট্রেডিং সিস্টেমের ২টা লক্ষ অর্জন করার ক্ষমতা থাকতে হবেঃ
১) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্রেন্ড চিনহিত করতে পারবে।
২) “whipsaws” থেকে বাঁচার ক্ষমতা থাকতে হবে (ট্রেন্ড কনফার্ম করা)

যদি সিস্টেমটা প্রফিটেবল হয়ে থাকে তাহলে সেটা কমপক্ষে ২মাস ডেমো অ্যাকাউন্টে ট্রেড করতে হবে। আর তারপরও যদি সেটা লাভ দেয়, তখন রিয়েল ট্রেড করার চিন্তা করা যেতে পারে। যাই হোক না কেন সবসময় নিজের রুল অনুসরন করতে হবে।

ট্রেডিং সিস্টেম ডেভেলপের জন্য ৬ ধাপ রয়েছেঃ
১ম ধাপঃ টাইমফ্রেম
২য় ধাপঃ ইনডিকেটর যা নতুন ট্রেন্ড চিনহিত করতে সহায়তা করবে।
৩য় ধাপঃ ইনডিকেটর যা ট্রেন্ড নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
৪র্থ ধাপঃ রিস্ক নির্ধারণ করুন
৫ম ধাপঃ এন্ট্রি এবং এক্সিট নির্ধারণ করুন
৬ষ্ঠ ধাপঃ সিস্টেমের নিয়ম লিখে রাখুন আর সেটা কঠোরভাবে অনুসরন করুন!







ট্রেডিং সিস্টেম টেস্ট করার জন্য ৩টি স্টেজ রয়েছেঃ

১) চার্ট পিছনে নিয়ে আস্তেআস্তে ক্যান্ডেল সামনে নেয়া। নিজের রুল অনুযায়ী ট্রেড করা এবং ট্রেডসমুহ রেকর্ড করা এটা দেখার জন্য যে সিস্টেমটা লাভ দেয় কিনা। এটাকে ব্যাকটেস্টিং বলা হয়ে থাকে।
২) যদি সেটা লাভবান হয়, তাহলে আপনি সেই সিস্টেম ডেমো অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে ২ মাস ট্রেড করবেন। এটা আপনার সিস্টেম লাইভ মার্কেটে কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে ধারনা দেবে। ব্যাকটেস্টিঙ্গের চেয়ে লাইভ ট্রেডিং অনেক ভিন্ন হয়ে থাকে।
৩) কমপক্ষে ২ মাস ডেমো ট্রেডের পরে যদি লাভবান থাকেন, রিয়েল অ্যাকাউন্টে ট্রেডের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন যে সবসময় নিজের রুল মেনে চলতে হবে।

আরও কিছু কথা বলা প্রয়োজনঃ 

সাইটে অনেক কিছু দেখানো হয়েছে যেখানে আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে অনেক কাল্পনিক জিনিসপত্র ব্যাবহার করা হয়েছে। সেগুলো রিয়েল লাইফে ভিন্নভাবে কাজ করতে পারে। আসলে কাল্পনিক জিনিসপত্রের যা হয়, রিয়েল লাইফে সেগুলো একেবারেই ভিন্ন থাকে। তাই এই ব্যাপারে আপনাদের সতর্ক করা হল।

এছাড়াও এই সাইটের উদ্দেশ্য হল আপনাদের ফরেক্স সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান করা। কারো ক্ষতিসাধন আমাদের উদ্দেশ্য নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন কোনায় অনেকে আছেন যারা জিনিসপত্র বাংলায় ভালো বুঝতে পারেন। সেই সকল মানুষের জন্য এই সাইট অনেক উপকারী প্রমানিত হবে।

ফরেক্স মার্কেটে বিনিয়োগ একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। বিনিয়োগ ছাড়াও এখানে অনেক কিছু জড়িত আছে যা দিয়ে মানুষ তাদের জিবিকা অর্জন করতে সক্ষম হতে পারে। পিপকমিউনিটি সকলকে শুধুমাত্র সঠিক পথ দেখাচ্ছে। কেউকে ফরেক্স মার্কেটে অর্থ বিনিয়োগের জন্য উদ্বুদ্ধ করার কোন ধরনের প্রচেস্টায় লিপ্ত নয় পিপকমিউনিটি।

অনেক দেশে আবার ফরেক্স ট্রেডের জন্য আইনগত নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই ট্রেড করার আগে সেব্যাপারে ভালোভাবে জেনে নিন যে আপনি আইনগতভাবে ফরেক্স ট্রেডের উপযোগী কিনা।

সবশেষে “আপনাদের দোয়ায় আমাকে মনে রাখবেন”।

04 এতো সোজা যে হাস্যকর - “কাউয়াভাঙ্গা” সিস্টেম

এতো সোজা যে হাস্যকর - “কাউয়াভাঙ্গা” সিস্টেম


আমাদের কাছে ভালো ট্রেডিং সিস্টেমের জন্য সবরকম উপাদান আছে।

প্রথমে আমাদের ঠিক করতে হবে যে এটা একটা সুইং ট্রেডিং সিস্টেম, আর এটা দৈনিক চার্টে ট্রেড করা হবে।

পরবর্তীতে আমরা সিম্পল মুভিং এভারেজ ব্যাবহার করবো যা আমাদের নতুন ট্রেন্ড দ্রুত চিনহিত করতে সহায়তা করবে।

স্টোকাস্টিক আমাদের বলবে যে মুভিং এভারেজ ক্রসওভারের পরে এই ট্রেড আমাদের ধরা ঠিক হবে কিনা, আরও এটা আমাদের ওভারসোল্ড/ওভারবট এরিয়াতে এন্ট্রি থেকে বিরত রাখবে। আরএসআই এক্সট্রা কনফার্মেশনের জন্য ব্যাবহার হবে যা আমাদের ট্রেন্ডের স্ট্রেনথ নির্ধারণ করতে সহায়তা করবে।

ট্রেড সেটআপ বের করার পরে, আমরা প্রতি ট্রেডে আমাদের রিস্ক নির্ধারণ করবো। এই সিস্টেমের জন্য আমরা ১০০ পিপ রিস্ক নিতে রাজি আছি। সাধারনত যত বড় টাইমফ্রেম ব্যাবহার করা হবে, তত বেশী পিপ রিস্ক নেয়ার প্রয়োজন হয় কারন লাভ ছোট টাইমফ্রেমে ট্রেডের চেয়ে তুলনামূলক বেশী।

পরে আমরা আমাদের এন্ট্রি এবং এক্সিট রুল ভালোভাবে নির্ধারণ করবো। এই পয়েন্টে আমরা ম্যানুয়াল ব্যাকটেস্ট দিয়ে আমাদের টেস্টিং শুরু করবো।

একটা লং সেটআপের উদাহরনঃ



চার্টে যদি আমরা পেছনের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পারবো আমাদের সিস্টেমের রুল অনুযায়ী, বাই করার জন্য এটা ভালো সময়।

ব্যাকটেস্টের জন্য, লিখে রাখবেন যে কোন প্রাইসে আপনি এন্ট্রি করতেন, আপনার স্টপ লস, এবং আপনার এক্সিট স্ট্রাটেজি। তারপর আপনি আপনার চার্টে ১টা করে ক্যান্ডেল আগাবেন যাতে দেখতে পারেন যে ট্রেড কেমন করেছে।




উপরের ট্রেডের ক্ষেত্রে আপনি বড় ধরনের লাভ করতে পারতেন!

লক্ষ্য করুন যে যখন মুভিং এভারেজ বিপরীতদিকে ক্রস করে, সেটা এক্সিটের জন্য একটা ভালো সময় ছিল। দুঃখের বিষয় সব ট্রেড এতো সুন্দর হবে না। কিছু ট্রেড পেত্নীর মতোও হবে। যাই হোক না কেন সবসময় আপনাকে আপনার সিস্টেমের রুল অনুযায়ী চলতে হবে।

নিম্নে “কাউয়াভাঙ্গা” সিস্টেমের একটা সর্ট এন্ট্রির উদাহরন দেয়া হলঃ




আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আমাদের ট্রেডে এন্ট্রির জন্য যেসব রুল মানা প্রয়োজন সব ঠিক আছে। মুভিং এভারেজ ক্রসওভার, স্টোকাস্টিক ডাউনওয়ার্ড মোমেন্টাম দেখাচ্ছে যা এখনো ওভারসোল্ড জোনে যায়নি, আরএসআই ৫০ লেভেলের নিচে।

এই পয়েন্টে আমাদের সর্ট এন্ট্রি নেয়া উচিৎ। এখন আমাদের এন্ট্রি প্রাইস, স্টপ লস এবং এক্সিট স্ট্রাটেজি রেকর্ড করে রাখতে হবে। তারপরে চার্ট সামনে টেনে দেখতে হবে যে কি হয়।



খাইছে রে বাবা! ট্রেন্ড অনেক শক্তিশালী ছিল আর প্রাইস ৮০০ পিপের মত ফল করছে। কি এটা সহজ না?

জানি আপনারা মনে মনে বলছেন যে এই সিস্টেম লাভবান হওয়ার জন্য খুবই সরল। সত্য হল এটা আসলেই সরল। যা সরল তা নিয়ে ভয় করবেন না।

আসলে ট্রেডিং ওয়ার্ল্ডে একটা আদ্যক্ষর (acronym) প্রায়ই দেখবেন, সেটা হল “KISS”।

এর মানে Keep It Simple Stupid!







এর মানে জিনিসপত্র সোজা রাখ বেকুব কোথাকার!

আসলে এর মানে হল ট্রেডিং সিস্টেম খুব জটিল বানানোর কোন প্রয়োজন নেই। চার্টে কয়েক হাজার ইনডিকেটর ব্যাবহারের কোন প্রয়োজন নেই। সিস্টেম যত সরল থাকবে সেটা আপনাকে তত কম মাথাব্যাথা দিবে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল ডিসিপ্লিন। একথাটা কয়েকলক্ষ বার আপনাদের বলেছি! আচ্ছা ঠিক আছে লক্ষবার না হাজার বারতো বলেছি। এই নিয়ে আর তর্ক করবেন না! আবার বলছিঃ

সবসময় নিজের ট্রেডিং সিস্টেমের রুল মেনে চলবেন!

যদি আপনি নিজের সিস্টেম ভালোভাবে ব্যাকটেস্টিং করেন আর ডেমো অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে ২মাস ট্রেড করেন, তাহলে আপনি জানেন যে লং রানে আপনার সিস্টেম আপনাকে লাভবান করতে পারবে।

নিজের সিস্টেমের উপরে বিশ্বাস রাখুন এবং নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন!


উপরেরটা হল “Cowabunga” system আর আমরা সেটাকে বানিয়েছি “কাউয়াভাঙ্গা” সিস্টেম।

03 মাত্র ৬ ধাপে ট্রেডিং সিস্টেম তৈরি

মাত্র ৬ ধাপে ট্রেডিং সিস্টেম তৈরি

এই সেকশনে আমরা দেখবো যে ট্রেডিং সিস্টেম কেমন দেখায়। এটা আপনাকে একটা ধারনা দেবে যে ট্রেডিং সিস্টেম ডেভেলপের জন্য কি লক্ষ্য করতে হবে।

ট্রেড সেটআপ

- ডেইলি চার্টে ট্রেড (সুইং ট্রেডিং)
- ৫ এসএমএ ক্লোজিং প্রাইসে
- ১০ এসএমএ ক্লোজিং প্রাইসে
- স্টোকাস্টিক (১৪,৩,৩)
- আরএসআই (৯)








ট্রেডিং রুল

এন্ট্রি রুল

বাই দিবো যদিঃ

- যদি ৫ এসএমএ ১০ এসএমএকে উপরের দিকে ক্রস করে আর স্টোকাস্টিক লাইন দুটোই উপরমুখী হয় (যদি স্টোকাস্টিক ওভারবট জোনে থাকে তাহলে বাই দিবো না)
- আরএসআই ৫০ লেভেলের উপরে থাকে।

সেল দিবো যদিঃ

- ৫ এসএমএ ১০ এসএমএ এর নিচে এবং স্টোকাস্টিক লাইন দুটো নিম্নমুখী হয়। (যদি স্টোকাস্টিক ওভারসোল্ড জোনে থাকে তাহলে সেল দিবো না)
- আরএসআই ৫০ লেভেলের নিচে থাকবে।

এক্সিট রুল

- যখন ৫ এসএমএ ১০ এসএমএকে ট্রেডের বিপরীত দিকে ক্রস করবে অথবা আরএসআই ৫০ লেভেলকে অরিক্রম করবে।
- যখন ১০০ পিপ লাভ হবে তখন এক্সিট করবো।

একটা চার্টে এটা ব্যাবহার করে দেখেন একবার।

02 মাত্র ৬ ধাপে নিজস্ব ট্রেডিং ট্রেডিং সিস্টেম সাজানো

মাত্র ৬ ধাপে নিজস্ব ট্রেডিং ট্রেডিং সিস্টেম সাজানো


এই আর্টিকেলের আসল উদ্দেশ্য হল আপনাকে নিজস্ব ট্রেডিং সিস্টেম বানানোর প্রক্রিয়া দেখানো। একটা সিস্টেম বানাতে বেশী সময় লাগে না, কিন্তু সেটাকে টেস্ট করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। তাই ধৈর্য রাখবেন; লং রানে একটা ভালো সিস্টেম আপনাকে অনেক লাভবান হবার সুযোগ দেবে।

১ম ধাপঃ টাইমফ্রেম

প্রথমে আপনার যা জানার দরকার তা হল আপনি কোন ধরনের ট্রেডার।

আপনি ডে-ট্রেডার নাকি সুইং ট্রেডার? আপনার কি প্রতিদিন চার্ট দেখতে ভালো লাগে নাকি প্রতি সপ্তাহে, নাকি প্রতি মাসে, নাকি বছরে? ওপেন পজিশন আপনি কতদিন পর্যন্ত ধরে রাখার মনমানসিকতা আছে আপনার?

এগুলো আপনি কোন টাইমফ্রেম ব্যাবহার করবেন তা নির্ধারণ করতে সহায়তা করবে। যদিও আপনি মাল্টিপল টাইমফ্রেম ব্যাবহার করে থাকেন, এই টাইমফ্রেম আপনি ট্রেড সিগন্যালের জন্য ব্যাবহার করবেন।

২য় ধাপঃ ইনডিকেটর যা নতুন ট্রেন্ড চিনহিত করতে সহায়তা করবে।

যেহেতু আমাদের লক্ষ্য থাকে যে ট্রেন্ড যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটা চিনহিত করা, আমাদের সেসব ইনডিকেটর ব্যাবহার করা উচিৎ যা সেটা সাধন করতে পারে। মুভিং এভারেজ সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনডিকেটরের মধ্যে একটি যা ট্রেডাররা ট্রেন্ড চিনহিত করতে ব্যাবহার করে।

বিশেষকরে ২টা মুভিং এভারেজ (একটা স্লো আর একটা ফাস্ট) ব্যাবহার করা হয় আর ফাস্ট মুভিং এভারেজ স্লো মুভিং এভারেজ ক্রস করার জন্য অপেক্ষা করা হয়। এটা “moving average crossover” সিস্টেমের ভিত্তি হিসেবে ব্যাবরিত হয়।

মুভিং এভারেজ ক্রসওভার হল নতুন ট্রেন্ড চিনহিত করার সবচেয়ে দ্রুত উপায়। এটা আবার ট্রেন্ড চিনহিত করার সবচেয়ে সহজ উপায়।

মার্কেটে ট্রেন্ড চিনহিত করার জন্য আরো অনেক উপায় আছে, কিন্তু মুভিং এভারেজ সবচেয়ে সহজ।

৩য় ধাপঃ ইনডিকেটর যা ট্রেন্ড নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। 

ট্রেডিং সিস্টেমের ২য় লক্ষ্য হবে যে কিভাবে whipsaws থেকে বাচা যায়। মানে আমরা ফলস ট্রেন্ডে ফেসে যাওয়া থেকে বাঁচবো কিভাবে। একটা কাজ করা যায় তা হল যখন নতুন কোন ট্রেন্ডের সিগন্যাল পাওয়া যায়, তখন অন্য ইনডিকেটরের সাহায্য নিয়ে সেটা নিশ্চিত করা।

অনেক ইনডিকেটর আছে যা ট্রেন্ড নিশ্চিত করে। যেমন ম্যাকডি, স্টোকাস্টিক, আরএসআই ইত্যাদি। আপনি যখন বিভিন্ন ধরনের ইনডিকেটরের সাথে পরিচিত হবেন, তখন আপনার পছন্দমত ইনডিকেটর আপনি খুজে পেয়ে যাবেন, আর সেটা নিজের সিস্টেমে ব্যাবহার করতে পারবেন।








৪র্থ ধাপঃ রিস্ক নির্ধারণ করুন

যখন ট্রেডিং সিস্টেম ডেভেলপ করবেন, এটা নির্ধারণ করা জরুরী যে প্রতি ট্রেডে আপনি কতটা রিস্ক নিতে ইচ্ছুক। বেশীরভাগ ট্রেডাররাই লস নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করে না, কিন্তু সত্যি বলতে, একটা ভালো ট্রেডার কতটা লাভ করতে পারে তার আগে সবসময় চিন্তা করবে যে সে কতটা লস করতে পারে।

আপনি কতটা হারাতে পারেন সেটা অন্যদের চেয়ে ভিন্ন হবে। আপনার নিজেকে স্থির করতে হবে যে আপনি কতটুকু হারাতে সক্ষম, আর সেই সাথে এটাও বলবো যে প্রতি ট্রেডে খুব বেশী রিস্ক নেবেন না। মানি ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। প্রতি ট্রেডে কতটুকু রিস্ক নেবেন মানি ম্যানেজমেন্ট সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।

৫ম ধাপঃ এন্ট্রি এবং এক্সিট নির্ধারণ করুন

কতটুকু হারাতে সক্ষম আপনি, সেটা নির্ধারণ করার পরে আসবে কোন পয়েন্টে ট্রেডে এন্ট্রি এবং এক্সিট করলে সবচেয়ে বেশী লাভ আসবে।

কেউকেউ যখন তাদের ইনডিকেটর সিগন্যাল দেয় তখন ট্রেড দিতে পছন্দ করে। আবার অনেকে ট্রেডের জন্য ক্যান্ডেল ক্লোজ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে। জ্ঞানীগুণীরা বলেন যে ক্যান্ডেল ক্লোজের জন্য অপেক্ষা করা ভালো।

এটা আসলে ট্রেডিং স্টাইলের উপরে নির্ভর করে, কেউকেউ একে অন্যের চেয়ে বেশী এগ্রেসিভ হয়ে থাকে। সময়ের সাথে আপনি জানতে পারবেন যে আপনি কোন ধরনের ট্রেডার।

এক্সিটের জন্য, আপনার কাছে কয়েকটা অপশন থাকে। একটা উপায় হল “Trailing Stop”, মানে প্রাইস যখন আপনার অনুকুলে X পরিমানে মুভ করবে, আপনি আপনার স্টপ লস X পরিমানে এগিয়ে নেবেন। এটা ম্যানুয়ালি করা যায় অথবা ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মে অপশন থাকে।

এক্সিটের আরেকটা উপায় হল, টার্গেট সেট করে নেয়া আর যখন প্রাইস সেই টার্গেটে হিট করবে ট্রেড এক্সিট করবে। টার্গেট কিভাবে নির্ধারণ করবেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করে। অনেকে সাপোর্ট/রেজিস্টান্স লেভেল ব্যাবহার করে থাকে।

অনেকে আবার নির্দিষ্ট পরিমানে পিপ গননা করে ট্রেড করে। আপনি যেভাবেই নিজের টার্গেট নির্ধারণ করুন না কেন, এটুকু নিশ্চিত হয়ে নেবেন যে আপনি সেটা অনুসরন করছেন। যাই হোক আগে এক্সিট করার চেস্টা করবেন না। নিজের সিস্টেমের অনুযায়ী ট্রেড করুন! যাই হোক, আপনি সেটা ডেভেলপ করেছেন।

এক্সিটের আরেকটা উপায় হল আপনি কিছু মানদণ্ড ঠিক করে রাখবেন, সেগুলো আপনাকে এক্সিটের সিগন্যাল দেবে। যেমন, আপনি ঠিক করলেন যে আপনার ইনডিকেটর একটা নির্দিষ্ট পরিমানে রিভার্স করলে, আপনি আপনার ট্রেড বন্ধ করে দেবেন।

৬ষ্ঠ ধাপঃ সিস্টেমের নিয়ম লিখে রাখুন আর সেটা কঠোরভাবে অনুসরন করুন! 

ট্রেডিং সিস্টেম তৈরিতে এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আপনি আপনার ট্রেডিং সিস্টেম লিখে সেটা দেয়ালে লাগিয়ে রাখবেন আর সেটা অনুসরন করবেন।

ডিসিপ্লিন হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিশিষ্টের মধ্যে একটা যা ট্রেডারদের থাকতে হবেই, তাই সবসময় নিজের সিস্টেম অনুযায়ী কাজ করার কথা মনে রাখতে হবে! আপনার জন্য কোন সিস্টেমই কাজ করবে না যদি আপনি নিয়ম অনুসরন না করেন। তাই সবসময় মনে রাখবেন ডিসিপ্লিন মানতে হবে।

আরেকটা কথা, এটা কি বলেছিলাম যে সবসময় নিয়ম মেনে চলবেন?

ট্রেডিং সিস্টেম কিভাবে টেস্ট করতে হয় 

ট্রেডিং সিস্টেম টেস্টের সবচেয়ে দ্রুত উপায় হল একটা চার্টিং সফটওয়্যার ব্যাবহার করা যেখানে আপনি হিস্টোরিক্যাল ডাটার উপরে ট্রেড করতে পারবেন। এতে আপনি নিজের রুল অনুসরন করে দেখতে পারবেন যে আপনার সিস্টেম কেমন করছে।

নিজের ট্রেডিং রেকর্ডগুলোকে রেকর্ড করুন, আর নিজের সাথে সৎ থাকবেন! নিজের লাভ, লস, এভারেজ লাভের হার, এবং এভারেজ লসের হার সব রেকর্ড করুন। যদি নিজের রেজাল্টের উপর আপনি খুশি হয়ে থাকেন তাহলে পরের ধাপ হল – লাইভ ট্রেড করা ডেমো অ্যাকাউন্টে।

নতুন ট্রেডিং সিস্টেম ডেমো অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে ২ মাস ট্রেড করে দেখুন। এটা আপনাকে একটা ধারনা দেবে যে যখন মার্কেট মুভ করে আপনার কি অবস্থা হয়। এটুকু বিশ্বাস করুন যে ব্যাকটেস্টিঙ্গের চেয়ে লাইভ ট্রেডিং অনেক আলাদা।
২মাস পরে আপনি ধারনা পাবেন যে আপনার সিস্টেম মার্কেটে টিকে থাকতে পারবেন কিনা। যদি আপনি ভালো রেজাল্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে রিয়েল অ্যাকাউন্টে ট্রেড করার চিন্তা করতে পারেন।

এই পর্যায়ে, নিজের সিস্টেমের প্রতি আত্মবিশ্বাস চলে আসবে আর ট্রেডের সময় কম দ্বিধাবোধ করবেন।

01 মেকানিক্যাল ট্রেডিং সিস্টেম

মেকানিক্যাল ট্রেডিং সিস্টেম


এতক্ষণ আমরা কিভাবে ট্রেডিং প্ল্যান ডেভেলপ করতে হয় সেব্যাপারে আলোচনা করেছি। তাছাড়াও আপনি কোন ধরনের ট্রেডার তা নির্ধারণ করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছি।

এখন আপনাদের শেখাবো যে কিভাবে সেই শুকনো ট্রেডিং প্ল্যানে কিছুটা গোশত বানানো যায়।

আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে বলতে হয়, এখন মেকানিক্যাল ট্রেডিং সিস্টেম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

মেকানিক্যাল ট্রেডিং সিস্টেম হল এমন সিস্টেম যা ট্রেডারদের জন্য ট্রেড সিগন্যাল জেনারেট করে। এগুলোকে মেকানিক্যাল বলার কারন হল মার্কেটে যাই হোক না কেন ট্রেডার হয়ত সেগুলোকে অদেখা করে ট্রেড করে।

এর পিছনের ধারনা হল, ট্রেডিঙে যত ইমোশন আর বায়াস আছে এটা সব ঝেড়ে ফেলবে, কারন যাই হোক না কেন আপনার নিজের রুল মেনে চলতে হবে।

যদি গুগল মামাকে “forex trading systems” দিয়ে জিজ্ঞেস করেন, তাহলে অনেক “হলি গ্রেইল” পাবেন যেগুলো “মাত্র” কয়েক হাজার ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যাবে।

এসব সিস্টেমের প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার পিপ কামানোর কথা। আর কখনোই লস হবার কথা নয়। তারা আপনাকে তাদের পারফেক্ট ট্রেডিং সিস্টেমের “রেজাল্ট” দেখাবে যা আপনার মাথা ঘুড়িয়ে দেবে। এমনকি রেজাল্ট দেখে আপনি চেয়ার থেকে পড়েও যেতে পারেন। আর বলতে পারেন “পাইছি এবার! মাত্র $৩,০০০ খরচ করে আমি কোটিপতি হয়ে যাবো। আর যদি এই সিস্টেম হাজার হাজার পিপ কামাতে পারে, তাহলে আমার খরচ খুব শিগ্রই ফেরত আসবে।”
ভাইজান একটু থামেন। ঝোঁকের বসে পরে এভাবে কেনার আগে আপনার কিছু জিনিস জানার প্রয়োজন আছে।
সত্যি কথা বলে অনেক সিস্টেম কাজ করে। সমস্যা হল গিয়ে অনেক ট্রেডাররা ডিসিপ্লিন মেনে চলতে না পারায় সিস্টেমকে কাজে লাগাতে পারে না।

দ্বিতীয় সত্য (দ্বিতীয় সত্য বলতে কিছু আছে কি?) হল যে হাজার হাজার ডলার একটা সিস্টেমের পেছনে ব্যায় না করে আপনি সেই অর্থ নিজের ফ্রি ট্রেডিং সিস্টেম ডেভেলপ করাতে পারেন, আর সেই অর্থ আপনি ট্রেডের কাজে লাগাতে পারেন।







তৃতীয় সত্য হল ট্রেডিং সিস্টেম তৈরি করা খুব কষ্টকর না। কষ্টকর হল গিয়ে নিয়ম অনুসরন করা যা আপনি নিজের সিস্টেম ডেভেলপ করার সময় নির্ধারণ করেছিলেন।

অনেক আর্টিকেল দেখা যায় যেখানে মানুষ ট্রেডিং সিস্টেম বিক্রি করে, কিন্তু কয়টা আর্টিকেল নিজের সিস্টেম তৈরি করার জন্য উপদেশ দেয়?

এই লেসনে আপনি কিভাবে নিজের ট্রেডিং সিস্টেম যা আপনার জন্য উপযোগী তা ডেভেলপ করবেন কিভাবে সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে। লেসন শেষে আপনাদের একটা সিস্টেম তৈরি করে দেখানো হবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের উদ্দেশ্য

জানি আপনারা মনে মনে বলছেন “আমার ট্রেডিং সিস্টেমের উদ্দেশ্য হবে বিলিয়ন ডলার কামাই করা”।
যদিও এটা শুনতে অনেক ভালো শোনায়, কিন্তু এই ধরনের লক্ষ্য আপনাকে সফল করে তুলবে না।

যখন নিজের ট্রেডিং সিস্টেম ডেভেলপ করবেন, আপনার ২টা খুব গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য মাথায় রাখতে হবেঃ
১) আপনার সিস্টেমের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্রেন্ড চিনহিত করতে সফল হতে হবে।
২) আপনার সিস্টেমের “whipsaws” থেকে বাঁচার ক্ষমতা থাকতে হবে।

যদি এই ২টা জিনিস আপনার ট্রেডিং সিস্টেম করতে পারে, তাহলে আপনার সফল হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
এসব লক্ষের মধ্যে খারাপ জিনিস হল এই ২টা একে অপরের সাথে খাপ খায় না।
যদি আপনার সিস্টেমের প্রধান উদ্দেশ্য ট্রেড দ্রুত চিনহিত করা থাকে, তাহলে আপনি প্রায়ই ফেকআউটের শিকার হবেন।

অন্যদিকে, যদি আপনার সিস্টেমের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে যে কিভাবে “whipsaws” থেকে বাঁচা যায়, তাহলে আপনার এন্ট্রি অনেক সময় দেরিতে হবে আর অনেক ট্রেড হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

আপনার যা করনীয়, যখন মেকানিক্যাল সিস্টেম ডেভেলপ করবেন, তখন এই ২টা লক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে একটা সিস্টেম বের করবেন। ট্রেন্ড দ্রুত চিনহিত করার জন্য একটা পথ খুজবেন, কিন্তু সাথেসাথে সিস্টেম ফেক নাকি ভালো সিগন্যাল সেটার ধারনা যেন আপনার সিস্টেম আপনাকে দিতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

Contact Us

নাম

ইমেল *

বার্তা *

সূচীপত্র

ওয়েবসাইটে উপলব্ধ সকল ম্যাটেরিয়াল শেখার উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা এবং বিনিয়োগের জন্য উপযোগী নয়।
আপনার সাথে জড়িত প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে কোন লাভ অথবা ক্ষতির ভার পিপকমিউনিটি বহন করবে না।
কপিরাইট © ২০১৭ পিপকমিউনিটি - বাংলা ফরেক্স স্কুল | Bangla Forex School। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Scroll Up